ক্ষমতা পেয়েই নাজমুল হাসান পাপনের পথেই হাটছে ফারুক আহমেদের বোর্ড!

আলমের খান তার বিশদ বিশ্লেষণে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে ক্রিকেটের গুরুত্ব এবং প্রভাবকে গভীরভাবে তুলে ধরেছেন। তার মতে, ক্রিকেট কেবল একটি খেলা নয়; এটি বাংলাদেশের মানুষের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ধনী থেকে গরিব, রিকশাচালক থেকে মার্সিডিজ চালক—সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষই কোনো না কোনোভাবে ক্রিকেটের সাথে জড়িত। ক্রিকেট এমন একটি খেলা যা দেশের প্রতিটি কোণায় সমানভাবে জনপ্রিয়, এবং এই খেলার প্রতি মানুষের আবেগও অসীম।
বাঙালিরা স্বভাবগতভাবে আবেগপ্রবণ, এবং ক্রিকেটের ক্ষেত্রে সেই আবেগের বহিঃপ্রকাশ যেন আরও তীব্র হয়। এই আবেগকে প্রায়শই ব্যবহার করা হয় জনগণের মনোযোগ সরিয়ে নেওয়ার জন্য, এবং এখানেই "আই ওয়াশ ফর্মুলা" বা ভান করার কৌশলটি প্রযোজ্য। এই কৌশলের মূল উদ্দেশ্য হলো কোনো সমস্যা বা ব্যর্থতার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরিস্থিতিকে ঠান্ডা করা। যেহেতু বাঙালিরা খুব আবেগপ্রবণ এবং তাদের আবেগ দীর্ঘস্থায়ী হয় না, তাই সময়ের সাথে সাথে সমস্যা চাপা পড়ে যায়।
আলমের মতে, নাজমুল হাসান পাপন তার ১২ বছরের বিসিবি প্রেসিডেন্সিতে এই "আই ওয়াশ ফর্মুলা" প্রয়োগে দক্ষতা দেখিয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ, ২০২১ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দলের পারফরম্যান্স ভীষণ হতাশাজনক ছিল। যখন দল দেশে ফিরে আসে, তখন বিসিবির পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয় যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এই ঘোষণাটি দেশের মানুষের উত্তপ্ত আবেগকে প্রশমিত করতে কার্যকর হয়েছিল।
অনেকেই ভাবতে শুরু করেছিলেন যে নিশ্চয়ই দলের ব্যর্থতার পেছনে কোনো গুরুতর সমস্যা রয়েছে এবং বিসিবি এটি খতিয়ে দেখে সমাধান করবে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এই তদন্তের ফলাফল সম্পর্কে আর কোনো তথ্য প্রকাশিত হয়নি, এবং তদন্ত রিপোর্টও কখনো জনসমক্ষে আসেনি। এর মাধ্যমে বোঝা যায় যে এই পুরো প্রক্রিয়া ছিল "আই ওয়াশ ফর্মুলা"র একটি অংশ, যা কেবল পরিস্থিতি সামলানোর জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল।
আলম আরও উল্লেখ করেন যে, তিন বছর আগে যখন দেশের ক্রিকেট নিয়ে সমালোচনা তীব্রতর হচ্ছিল, তখন সমালোচকদের মনোযোগ সরানোর জন্য "বাংলাদেশ টাইগারস" নামে একটি শ্যাডো ন্যাশনাল টিম গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। সেই সময় পত্র-পত্রিকাগুলো বিসিবির এই উদ্যোগের ব্যাপক প্রশংসা করেছিল। সমালোচনার তীব্রতা কমে গিয়ে সবাই সম্ভাবনার দিকে মনোযোগ দিতে শুরু করে। তবে সত্যি বলতে, গত তিন বছরে এই প্রোগ্রামের কী অগ্রগতি হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
এমনকি ক্রীড়া সাংবাদিকরাও এর সঠিক তথ্য জানেন না, যা বোঝায় যে এই উদ্যোগও সম্ভবত "আই ওয়াশ ফর্মুলা"র আরেকটি উদাহরণ ছিল। নতুন বোর্ডের গঠন নিয়ে আলম খান আশাবাদী হলেও, তিনি মনে করেন যে এখনও পর্যন্ত তারা দৃষ্টান্তমূলক কোনো পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হয়নি। যদিও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, এই কমিটির পরামর্শদাতারা অনেকেই নাজমুল হাসান পাপনের সহযোগী ছিলেন। এর ফলে সন্দেহ থেকেই যায় যে এই উদ্যোগটিও কি আবারও "আই ওয়াশ ফর্মুলা"র অংশ কিনা।
তবে আলমের বিশ্বাস, ফারুক আহমেদের মতো একজন যোগ্য নেতার নেতৃত্বে এই ধরনের নিম্নমানের কৌশল গ্রহণ করা হবে না। তিনি আশা করেন, ফারুক আহমেদ বোর্ডের নেতৃত্বে থেকে দেশের ক্রিকেটে সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে পারবেন এবং জনগণের সাথে খেলা হবে না। জনগণ আর ভান করা কোনো পদক্ষেপ দেখতে চায় না; তারা চায় প্রকৃত সমাধান এবং উন্নয়ন।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশ দলে ৩টি পরিবর্তন করলে পর পর দুই ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে খেলা সম্ভব
- বাড়ল সৌদি রিয়ালের বিনিময় হার
- সেনাপ্রধানের বক্তব্যে নিয়ে কড়া বার্তা পাঠাল ভারত-পাকিস্তান
- দেশে ফের বাড়ল সৌদি রিয়ালের বিনিময় হার
- আজ ২০ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতন বাড়ল
- আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- এই মাত্র গ্রেপ্তার শেখ হাসিনার
- আজও বাড়ল সৌদি রিয়ালের বিনিময় রেট
- ঢাকার পরিস্থিতি আজ ভয়াবহ খারাপ
- বেড়ে গেল সৌদি রিয়ালের বিনিময় হার
- কমে গেল সৌদি রিয়ালের বিনিময় রেট
- ভারতীয় মিডিয়ায় শেখ হাসিনার বাংলাদেশে ফেরার ঘোষণা
- আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- ভারতের বিপক্ষে হারের দোষ সরাসরি যাকে দিলেন অধিনায়ক শান্ত