মৃত্যু দুয়ার থেকে ফিরে দুর্দমনীয় এক চরিত্রে শেখ হাসিনা (ভিডিওসহ)

শেখ হাসিনা ঘটনাগুলোকে একজন গৃহবধূ থেকে রাজনীতির মূল মঞ্চে পরিণত করেন। ট্র্যাজেডির মাধ্যমে, অল্প অল্প করে, শক্তি সঞ্চয় করতে পারেন। তিনি ২১ বছর পর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনেন। বিরতিহীন অ্যারিথমিয়া। মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসে এক অপরাজেয় চরিত্রের পরিচয় দেন। যা তাকে ধীরে ধীরে একরোখা ব্যক্তিত্বে পরিণত করে। তকমা লাগে স্বৈরাচারের।
সোমবার (৫ আগস্ট) দক্ষিণফানের দিকে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। শেখ রোহানার ছোট বোনও উপস্থিত।
শেখ হাসিনা বারবার বলেছেন, দেশ ছেড়ে যাবেন না। কোনো অবস্থাতেই নয়। কিন্তু ভাগ্য শেখ হাসিনাকে এমন অবস্থানে রেখেছে। গড়িমড়ি করে পদত্যাগ করে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে হেলিকপ্টারে পালাতে হলো। ক্ষমতা ছেড়ে গেলেন সেনাবাহিনীর কাছে।
২০০৯ সালে এরকম এক সেনা-সমর্থিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা নিয়ে মসনদে ফেরে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। শাসনভার নেয়ার বছরই পিলখানা ট্রাজেডি সংকটে ফেলে আওয়ামী লীগকে। সেবার তা সামাল দেন তিনি। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার সূদুরপ্রসারী পরিকল্পনায় ২০১১ সালে বাতিল করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা।
যা নিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বিরোধীরা। তবে ২০১২ সালে মিয়ানমারে গণহত্যা থেকে বাংলাদেশে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসায় ভাসেন শেখ হাসিনা।
২০১৩ সালে বিচার শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের। ফাঁসি ও কারাদণ্ড দেয়া হয় জামায়াতের শীর্ষ নেতৃত্বদের কয়েকজনকে। এ সময় শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের বিপরীতে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে নামেন কওমী মাদরাসা ঘরানার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও রাজনীতিকরা। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়ায় গোটা দেশে। তাদেরও শক্ত হাতে দমন করেন তিনি। রাজনৈতিক বিরোধীদের পাশাপাশি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদেরও কোণঠাঁসা করেন শেখ হাসিনা। নোবেলজয়ী ড. ইউনূসকে অর্থপাচার মামলাসহ নানাভাবে হয়রানি শুরু হয়।
তার এক রোখা সিদ্ধান্তে ২০১৪ সালে তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে বাইরে রেখেই জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে টানা ২য় বার প্রধানমন্ত্রীর পদে বসেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। সে মেয়াদে জঙ্গি হামলা কাঁপন ধরায় দেশবাসীর মনে। সেটিও জঙ্গিবিরোধী নানা অভিযানের মাধ্যমে দমন করা হয়। একইসঙ্গে কঠোরভাবে দমন করা হয় বিরোধী রাজনীতি। বিশেষ করে বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা, কারাগারে পাঠানোসহ নানারকম মারপ্যাঁচে নাকাল হয় বিএনপি। বিশেষ করে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দুর্নীতি মামলায় আদালতে যাওয়া-আসা করতে করতেই ২০১৮ সালে শেষ পর্যন্ত কারাগারেই যেতে হয় তাকে।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নেতাকে কারাগারে রেখেই বিতর্কিত এক নির্বাচনে যায় ক্ষমতাসীনরা। এতে তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের কর্তৃত্ব সুদৃঢ় করেন। দেশে-বিদেশে এই নির্বাচনের জন্য চরম সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। তার দল আওয়ামী লীগ। কিন্তু সে সবের থোড়াই কেয়ার করা হয়। আগের দুই মেয়াদের মতোই ভিন্নমত ও বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন থাকে অব্যাহত।
শুধু যে বিরোধীমত ও রাজনীতিকদের দমন তা নয়, দলেও একচ্ছত্র অবস্থান ধরে রাখেন তিনি। এতে প্রবীন ও শক্তিশালী রাজনীতিবিদদের সরিয়ে নিজের পছন্দমতো লোকদলের শীর্ষ নেতৃত্বে নিয়ে আসেন। সহযোগী সংগঠনেও বজায় থাকে সেটি।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- ১২ ঘণ্টায় ১,০৫৭ জন পুরুষকে খুশি করে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ২২ বছরের যুবতী
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ফাঁস হলো ষড়যন্ত্র, বাংলাদেশ দখলের পরিকল্পনা করছে ভারত
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- গাজায় নিহত ইসরায়েলি ৪১২ সেনা নিহত
- ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়া বৃদ্ধের আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- বাংলাদেশে সব রেল প্রকল্প স্থগিত করলো ভারত, এর পেছনে কারণ কি
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- বাংলাদেশকে সুখবর দিলো চীন
- ড. ইউনূসকে নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন হিলারি ক্লিনটন
- ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন তৈরির মূল্যবান খনিজ আছে বাংলাদেশে
- মোবাইলেই জেনে নিন—বাপ-দাদার নামে কোথায় কত জমি আছে!