১২ বিসিবিতে পাপনের ছায়ায় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন যারা

নাজমুল হাসান পাপন নেতৃত্বাধীন বোর্ডে রাতারাতি কলাগাছ হয়ে উঠেছেন বেশ কয়েকজন পরিচালক ও সাব কমিটির সদস্য বেক্সিমকো কোম্পানিতে চাকুরেরা গড়েছেন ধন সম্পদ। সরকার পতনের আভাস পেয়ে ৫ অগাস্ট রাতে বেক্সিমকোর প্রান্তদের নেতৃত্বে ব্যাগ নিয়ে বিসিবি ছাড়তে দেখা যায় বেশ কয়েকজন কে।এ ঘটনায় পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৩৫ লক্ষ টাকা নিয়েই কজন বেরিয়ে গেছে। একই ঘটনার পরের দিনই বিসিবিতে গত ১২ বছরে বঞ্চিতরা রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম দেয় মোহরা।এতে করে বিসিবি থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ দলিল সরানো সম্ভব হয়নি।
যদিও এ সময় বিসিবির গত ১০ বছরে বোর্ড পরিচালক ডাক্তার ইসমাইল হায়দার মল্লিক এর আশীর্বাদপুষ্ট দের দেখা যায় দলবদলের মিছিল করতে সেই তালিকার নামগুলোর মধ্যে আছে অ্যাকাউন্ট বিভাগের জুয়েল সরকারের। যিনি মল্লিকের খুব কাছের লোক হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। হঠাৎ করেই রাজনৈতিক পরিচিতি বদলানোর এই ঘটনার মধ্যে বেরিয়ে আসে একের পর এক তথ্য। মনামী গ্রামের আরও একজন অ্যাকাউন্টসে কাজ করেন। বিসিবির হয়ে তাঁর সঙ্গে আছেন বিভাগীয় প্রধান আব্দুল মান্নান সরকার। চার সদস্যের এই হিসাব রক্ষণ বিভাগকে ঘিরে মল্লিকের লক্ষীন্দরের বাসরঘরের মতো নিশ্ছিদ্র ব্যবস্থা, যেখানে অডিট করে কোনো দুর্নীতি প্রমাণ করা প্রায় অসম্ভব৷
তার পরও কিছু ত্রুটি কখনও ভোলা যায় না। মান্নানের স্ত্রী মুর্শিদা হাফিজকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দিতে বিসিবির এফডিআর একটা অংশ সরিয়ে নেওয়া হয় মিরপুর স্টেডিয়ামের কাছে ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে। অন্তত ৭৫ লক্ষ টাকার এই ব্যবস্থাপত্রে উন্নতি হয়েছে মান্নানের স্ত্রী মুর্শিদা হাফিজার। এ বিষয়ে বিসিবির প্রধান হিসাব রক্ষক মান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ক্যামেরার সামনে কোনও কথা বলতে চাননি। তবে ফোনে জানিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে নিয়মের ব্যতিক্রমও করা হয়নি। যদিও অনুসন্ধান করে জানা গেছে সোমবার এফডিআর ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছিল বিসিবি।
গত ১২ বছর ধরে চলতে থাকা অনিয়ম শুধু অর্থনৈতিক হিসেবে তল পাওয়া আসলেই কঠিন। আমরা জানি বিসিবির ৯০০ কোটি টাকা আছে। কিন্তু এই ১০০ কোটি টাকা বা ২০০ কোটি টাকাও তো আমাদের হিসাব থাকতে পারত। সেই অ্যাকাউন্টে ঠিকঠাক কোথায় এই টাকার অংশটি যে আসলে প্রকৃত আয় বা প্রকৃত বিসিবির কোষাগারে জমা আছে সেটা এখন কোথায়? সুতরাং এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় সমস্যা কোনও ধরনের অ্যাকাউন্টেবিলিটি নেই। বিসিবির প্রধান হিসেবে নাজমুল হাসান পাপন আসার পর থেকে বেক্সিমকো ফার্মা শুধু নয়, একে একে এ পথে ব্রেক্সিটের ও চলে আসে সাংঘর্ষিক।
এর চেয়ে বড় ব্যাপার হল বিসিবি তার কর্মকাণ্ডে কখনওই স্বচ্ছতার জায়গা রাখেনি। কাগজে কলমে রাখা একটা দায় থাকলেও ভিতরে ভিতরে আগে থেকেই নির্ধারিত হয়ে থাকত অনেক কিছুই। এই বোর্ডের ব্যানারে নাজমুল হাসান পাপন, ইসমাইল হায়দার, মল্লিক, মাহবুবুল আনাম হয় নিজামদের পিচ ফাউন্ডেশনের খাবার দেওয়া হয়েছে নিয়মিত। এছাড়াও আরেক বোর্ড পরিচালকের কাছের লোক হিসেবে মাহতাব উদ্দিনের কোম্পানি সেন্টু স্পোর্টস এ পর্যন্ত গত ১২ বছরে অন্তত ৭০ লক্ষ টাকার জার্সি তৈরির কাজ একাই পেয়েছেন বলে ভেতরের খবর।
যদিও সেই ফোনে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাংঘর্ষিক ঘটনার এখানেই শেষ নয়। বর্তমান বোর্ড পরিচালক হিসেবে আকরাম খানের সঙ্গে ইসমাইল হায়দার মল্লিক এর ব্যবসা থাকার বিষয়টিও সামনে চলে এসেছে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- ১২ ঘণ্টায় ১,০৫৭ জন পুরুষকে খুশি করে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ২২ বছরের যুবতী
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ফাঁস হলো ষড়যন্ত্র, বাংলাদেশ দখলের পরিকল্পনা করছে ভারত
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- গাজায় নিহত ইসরায়েলি ৪১২ সেনা নিহত
- ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়া বৃদ্ধের আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- বাংলাদেশে সব রেল প্রকল্প স্থগিত করলো ভারত, এর পেছনে কারণ কি
- বাংলাদেশকে সুখবর দিলো চীন
- ড. ইউনূসকে নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন হিলারি ক্লিনটন
- ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন তৈরির মূল্যবান খনিজ আছে বাংলাদেশে