বিতর্কিত সাকিব পাপনের কমিটির আসল তথ্য ফাঁস

সাকিব আল হাসানকে ঘিরে বিতর্ক তার দীর্ঘ ও সফল ক্যারিয়ারে ছায়ার মতো লেগে আছে। তবে এই বিতর্কের দায় কি শুধুই সাকিবের, নাকি এর পেছনে রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পুরোনো কমিটিরও ভূমিকা? সাবেক ক্রিকেটাররা মনে করেন, সাকিব রাজনীতিতে না জড়ালে তার টেস্ট ক্যারিয়ার আরও দীর্ঘ হতে পারত। সাকিবের নিজ থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান, যিনি চান, সাকিব ঘরের মাঠে মিরপুর টেস্ট খেলে সম্মানজনকভাবে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানাক।
সাকিব বর্তমানে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে আছেন। কানপুর টেস্টের পর তার ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। মিরপুর টেস্ট দিয়ে টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি, তবে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন বিসিবির কাছে। বিসিবি যদিও সাকিবের দাবি পুরোপুরি মানতে রাজি হয়নি, সাকিবের মতো একজন তারকা খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে বোর্ডের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
সাকিবের গুরু নাজমুল আবেদীনও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, কানপুর টেস্টই হয়তো সাকিবের শেষ টেস্ট হতে পারে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় পোস্টার বয় হওয়া সত্ত্বেও সাকিবের ক্যারিয়ারজুড়ে নানা বিতর্ক ও সমালোচনা তাকে তাড়া করে ফিরেছে। বিশেষ করে রাজনীতিতে জড়ানোর পর সাকিবকে আরও বেশি সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। স্বৈরাচার সরকার পতনের পর একটি হত্যা মামলায় আসামি হওয়া, আর সেই সঙ্গে রাজনীতিতে সক্রিয়তার কারণে অনেকেই মনে করেন সাকিবের এ পরিণতির পেছনে বিসিবির কিছুটা দায় রয়েছে।
সাবেক ক্রিকেটার ইশতিয়াক আহমেদ বলেছেন, "সাকিব একজন ক্রিকেটার হয়েও দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যখন তখন কথোপকথন করতে পারেন, এমন ঘটনা পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যায় না। আমাদের দেশে স্বৈরাচারী সরকার ছিল, আর সেই প্রভাব বিসিবিতেও দেখা গেছে।"
তবুও, সাকিবের টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তকে অনেকে স্বাগত জানিয়েছেন। রকিবুল হাসান সাকিবের সিদ্ধান্তকে প্রশংসা করে বলেছেন, এটি একটি সাহসী ও বিচক্ষণ পদক্ষেপ, যা অন্য ক্রিকেটারদের জন্যও উদাহরণ হতে পারে। তিনি চান, সাকিব মিরপুর টেস্ট খেলে দেশের সমর্থকদের সামনে বিদায় নিন, যেন তার শেষটা হয় ভালোবাসায় ঘেরা একটি ম্যাচ দিয়ে।
সাকিবের বিদায়: বিসিবির দায় এবং ভবিষ্যতের প্রশ্ন
সাকিবের বিদায়ের প্রশ্নে বিসিবির পুরনো কমিটির ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক আরও ঘনীভূত হয়েছে। সাকিব যখনই নিজের পথে এগোনোর চেষ্টা করেছেন, তখনই নানা বিতর্ক তাকে আটকে দিয়েছে। তার রাজনীতিতে অংশগ্রহণ এবং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে জড়ানোকে অনেকে স্বাগত জানালেও, এর কারণে তার ক্যারিয়ারে ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিসিবি কি সাকিবকে সমর্থন দিতে ব্যর্থ হয়েছে, নাকি সাকিব নিজেই নিজের ক্যারিয়ারের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছেন?
সাকিবের সাফল্যগাথা যেমন বড়, তেমনই বিতর্কও কম নয়। তবে এ কথা অস্বীকার করা যায় না যে, সাকিবের বিদায় বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য এক বিশাল ক্ষতি হবে। যদি মিরপুর টেস্টই হয় তার শেষ, তাহলে বাংলাদেশের ক্রিকেটে এক যুগের সমাপ্তি ঘটবে, এবং সাকিবের বিদায়ী ম্যাচ হবে আবেগঘন ও স্মরণীয়।
ভক্তদের প্রত্যাশা: সম্মানের সঙ্গে সাকিবের বিদায়
ভক্তরা চান, সাকিব তার শেষ টেস্ট ম্যাচে দেশের মাটিতে সম্মানের সঙ্গে বিদায় নিন। মিরপুরে তার শেষ ম্যাচটি হবে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এক আবেগঘন মুহূর্ত, যা বহুদিন মনে থাকবে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- ১২ ঘণ্টায় ১,০৫৭ জন পুরুষকে খুশি করে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ২২ বছরের যুবতী
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ফাঁস হলো ষড়যন্ত্র, বাংলাদেশ দখলের পরিকল্পনা করছে ভারত
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- গাজায় নিহত ইসরায়েলি ৪১২ সেনা নিহত
- ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়া বৃদ্ধের আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- কিভাবে বুঝবেন সন্তান পর্নোগ্ৰাফিতে আসক্ত
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- ড. ইউনূসকে নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন হিলারি ক্লিনটন
- বাংলাদেশকে সুখবর দিলো চীন
- ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন তৈরির মূল্যবান খনিজ আছে বাংলাদেশে