| ঢাকা, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১

দেইলিয়ার পথে বাংলাদেশের যে ১০ ব্যাংক

জাতীয় ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৪ সেপ্টেম্বর ১০ ১১:৩১:২৩
দেইলিয়ার পথে বাংলাদেশের যে ১০ ব্যাংক

বিতরণ করা ঋণের গুণমান বিবেচনায় ব্যাংকগুলিকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জামানত সংরক্ষণ (বরাদ্দ) হিসাবে রাখতে হয়। পরবর্তী পর্যায়ে ব্যাংক ঋণ যাতে খারাপ ঋণ (খেলাপি) না হয়ে যায় সেজন্য এই শর্ত করা হয়েছে। আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য, ব্যাংকগুলি তাদের মুনাফা বা শেয়ারহোল্ডারদের মূলধন থেকে চাহিদা সংরক্ষণ করে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১০টি সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক ঋণের জন্য তাদের বিধান বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক, অগ্রণী, রূপালী এবং ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ (বিডিবিএল)। বেসরকারি খাতের বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, সাউথ ইস্ট ব্যাংক এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। এসব ব্যাংকের প্রভিশনে ঘাটতি ৩১ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২৪ সালের জুন ত্রৈমাসিকের অ-পারফর্মিং লোনের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য রয়েছে।

১. ন্যাশনাল ব্যাংক২. আগ্রণী ব্যাংক৩. বিডিবিএল ব্যাংক৪. ঢাকা ব্যাংক৫. সাউথইস্ট ব্যাংক৬. বেসিক ব্যাংক৭. রুপালি ব্যাংক ৮. বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক৯. আইএফাইসি ব্যাংক১০.স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের আবাসন মিশনের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন লেন, নিয়ম অনুযায়ী খারাপ ঋণের বিপরীতে বীমা জমা রাখতে হবে। অতএব, যখন ডিফল্ট সেটিংস বৃদ্ধি পায়, তখন আরও নিরাপত্তা বজায় রাখতে হবে; এটা বজায় না থাকলে ঘাটতি বাড়তেই থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

খেলাপি ঋণের যে তথ্য প্রকাশ করেছে এখন যদি বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে হিসাব করে তাহলে খেলাপি ঋণের এ অঙ্ক আরো অনেক বেড়ে যাবে। তখন ঘাটতি আরও বাড়বে।

অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ বলেন, খেলাপি ঋণ কমাতে না পারলে ঘাটতি কমবে না। আর খেলাপি কমাতে হলে সবার আগে ব্যাংক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। পর্ষদ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান ঋণ নিয়ে ফেরত দিচ্ছে না তাদের বিষয় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। অনিয়মকারী ও এ খাতের রাঘববোয়ালদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

নীতি অনুযায়ী, বর্তমানে অশ্রেণিকৃত ঋণের ধরন অনুযায়ী দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত প্রভিশন রাখতে হয়। এর মধ্যে ব্যাংকগুলো তাদের নিয়মিত বা অশ্রেণিকৃত ঋণের বিপরীতে পরিচালন মুনাফার ০ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত, ‘সাব স্ট্যান্ডার্ড’ বা নিম্নমানের শ্রেণিকৃত ঋণের বিপরীতে ২০ শতাংশ এবং ‘ডাউটফুল’ সন্দেহজনক শ্রেণিকৃত ঋণের বিপরীতে ৫০ শতাংশ আর ‘মন্দ’ মানে শ্রেণিকৃত ঋণের বিপরীতে প্রভিশন রাখতে হয় শতভাগ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রভিশন ঘাটতিতে থাকা ব্যাংকগুলোর মধ্যে সব চেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক। ব্যাংকটির প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ ১৪ হাজার ৭০৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিকের ঘাটতি ৫ হাজার ২৪১ কোটি টাকা, অগ্রণীর ৫ হাজার ৩১১ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংকের ৪ হাজার ৪০১ কোটি টাকা ও বিডিবিএল এর ঘাটতি ২৪ কোটি টাকা। বেসরকারি খাতের বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি ৪৪৩ কোটি টাকা, ঢাকা ব্যাংকের ৩২৭ কোটি, আইএফআইসি ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি ৫০৬ কোটি টাকা, সাউথইস্ট ব্যাংকের ১৯৮ কোটি টাকা ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি দাড়িয়েছে ৩৯১ কোটি টাকা।

প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ৩০টি ব্যাংক কোনোমতে এ অর্থ রাখতে পেরেছে। অর্থাৎ এসব ব্যাংকের নিরাপত্তা সঞ্চিতিতে কোনো ঘাটতিও নেই, উদ্বৃত্তও নেই। সরকারি-বেসরকারি ১০ ব্যাংক নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছে। বাকি ব্যাংকগুলোয় নিরাপত্তা সঞ্চিতি উদ্বৃত্ত রয়েছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুন মাস শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট বিতরণে ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে দুই লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। তিন মাস আগে মার্চ প্রান্তিকে ব্যাংকিং খাতের মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ৪০ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ছিল এক লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, যা ওই সময়ের মোট বিতরণ করা ঋণের ১১.১১ শতাংশ। সেই হিসেবে তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৯ হাজার ৯৬ কোটি টাকা।

২০০৯ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল, তখন ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। সেই খেলাপি ঋণ এখন দুই লাখ ১১ হাজার কোটি টাকারও বেশি। অর্থাৎ শেখ হাসিনার সরকারের ১৬ বছরের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে এক লাখ ৮৮ হাজার ৯১০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত সামগ্রিকভাবে ব্যাংক খাতে এক লাখ ১৪ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা প্রভিশন রাখার কথা ছিল। কিন্তু সংরক্ষণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৯ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা। এর মানে প্রয়োজনের তুলনায় ২৪ হাজার ৮১০ কোটি টাকা সামগ্রিক ঘাটতি হয়েছে। কোনো কোনো ব্যাংক প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ নিরাপত্তা সঞ্চিতি হিসেবে রেখে দেওয়ায় সার্বিকভাবে ব্যাংক খাতে ঘাটতির পরিমাণ কিছুটা কম হয়েছে।

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

২০২৫ সালে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে বড় চমক, বাদ দুই সিনিয়র খেলোয়াড়

২০২৫ সালে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে বড় চমক, বাদ দুই সিনিয়র খেলোয়াড়

প্রতিবছর জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জন্য একটি কেন্দ্রীয় চুক্তি তৈরি করা হয়, যা সাধারণত নতুন বছরের ...

ম্যাচ হারের পর যে কারণে হেলসের দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন তামিম

ম্যাচ হারের পর যে কারণে হেলসের দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন তামিম

গতকাল সিলেটে রংপুর রাইডার্সের কাছে অবিশ্বাস্যভাবে পরাজিত হয় ফরচুন বরিশাল। শেষ ওভারে ২৬ রান ডিফেন্ড ...

ফুটবল

নতুন চমক নিয়ে ২০৩৪ বিশ্বকাপের নাম ঘোষণা করলো ফিফা

নতুন চমক নিয়ে ২০৩৪ বিশ্বকাপের নাম ঘোষণা করলো ফিফা

আগেই বেশ কিছুটা নিশ্চিত ছিল যে, ২০৩৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক হবে সৌদি আরব। এবার ...

২০২৫ সালে আর্জেন্টিনার খেলার সূচি : এক নজরে দেখে নিন সব ম্যাচ

২০২৫ সালে আর্জেন্টিনার খেলার সূচি : এক নজরে দেখে নিন সব ম্যাচ

কাতার বিশ্বকাপের পর থেকেই আর্জেন্টিনা ফুটবলে দুর্দান্ত ধারাবাহিকতা দেখিয়ে আসছে। তবে বছরের শেষ দিকে আন্তর্জাতিক ...