ব্রেকিং নিউজ ; মাধ্যমিকে যুক্ত হচ্ছে আরবি, বাতিল হচ্ছে ৪ লেখকের গল্প-প্রবন্ধ

নতুন কারিকুলামের অংশ হিসেবে এবার মাধ্যমিক পর্যায়ে আরবি সাবজেক্ট অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ৫টি শ্রেণীতেই আরবি পড়ানো হবে, যা পূর্বে ছিল না। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আরবি ভাষা শেখার সুযোগ পাবেন, যা ২০১২ সালের কারিকুলামে ছিল, কিন্তু পরে বাদ পড়েছিল।
একই সাথে, উচ্চমাধ্যমিকে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা সাহিত্য পাঠ্যবইয়ে চারজন লেখকের গল্প বা প্রবন্ধ বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া, তিনজন লেখকের কবিতা ও গল্পের পরিবর্তন এবং পাঁচজন লেখকের কবিতা ও প্রবন্ধের অনুশীলনীর সম্পাদনা বা পরিমার্জন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বাদ পড়া লেখকদের মধ্যে রয়েছেন শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুহাম্মদ জাফর ইকবাল।
সূত্র জানায়, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা ১২টি বিষয়ের সাথে ১৩ নম্বর বিষয় হিসেবে আরবি পাবেন। এর মাধ্যমে ২০১২ সালের কারিকুলামে আরবি পুনরায় যুক্ত হচ্ছে। অন্যদিকে, উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা সাহিত্য পাঠ্যবইয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে, যেখানে ৪ জন লেখকের লেখা পুরোপুরি বাদ এবং ৩ জনের লেখা পরিবর্তন করা হয়েছে।
এদিকে, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করতে এনসিটিবি (জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড) ইতোমধ্যে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের প্রস্তুতি নিয়েছে। ২০১২ সালের পুরনো কারিকুলামের দিকে ফিরলেও, শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিকীকরণ এবং বাস্তবতার প্রয়োজনীয়তার কারণে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
কারিকুলামের প্রধান পরিবর্তন
আরবি যোগ করা
এবার ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত আরবি বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। ইসলাম শিক্ষা বিভাগের বাইরে এটি একটি অতিরিক্ত বিষয় হিসেবে ধরা হবে। পাশাপাশি, ষষ্ঠ শ্রেণীতে "আনন্দ পাঠ" নামে একটি নতুন পাঠ্য বইও যোগ করা হচ্ছে।
উচ্চমাধ্যমিকে সাহিত্য পরিবর্তন উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা সাহিত্য পাঠ্যবইয়ের সিলেবাসে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ২৮টি গদ্য এবং ২৮টি পদ্য থেকে কিছু গল্প ও কবিতা বাদ দেয়া হয়েছে, আবার নতুন কিছু কবিতা ও গল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রমথ চৌধুরী, রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, কাজী নজরুল ইসলামসহ বেশ কিছু লেখকের রচনা পরিবর্তন করা হয়েছে।
বাদ পড়া লেখকের তালিকা
শেখ মুজিবুর রহমানের "রায়ান্নর দিনগুলো", মুহাম্মদ জাফর ইকবালের "মহাজাগতিক কিউরেটর", দিলওয়ারের "মানুষ সকল সত্য" এবং মহাদেব সাহার "শান্তির গান" পাঠ্যবই থেকে বাদ পড়েছে।
পরিমার্জন প্রস্তাব এছাড়া, শওকত আলীর "কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ", কাজী নজরুল ইসলামের "বিদ্রোহী", আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর "আমি কিংবদন্তির কথা বলছি" এবং সৈয়দ শামসুল হকের "নুরুলদীনের কথা মনে পড়ে যায়"—এই লেখাগুলোর অনুশীলনীতে পরিমার্জন আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।
নতুন সিদ্ধান্তের পেছনে কারণ
এনসিটিবি সূত্র জানায়, বিতর্কিত কারিকুলাম বাতিল করার পর শিক্ষাব্যবস্থায় নতুনত্ব আনতে এবং বাস্তবতার সাথে সঙ্গতি রেখে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ বি এম রিয়াজুল হাসান জানান, পরিবর্তনগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়িত হবে, এবং এক বছরের মধ্যে সকল পরিবর্তন সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না। তবে, সঠিক সময়ের মধ্যে কার্যকরী পরিবর্তনগুলো আনা হবে।
মোটকথা, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা যুগোপযোগী করার জন্য ধীরে ধীরে বিভিন্ন বিষয়ে পরিবর্তন আনা হচ্ছে, যাতে শিক্ষার্থীরা আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষা পায়।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- ১২ ঘণ্টায় ১,০৫৭ জন পুরুষকে খুশি করে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ২২ বছরের যুবতী
- ফাঁস হলো ষড়যন্ত্র, বাংলাদেশ দখলের পরিকল্পনা করছে ভারত
- গাজায় নিহত ইসরায়েলি ৪১২ সেনা নিহত
- ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়া বৃদ্ধের আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- বাংলাদেশে সব রেল প্রকল্প স্থগিত করলো ভারত, এর পেছনে কারণ কি
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- বাংলাদেশকে সুখবর দিলো চীন
- ড. ইউনূসকে নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন হিলারি ক্লিনটন
- ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন তৈরির মূল্যবান খনিজ আছে বাংলাদেশে
- আবারও ছুটি ও বেতন নিয়ে দারুণ সুখবর!
- জানা গেলো, কবে চালু হবে বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা!
- ৪ ওভার বোলিং করে কত টাকা পুরস্কার পেলেন রিশাদ