| ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

বিপিএলে ২ বছরে ৩০ টি দু*র্নীতি ও ফি*ক্সিং

খেলাধুলা ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৪ নভেম্বর ০১ ১৯:২০:৩০
বিপিএলে ২ বছরে ৩০ টি দু*র্নীতি ও ফি*ক্সিং

বিশ্বব্যাপী ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগের বৃদ্ধির সাথে সাথে ক্রিকেটে দুর্নীতি ও ফিক্সিংয়ের ঝুঁকিও বেড়ে চলেছে। বিভিন্ন দেশের মধ্যে টি-টোয়েন্টি থেকে শুরু করে টি-টেন, অনেক টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা আইসিসির জন্য দুর্নীতি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে, আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালা অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট হলেও, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এখানে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম *দ্য টেলিগ্রাফ* এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত দুই বছরে বিপিএলে ৩০টিরও বেশি দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে, কিন্তু কোনো খেলোয়াড়কে নিষিদ্ধ করা হয়নি। এমনকি, দুর্নীতির প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত অনেক খেলোয়াড় অবাধে খেলতে পারছেন।

আইসিসির সাবেক দুর্নীতিবিরোধী ইউনিটের প্রধান স্টিভ রিচার্ডসন এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিপিএলসহ অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। আয়োজকরা দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য আইসিসির সহায়তা না নিয়ে কম খরচে কার্যক্রম চালায়, যা বিপিএলে স্বচ্ছতার অভাব সৃষ্টি করছে।

এতে বলা হয়েছে, "গত দুই বছরে বিপিএলে ৩০টিরও বেশি দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে, কিন্তু কেউ নিষিদ্ধ হয়নি। অভিযুক্তরা প্রায়ই প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত খেলায় থেকে যান।"

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, অনেক ক্রিকেটার অভিযোগ জানাতে চাইলেও নিরাপত্তাহীনতার কারণে এগিয়ে আসতে ভয় পান। অভিযোগ জানাতে তারা তখনই প্রস্তুত হন, যখন সরাসরি ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। সন্দেহ থাকার সত্ত্বেও অনেকেই মুখ খুলতে নারাজ।

রিচার্ডসন উল্লেখ করেছেন, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো যখন নিজেদের মতো দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করে, তখন ঝুঁকির পরিমাণ বেড়ে যায়। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে কিনা।

তিনি বলেন, "যখন ছোট ফ্র্যাঞ্চাইজি নিজস্ব কার্যক্রম পরিচালনা করে, তখন দুর্নীতিবিরোধী বিধান শক্তিশালী হয় কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।"

বিপিএলে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়; দ্বিতীয় আসর থেকেই ফিক্সিংয়ের ঘটনা সামনে এসেছে। ২০১৯ সালে আফগানিস্তানের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান শফিকুল্লাহ ৬ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন, এবং ২০১৬ সালের বিপিএলে পাকিস্তানের নাসির জামশেদও ফিক্সিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত হন।

এভাবে বিপিএল প্রমাণ করে, ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে দুর্নীতি ও ফিক্সিংয়ের ঝুঁকি নিয়মিত বিদ্যমান। দুর্নীতি রোধে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হলেও, এটি পুরোপুরি প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না, যা বিপিএলের স্বচ্ছতা ও সুনামের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

ক্রিকেট

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হল বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ নির্ধারণ ম্যাচ, দেখে নিন ফলাফল

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হল বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ নির্ধারণ ম্যাচ, দেখে নিন ফলাফল

৬ বছর পর ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় ছিনিয়ে এনেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ের চেয়ে এই ম্যাচে ...

ব্যাটিংয়ে বিশাল ঝড় ২৮১ রান: নতুন হার্ড হিটার ব্যাটার খুজে পেল বিসিবি

ব্যাটিংয়ে বিশাল ঝড় ২৮১ রান: নতুন হার্ড হিটার ব্যাটার খুজে পেল বিসিবি

বাংলাদেশের ক্রিকেটে উদীয়মান নক্ষত্র হয়ে উঠছেন ২০ বছর বয়সী জিসান আলম। ঘরোয়া ক্রিকেটে তার বিস্ফোরক ...

ফুটবল

নতুন চমক নিয়ে ২০৩৪ বিশ্বকাপের নাম ঘোষণা করলো ফিফা

নতুন চমক নিয়ে ২০৩৪ বিশ্বকাপের নাম ঘোষণা করলো ফিফা

আগেই বেশ কিছুটা নিশ্চিত ছিল যে, ২০৩৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক হবে সৌদি আরব। এবার ...

মুখোমুখি লড়াইয়ে নামবেন পুরোনো ‘শ'ত্রু’ নেইমার-এমবাপে

মুখোমুখি লড়াইয়ে নামবেন পুরোনো ‘শ'ত্রু’ নেইমার-এমবাপে

২০১৭ সালে বার্সেলোনা ছাড়ার পর নেইমার জুনিয়র রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরোতে পিএসজিতে যোগ দেন। একই ...