চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস, শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই রাষ্ট্রপতির কাছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন—এ ধরনের কোনো দালিলিক প্রমাণ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে নেই। রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, তিনি শুধুমাত্র শুনেছেন যে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন।
দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে আলাপকালে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন, যা সম্প্রতি রাজনৈতিক ম্যাগাজিন ‘জনতার চোখ’–এ প্রকাশিত হয়েছে।
৫ আগস্টের আলাপে রাষ্ট্রপতি বলেন, “চারদিকে অস্থিরতার খবর। কী হতে যাচ্ছে তা জানি না। গুজবের ওপর নির্ভর করে বসে থাকতে পারি না, তাই সামরিক সচিব জেনারেল আদিলকে বললাম খোঁজ নিতে। তাঁর কাছেও কোনো খবর নেই। আমরা অপেক্ষা করছি এবং টেলিভিশনের স্ক্রলও দেখছি। এক পর্যায়ে শুনলাম, তিনি দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। আমাকে কিছু জানানো হয়নি। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার যখন বঙ্গভবনে এলেন, তখনও জানার চেষ্টা করেছি—প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন কি না। একই উত্তর—শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন।”
রাষ্ট্রপতি আরও জানান, “সব কিছু যখন নিয়ন্ত্রণে এলো, তখন একদিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব এলেন পদত্যাগপত্রের কপি সংগ্রহ করতে। তাঁকে বললাম, আমিও খুঁজছি।”
তিনি বলেন, “এ নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী চলে গেছেন—এটাই সত্য। তবে কখনো যাতে এ প্রশ্ন না উঠে, সে জন্য সুপ্রিম কোর্টের মতামত নিয়েছি।” এর পর ৮ আগস্ট তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ বিষয়ে মতামত দেয়।
মতামতে বলা হয়, সাংবিধানিক শূন্যতা দূর করতে এবং নির্বাহী বিভাগ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা যেতে পারে। প্রেসিডেন্টকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্যান্য উপদেষ্টাদের শপথ গ্রহণের অনুমতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
শেখ হাসিনার বক্তব্যের সুযোগ হয়নি
মতিউর রহমান চৌধুরীর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে রেডিও ও টেলিভিশনে বক্তব্য দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “দীর্ঘ নয়, অল্প সময় কথা বলব।” তবে পরিস্থিতি এবং সেনাপ্রধানের অনাগ্রহের কারণে তিনি সে সুযোগ পাননি। তাঁকে জানানো হয়, লোকজন জড়ো হয়ে গেছে এবং নিরাপত্তার কারণে তাঁকে বক্তব্য দেওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবে না। হাসিনা বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ হলেও কিছুই করতে পারেননি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বক্তৃতায় শেখ হাসিনা বলার চেয়েছিলেন যে, তাঁর ইচ্ছায় নয়, বলপূর্বক তাঁকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। তিনি কারা এবং কোন বিদেশি শক্তি তাঁর সরকারকে উৎখাত করতে চেয়েছে, সেই বিষয়েও আলোচনা করতে চেয়েছিলেন।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্নভাবে দরকষাকষি চলছিল, এবং নয়াদিল্লি থেকে বারবার ফোন আসছিল—প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয়। ঢাকার তরফে দিল্লিকে বলা হয়েছিল, বিমান পাঠিয়ে হাসিনাকে নিয়ে যেতে। তবে সে অনুরোধে সাড়া দেয়নি দিল্লি। শেষে বাংলাদেশি উদ্যোগে বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০ বিমানে শেখ হাসিনাকে দিল্লি পাঠানো হয়। হাসিনাকে বহনকারী বিমানে তার ছোটবোন শেখ রেহানা ও নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকও ছিলেন।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- ‘মীর মুগ্ধ নামে কেউ মারা যায়নি’ কিংবা ‘মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ একই ব্যক্তি’
- চ্যাম্পিয়ন ট্রাফির আগে বিসিবির সভাপতি হতে পারেন মাশরাফি, ক্যাপ্টেন্সিতে ফিরতে পারেন তামিম!
- আইপিএল নিলামে ইতিহাস গড়ে ৪ কোটি রুপি দামে যে দলে মুস্তাফিজ, দেখে নিন নাহিদ-তাসকিনের অবস্থান
- ‘তৃতীয় বি'শ্ব'যু*দ্ধ শুরু হয়ে গেছে’
- সেই তামিমকে অধিনায়ক করে শক্তিশালী দল ঘোষণা করলো বাংলাদেশ
- এই মাত্র পাওয়া ; জড়ো হচ্ছেন শত শত মানুষ, অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি, বন্ধ ইন্টারনেট!
- ১০ কোটিতে আফগানিস্তানের নূরকে কিনেছে চেন্নাই, মুস্তাফিজের নাম যে সময় ডাকা
- এই মাত্র পাওয়া : মারা গেলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক
- অবশেষে কেরানীগঞ্জ থেকে আটক ওবায়দুল কাদেরের
- তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে নিরাপদ থাকবে যেসব দেশ, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
- ১ গোলে শেষ হল, আর্জেন্টিনা বনাম পেরু বাঁচা মরার লড়াই
- অবশেষে এতদিন পর সামনে এলো মুনতাহা হ*ত্যা'র আসল কারণ
- আইপিএলে সাকিব-মুস্তাফিজ এক দলে, তাসকিনের ঠিকানা কলকাতা নাইট রাইডার্স!
- এক লাফে বিশাল বাড়ল মালয়েশিয়ান রিংগিতের দাম, দেখে নিন আজকের দাম
- সাকিব-মুস্তাফিজকে পিছনে ফেলে আইপিএল নিলামে ঝড় তুলে দল পেলেন নাহিদ রানা