| ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

ভারত থেকে ফেরত পাঠানো হল ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রভাবশালী নেতার গলিত লা'শ

জাতীয় ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৪ সেপ্টেম্বর ০১ ০৬:৪৬:৩১
ভারত থেকে ফেরত পাঠানো হল ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রভাবশালী নেতার গলিত লা'শ

ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্নার মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে মেঘালয় পুলিশ। শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর হয়ে তার মরদেহ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

এ সময় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি), তামাবিলে ইমিগ্রেশন পুলিশ, ভারতীয় বর্ডার গার্ড ও মেঘালয়ের পশ্চিম জৈন্তিয়া পার্বত্য জেলার ডাউকি থানা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, সাবেক ছাত্রলীগ নেতার স্বজনদের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারত সরকারকে পান্নার মরদেহ বাংলাদেশে পাঠাতে বলেছিল।

বিভিন্ন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শনিবার তামাবিল সীমান্ত থেকে পান্নার মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে মেঘালয় পুলিশ। লাশ প্রসবের সময় নিহতের ভাতিজা মো. কামার আল-জামান খান নাবিল উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা (ইউএনও) সিইও মো. তওহিদুল ইসলাম বলেন, “বিজিবি-বিএসএফ ও পুলিশের উপস্থিতিতে আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিয়ম অনুযায়ী মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।” কানিঘাটের দোনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় ২৪ আগস্ট শনিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।

পরে জানা যায়, শিলংয়ে পাহাড়ে উঠার সময় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। ২৬শে আগস্ট উমকিয়াং থানা পুলিশ ভারতের অভ্যন্তরে একটি অর্ধ-পচা মৃতদেহ খুঁজে পায়। এর আগে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন ইসহাক আলী খান পান্না। সেদিনই তার পিরোজপুর শহরের পাড়েরহাট সড়কের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা ভাঙচুর ও আগুন দেয়।

পিরোজপুরের পৈত্রিক নিবাসে পৃথক দ্বিতল ভবন করেছিলেন পান্না। তার এক ভাই ওই বাড়িতে থাকলেও সরকার পতনের পর থেকে তিনিও আত্মগোপনে আছেন। পান্নার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার বেকুটিয়া গ্রামে। তবে গ্রামের বাড়িতে তার যাতায়াত তেমন ছিল না। ইসহাক আলী খান পান্নার স্ত্রী আইরীন পারভীন বাঁধন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৪৫ বছর বয়সে ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল মারা যান। আইরীন সরকারের উপ-সচিব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের ভিপি ছিলেন।

স্ত্রীর মৃত্যুর পর পান্না আর বিয়ে করেননি। তাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে, তবে সে পালিত সন্তান বলে জানা গেছে। ইসহাক আলী খান পান্না ১৯৯৪ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি পিরোজপুর-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান, তবে পরে দলীয় জোটের কারণে তাকে সরে যেতে হয়। পেশাগত জীবনে তিনি ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কম্পানীর চেয়ারম্যান ছিলেন।

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

বিশেষ কারনে এখনও শুরু হয়নি বাংলাদেশের খেলা

বিশেষ কারনে এখনও শুরু হয়নি বাংলাদেশের খেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনে ভালো শুরুর লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামার কথা ছিল বাংলাদেশের। ...

পিএসএলের উদ্বোধনী দিনেই হোটেলে অগ্নিকাণ্ড

পিএসএলের উদ্বোধনী দিনেই হোটেলে অগ্নিকাণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ২০২৫-এর পর্দা উঠছে আজ, ১১ এপ্রিল, ইসলামাবাদ ইউনাইটেড বনাম ...

ফুটবল

রোনালদোর আবিষ্কারক পেরেরার মৃত্যু

রোনালদোর আবিষ্কারক পেরেরার মৃত্যু

পর্তুগিজ ফুটবলের ইতিহাসে লুইস ফিগো ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো কিংবদন্তিদের আবির্ভাব শুধু মাঠেই নয়, এর ...

বাংলাদেশ দলে খেলে কত টাকা পেলেন হামজা

বাংলাদেশ দলে খেলে কত টাকা পেলেন হামজা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের ...