পদত্যাগের কারণ জানিয়েছেন ষড়যন্ত্রকারীদের নাম বললেন শেষ হাসিনা

যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রের ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন বলে মনে করছেন ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এই বক্তব্য প্রকাশ করেছে ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্যা প্রিন্ট। নিজের মতামতের পাশাপাশি দলীয় নেতা কর্মীদের হতাশ না হয়ে মনোবল অটুট রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন দেশে ফিরবেন শীঘ্রই।
দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকেই নীরবই ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দলের নেতাকর্মীদের কেউ পালিয়ে গিয়েছেন, কেউ আত্মগোপনে দিশাহীন আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের মনোবল ঠিক রাখতে নিয়মিত সাক্ষাৎকার আর বক্তব্য দিয়েছেন শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। তার দেওয়া বক্তব্যে কর্মীদের সাহসে বদলে বাড়িয়েছে চিন্তা ডালপালা মেলেছে নানা গুজব গুঞ্জনের।
এমন ঘোলাটে এক পরিস্থিতিতে প্রায় এক সপ্তাহ নীরব থাকার পর মুখ খুলেছেন শেখ হাসিনা। ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট এ তিনি ব্যাখ্যা করেছেন। পদত্যাগের প্রেক্ষাপট বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের হাতে সেন্ট মার্টিন দীপ ও বঙ্গোপসাগর ছেড়ে দিলে ক্ষমতায় থাকতে পারতেন। এই ধরনের বিদেশি শক্তি যেন প্রভাব বিস্তার না করতে পারে সে জন্য সদ্য গঠিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করেছেন তিনি।
৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা এক স্বেতাঙ্গের কাছ থেকে একটি প্রস্তাব পাওয়ার দাবি করেন। ২০২৩ সালের ২১ জানুয়ারি তিনি বলেছিলেন, প্রস্তাব মতো বিমানঘাঁটি করার অনুমতি দিলে ক্ষমতায় থাকতে অসুবিধা নেই।
পদত্যাগের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, ছাত্রদের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে হামলায় লাশের মিছিল আর সহ্য করতে পারছিলেন না। তাঁদের দাবিতে এই সিদ্ধান্ত না নিলে আরও লাশ পড়ত সম্পদ ধ্বংস হতো, দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া বার্তায় শিগগিরই দেশে ফেরার কথা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। দাবি করেন, নিজে হেরে বাংলাদেশের জনগণকে জিতিয়ে গেছেন।
জনগণের সমর্থনে ক্ষমতায় থাকলেও তারা যখন চায়নি তখন নিজে থেকে সরে যাওয়ার দাবিও করেন তিনি। দেশে থাকা নেতা কর্মীদের মনোবল না হারানোর অভয় দিয়ে বলেছেন, আওয়ামী লীগ বারবারই উঠে দাঁড়িয়েছে। এদিকে ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনার অন্য কোনও দেশে আশ্রয়ের ইতিবাচক সাড়া না মেলায় আপাতত সেখানেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্র উল্লেখ করে স্থানীয় সম্প্রচারমাধ্যম নিউজ এইটিনে জানানো হয়েছে। ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় বা শরণার্থী হিসেবে থাকতে পারবেন না। শেখ হাসিনা তাকে থাকতে হবে ভিসার অনুমোদন প্রক্রিয়া মেনে আপাতত তাঁকে নয়াদিল্লির কাছে কোনও সেফ হাউসে রাখার ব্যবস্থা করেছে ভারত সরকার।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- ১২ ঘণ্টায় ১,০৫৭ জন পুরুষকে খুশি করে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ২২ বছরের যুবতী
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ফাঁস হলো ষড়যন্ত্র, বাংলাদেশ দখলের পরিকল্পনা করছে ভারত
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- গাজায় নিহত ইসরায়েলি ৪১২ সেনা নিহত
- ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়া বৃদ্ধের আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- বাংলাদেশে সব রেল প্রকল্প স্থগিত করলো ভারত, এর পেছনে কারণ কি
- বাংলাদেশকে সুখবর দিলো চীন
- ড. ইউনূসকে নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন হিলারি ক্লিনটন
- ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন তৈরির মূল্যবান খনিজ আছে বাংলাদেশে