হাসিনার ওপর এখনো ভরসা হারায়নি ভারত, দেশে ফিরলেও কি রাজনীতিতে টিকবেন
আঞ্চলিক রাজনীতিতে ভারতের মূল্যবান এক বাজির ঘোড়া ছিলেন শেখ হাসিনা। গত ৫০ বছর ধরে তাঁর উপর বেহিসাবি বিনিয়োগ করে গেছে নয়াদিল্লি। ক্ষমতা হারিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে এখনও অনিশ্চিত স্বৈরাচারী নেত্রীর ভবিষ্যত্ বর্তমান পরিস্থিতি হাসিনার পক্ষে না থাকলেও মোদী সরকারের শীর্ষস্থানীয় কিছু কর্মকর্তা ও প্রভাবশালী একটি মহল মনে করেন, দিল্লির উচিত ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামি লিগ নেত্রীকে আবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনা দরকার হলে চাপ প্রয়োগ করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকার ও সেনাবাহিনীর উপর।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে, ভারতে উচ্চ পর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের অনেকের বিশ্বাস দেশীয় রাজনীতির অঙ্গনে এখনো শেষ হয়নি শেখ হাসিনার প্রভাব। উপযুক্ত সময় ও পরিবেশ আসলে তাকে রাজনৈতিক ভাবে পুনর্বাসনে সাহায্য করতে পারে দিল্লি। তাঁরা মনে করেন, এর আগেও সবাইকে ভুল প্রমাণ করে বারবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন শেখ হাসিনা ১৯৮১ ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে কামব্যাক করে দখল করেছেন ক্ষমতার মসনদ।
ভারত পাশে থাকলে আওয়ামি লিগ নেত্রী আবারও দেখাতে পারবেন পুরোনো কারিশমা। ছাত্র জনতার আন্দোলনে হত্যা, গুম সহ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে প্রায় ১০০ মামলা। এসব মামলায় বিচারের সম্মুখীন হলেও তাঁর দেশে ফেরার রাস্তা একেবারে বন্ধ করা যাবে না বলে মনে করেন কেউ কেউ। নিষিদ্ধ সংগঠন না হওয়ায় এখনও আওয়ামী লীগের রয়েছে কর্মী সমর্থকদের দেশব্যাপী ছড়ানো নেটওয়ার্ক দলের সর্বোচ্চ নেত্রী হিসাবে সেই শক্তিকে পুঁজি করে আগামী দিনে দেশে ফিরতে পারেন তিনি।
ভারতের সমর্থন থাকলেও হাসিনাকে নিয়ে আশাবাদী নন অনেক বিশ্লেষকরা। বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্বৈরাচারী নেত্রীর জন্য গ্রহণযোগ্য জায়গা তৈরি করা প্রায় অসম্ভব কাজ হবে বলে মনে করেন ওপি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত। তাঁর মতো অনেকের দাবি, অদূর ভবিষ্যতে দেশ চালানোর নেত্রীকে সামনে রেখে আওয়ামী লিগ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। পরবর্তী নির্বাচনে হাসিনার নেতৃত্বে দলের অংশগ্রহণকে ও বাস্তবসম্মত মানতে নারাজ এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী।
১৯৭৫ সাল থেকে প্রায় ছয় বছরের মতো ভারতেই কাটিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণ অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালানোর পর চরম গোপনীয়তাও করা সুরক্ষার মধ্যে তাঁর থাকার ব্যবস্থা করেছে ভারত। হাসিনাকে তৃতীয় কোনো দেশে পাঠানো রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়ে ভারতে রেখে দেয়া ও আওয়ামী লীগ নেত্রীকে পুনরায় দেশের ক্ষমতায় ফেরানো দিল্লির সামনে খোলা আছে এমন কয়েকটি পথ।
দরকার হলে পাসপোর্টের বৈধতা না থাকার পরেও শেখ হাসিনাকে নিজেদের কাছে রেখে দিতে দ্বিধা করবে না ভারত। সরাসরি এ কথা না বললেও দিল্লির আচরণে পাওয়া গেছে সে রকম ইঙ্গিত দেশ ছেড়ে। পালানোর পর এখনও প্রকাশ্যে আসেননি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। পাওয়া যায়নি তার কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য তাঁকে নিয়ে ভারতে রহস্যময় গোপনীয়তা উস্কে দিচ্ছে নানা রকম কূটনৈতিক পদক্ষেপ ও ষড়যন্ত্রের গুঞ্জন এমন পরিস্থিতিতে হাসিনা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে।বাংলাদেশকে রাখতে হবে সতর্ক নজর।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- ‘মীর মুগ্ধ নামে কেউ মারা যায়নি’ কিংবা ‘মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ একই ব্যক্তি’
- ফারুকী আউট, আসিফ মাহাতাব স্যার ইন!
- চ্যাম্পিয়ন ট্রাফির আগে বিসিবির সভাপতি হতে পারেন মাশরাফি, ক্যাপ্টেন্সিতে ফিরতে পারেন তামিম!
- আইপিএল নিলামে ইতিহাস গড়ে ৪ কোটি রুপি দামে যে দলে মুস্তাফিজ, দেখে নিন নাহিদ-তাসকিনের অবস্থান
- ‘তৃতীয় বি'শ্ব'যু*দ্ধ শুরু হয়ে গেছে’
- সেই তামিমকে অধিনায়ক করে শক্তিশালী দল ঘোষণা করলো বাংলাদেশ
- এই মাত্র পাওয়া ; জড়ো হচ্ছেন শত শত মানুষ, অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি, বন্ধ ইন্টারনেট!
- আজ ১৮/১১/২০২৪ তারিখে, দেখে নিন আজ ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট এবং ২২ ক্যারেট সোনার দাম কত
- এই মাত্র পাওয়া : মারা গেলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক
- অবশেষে কেরানীগঞ্জ থেকে আটক ওবায়দুল কাদেরের
- আইপিএল ২০২৫ নিলামে রেকর্ড গড়লেন তাসকিন ও নাহিদ রানা, দেখুন সাকিব-মুস্তাফিজের অবস্থান
- তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে নিরাপদ থাকবে যেসব দেশ, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
- ১০ কোটিতে আফগানিস্তানের নূরকে কিনেছে চেন্নাই, মুস্তাফিজের নাম যে সময় ডাকা
- ১ গোলে শেষ হল, আর্জেন্টিনা বনাম পেরু বাঁচা মরার লড়াই
- আইপিএলে সাকিব-মুস্তাফিজ এক দলে, তাসকিনের ঠিকানা কলকাতা নাইট রাইডার্স!