২৩০ বছর পর ৫২ রানে ২ উইকেট, ৫৩ রানে অলআউট!

অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে একটি চরম অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটে গেল। তাসমানিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে কাপে ৫২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর মাত্র ৫৩ রানে অলআউট হয়ে যায় পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া। এই ব্যাটিং ধস ক্রিকেট ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনা।
পার্থের ওয়াকা গ্রাউন্ড, যা বিশ্বের দ্রুতগতির পিচ হিসেবে পরিচিত, সেখানে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামেন পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়রা। শুরুটা খুব খারাপ ছিল না; তারা প্রথম উইকেট হারায় ১০ রানে। এরপর দ্রুত ৪৫ রানে পৌঁছানোর পর দ্বিতীয় উইকেটও হারায়। দুই ওপেনার, অ্যারন হার্ডি এবং ডার্চি শর্ট আউট হলে, দলের মধ্যে চাপ বেড়ে যায়।
এরপর মাঠে প্রবেশ করে তাসমানিয়ার দুই পেসার বিউ ওয়েবস্টার এবং বিলি স্ট্যানলেক। তারা দ্রুতগতির বোলিংয়ে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের তুলোধুনো করতে শুরু করেন। এই পরিস্থিতিতে ইনিংসটি যেন চোখের পলকে শেষ হয়ে যায়। ওয়ানডে কাপের সফলতম দল এবং বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া শেষ ৮ উইকেট হারায় মাত্র ২৭ রানে। দলটির ব্যাটিং লাইনআপ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে।
পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া শেষ পর্যন্ত ৫৩ রানে অলআউট হয়ে যায়, যা ঘরোয়া লিস্ট ‘এ’ ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর এবং পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন। এর আগে, ২০০৩ সালে হোবার্টে তাসমানিয়ার বিপক্ষে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া ৫১ রানে অলআউট হয়েছিল। ১৯৬৯ সালে মেলবোর্নে ভিক্টোরিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া ৫৯ রানে অলআউট হয়েছিল।
পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার শর্ট ২২ রান করেন, এবং তিনে নামা ক্যামেরুন ব্যানক্রফট করেন ১৪ রান। তবে বাকিদের মধ্যে আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরেও পৌঁছাতে পারেননি। তাদের রান ছিল ৭, ১, ০, ০, ০, ০, ০, ০, ০*। এই অবস্থায়, শেষ সাত ব্যাটসম্যানের মধ্যে ছয়জনই ডাক মারেন, যা একটি দৃষ্টান্তমূলক ব্যর্থতা।
অস্ট্রেলিয়ার লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে শেষ সাত ব্যাটসম্যানের কোনো অবদান রাখতে না পারার ঘটনাটি এর আগে ঘটেনি। ২০০২-০৩ মৌসুমে ভিক্টোরিয়ার বিরুদ্ধে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার শেষ সাত ব্যাটসম্যানের অবদান ছিল ১৪ রান, যা ছিল পূর্ববর্তী সর্বনিম্ন স্কোর।
পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া ৫২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ১৪ বলের মধ্যে ৫২ রানে ৭ উইকেটে পরিণত হয়। তখন ইনিংসের মাত্র ১৮ ওভার শেষ হয়েছে। ১৯তম ওভার করতে এসে স্ট্যানলেক প্রথম বলটাই ওয়াইড করেন। এরপর তাসমানিয়া আর কোনো রান দেয়নি। স্ট্যানলেক এবং ওয়েবস্টার মিলে পরবর্তী ১৩ বলের মধ্যে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার শেষ ৩ উইকেট তুলে নেন। ওয়েবস্টার ৬ উইকেট এবং স্ট্যানলেক ৩ উইকেট নেন।
এদিকে, তাসমানিয়া মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সহজেই জয় পায়। তারা ৭ উইকেট ও ২৪৯ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে। এই হারের ফলে টানা চতুর্থবারের মতো পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার শিরোপা জয়ের স্বপ্ন হুমকির মুখে পড়েছে। তারা এখন পর্যন্ত চার ম্যাচের তিনটিতে হেরে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে অবস্থান করছে, যা তাদের জন্য বড় বিপদের সংকেত।
পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার এই হতাশাজনক পারফরম্যান্স ক্রিকেট বিশ্বে একটি নতুন আলোচনা শুরু করেছে, যেখানে তাদের ব্যাটিং লাইনআপের দুর্বলতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে। আগামী ম্যাচগুলোতে তাদের জন্য সুস্থ ও শক্তিশালী প্রত্যাবর্তনের সুযোগ রয়েছে, কিন্তু এই ধরণের ব্যর্থতা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- আল আউটের পর বোলিংয়ে বাংলাদেশ, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর
- বাংলাদেশ দলে ৩টি পরিবর্তন করলে পর পর দুই ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে খেলা সম্ভব
- পাকিস্তান শিবিরে আঘাত হানলেন সাকিব, ২০ ওভার শেষ দেখে নিন স্কোর
- বাড়ল সিঙ্গাপুর ডলারের রেট
- বাড়ল মালয়েশিয়ান রিংগিতের দাম
- বোলিংয়ে প্রথম ১০ ওভারে জ্বলে উঠলো বাংলাদেশ, দেখে নিন সর্বশেষ স্কোর
- দেশে ফের বাড়ল সৌদি রিয়ালের বিনিময় হার
- আজ ২০ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতন বাড়ল
- বাড়ল সৌদি রিয়ালের বিনিময় হার
- এই মাত্র গ্রেপ্তার শেখ হাসিনার
- আজও বাড়ল সৌদি রিয়ালের বিনিময় রেট
- ঢাকার পরিস্থিতি আজ ভয়াবহ খারাপ