আজ ২১ ক্যারট সোনার দাম কত

সোনার দাম অনেক সময়ই ওঠানামা করে, এবং এটি বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতির ওপর নির্ভরশীল। সোনার দাম নির্ধারণে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে আন্তর্জাতিক বাজার, সোনা উৎপাদনকারী দেশগুলোর পরিস্থিতি, স্থানীয় চাহিদা, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, এবং মুদ্রা পরিবর্তন। এর পাশাপাশি দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ও সোনার দামের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
সোনার ক্যারট কি?
সোনা বিভিন্ন ক্যারেটে (Carat) পাওয়া যায়, যা সোনার বিশুদ্ধতা নির্দেশ করে। ২৪ ক্যারট সোনা ১০০% বিশুদ্ধ, অর্থাৎ এতে কোনো ধরনের অন্যান্য ধাতু মেশানো হয় না। তবে ২২ ক্যারট সোনা বা ২১ ক্যারট সোনায় কিছু পরিমাণ অ্যালয় (অন্য ধাতু) মিশ্রিত থাকে, যা সোনার শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে এবং আংটি বা অন্যান্য গয়না তৈরিতে সুবিধা দেয়।
২১ ক্যারট সোনা সাধারণত ৮৭.৫% বিশুদ্ধ সোনা থাকে, অর্থাৎ এতে ১২.৫% অ্যালয় মেশানো থাকে (যেমন তামা, রূপা ইত্যাদি)। সোনার এই ধরনের গয়না আরো দৃঢ় হয়, তবে ২৪ ক্যারট সোনার তুলনায় কিছুটা কম দামি হয়। এটি সাধারণত গয়না তৈরির জন্য জনপ্রিয় কারণ এটি সোনার বিশুদ্ধতা ও শক্তির মধ্যে একটি ভালো সমন্বয় তৈরি করে।
সোনার দাম প্রভাবিতকারী উপাদানসমূহ
সোনার দাম নির্ধারণের অনেকগুলো উপাদান রয়েছে, তার মধ্যে কিছু মূল কারণ নিচে আলোচনা করা হলো:
1. আন্তর্জাতিক বাজার: আন্তর্জাতিক সোনার দাম মার্কিন ডলারে নির্ধারণ হয়। যদি আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম বাড়ে, তাহলে বাংলাদেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়ে। আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম নির্ভর করে বিভিন্ন কারণের ওপর, যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনার রিজার্ভ, এবং বিশ্বের সোনার চাহিদা।
2. বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি: বৈশ্বিক মন্দা বা মহামারি (যেমন কোভিড-১৯) যখন হয়, তখন বিনিয়োগকারীরা সোনাকে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে দেখতে শুরু করেন। এর ফলে সোনার চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং দামও বৃদ্ধি হতে পারে।
3. মূল্যস্ফীতি: সোনার দাম প্রাকৃতিকভাবে মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে রক্ষা প্রদান করতে সক্ষম। যখন একটি দেশের মুদ্রার মান হ্রাস পায়, তখন মানুষ সোনাকে একটি স্থিতিশীল মূল্য হিসেবে দেখে, যার ফলে দাম বাড়তে থাকে।
4. বাংলাদেশের স্থানীয় বাজার: বাংলাদেশে সোনার দাম আন্তর্জাতিক বাজারের পরিবর্তনের সাথে সাথে স্থানীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়। তবে, বিভিন্ন দোকান এবং শহরের মধ্যে দাম কিছুটা ভিন্ন হতে পারে কারণ দোকানের মধ্যে মার্জিন এবং পরিবহন খরচও অন্তর্ভুক্ত থাকে।
5. চাহিদা এবং সরবরাহ: সোনার দাম সরবরাহ ও চাহিদার সম্পর্কেও নির্ভর করে। যদি সোনার চাহিদা বেশি হয়, তবে দাম বাড়ে। বিশেষত, বড় উৎসব বা বিবাহের মৌসুমে সোনার চাহিদা বেড়ে যায় এবং এর ফলে দামও ওঠে।
6. সোনার রপ্তানি এবং আমদানি: বাংলাদেশের সোনার বাজারের বড় একটি অংশ বিদেশ থেকে আমদানি করা সোনার উপর নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক সোনার বাজারের দামে পরিবর্তন হলে, তা দেশের বাজারেও প্রতিফলিত হয়।
২১ ক্যারট সোনার দাম
বাংলাদেশে ২১ ক্যারট সোনার দাম বেশিরভাগ সময় ২২ ক্যারট বা ২৪ ক্যারট সোনার থেকে কম হয়, কারণ এটি কিছুটা কম বিশুদ্ধ। তবে এর দাম নির্ভর করে বাজারের পরিস্থিতি, এবং সাধারণত এই সোনার দাম প্রতি ভরিতে ৩-৪ হাজার টাকা কম হতে পারে ২৪ ক্যারট সোনার তুলনায়।
উদাহরণস্বরূপ, যদি ২৪ ক্যারট সোনার দাম ১ লাখ ৪৬ টাকা প্রতি ভরি (১১.৬৬ গ্রাম) হয়, তাহলে ২১ ক্যারট সোনার দাম তার ৮৭.৫% বিশুদ্ধতার জন্য কিছুটা কম হবে, এবং এটি প্রায় ১ লাক্ষ ৩৯ হাজার টাকা প্রতি ভরি হতে পারে।
বাজারের অবস্থার ওপর নির্ভরশীলভাবে ওঠানামা করে। তাই দাম নিশ্চিত করতে স্থানীয় সোনার দোকান বা অনলাইন মাধ্যম থেকে সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহ করা সবচেয়ে ভালো।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- ১২ ঘণ্টায় ১,০৫৭ জন পুরুষকে খুশি করে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ২২ বছরের যুবতী
- ফাঁস হলো ষড়যন্ত্র, বাংলাদেশ দখলের পরিকল্পনা করছে ভারত
- গাজায় নিহত ইসরায়েলি ৪১২ সেনা নিহত
- ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়া বৃদ্ধের আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- বাংলাদেশে সব রেল প্রকল্প স্থগিত করলো ভারত, এর পেছনে কারণ কি
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- বাংলাদেশকে সুখবর দিলো চীন
- ড. ইউনূসকে নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন হিলারি ক্লিনটন
- ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন তৈরির মূল্যবান খনিজ আছে বাংলাদেশে
- আবারও ছুটি ও বেতন নিয়ে দারুণ সুখবর!
- জানা গেলো, কবে চালু হবে বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা!
- ৪ ওভার বোলিং করে কত টাকা পুরস্কার পেলেন রিশাদ