৩ কারনে শেখ হাসিনাকে রাখতে চায় না ভারত

ভারত চায় শেখ হাসিনা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অন্য দেশে চলে যান। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি বলে সূত্র জানিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ভারত আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।
তাছাড়া ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মুখ খোলেনি। অন্যদিকে, যে বিমানে করে শেখ হাসিনা ভারতের উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন সেটি টেক অফ করেছে বলে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে।
শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানাও তার সঙ্গে ভারতে রয়েছেন। শেখ রায়হানার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব রয়েছে। তবে শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে যেতে চাইলে সেখানে তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে হবে। সূত্র জানায়, শেখ হাসিনাকে নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিমান ভারতের বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। বিমানটিতে জ্বালানি ভরার কাজ শেষ হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএনআই সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে যে শেখ হাসিনা যে বিমানে করে ভারতে এসেছিলেন সেটি তার পরবর্তী গন্তব্যে চলে গেছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে এটি উড্ডয়ন করে। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী তাকে পর্যবেক্ষণ করছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
শেখ হাসিনা সেই বিমানে আছেন কিনা, তা জানায়নি বার্তাসংস্থা। তবে সূত্রের খবর, শেখ হাসিনা সেই বিমানে যাননি।
শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা কোথাও রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি। যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন বলে যে খবর রটেছে, তা ঠিক নয়। তার পরিবার এখন বিশ্বের নানা জায়গায় আছে। তিনি সেখানে তার নাতি-নাতনিদের সঙ্গে সময় কাটাতেই পছন্দ করবেন।’
সোমবার বিকেলে শেখ হাসিনাকে নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিমান দিল্লির কাছে হিন্ডন বিমানঘাঁটিতে নামে। সেখানে ছিলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। তার সঙ্গে হাসিনার কথাও হয়।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ভারত চায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেখ হাসিনা অন্য দেশে চলে যাক।
কেন হাসিনাকে রাখতে চায় না ভারত?
ও পি জিন্দল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত জানিয়েছেন, ‘মূলত দুইটি কারণে ভারত শেখ হাসিনাকে রাখতে চায় না। প্রথম বিষয়টি অবশ্যই তার নিরাপত্তা সংক্রান্ত। দ্বিতীয় বিষয়টি হলো, বাংলাদেশে যে সরকারই আসুক, ভারত তার সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়। আর বাংলাদেশে হাসিনা-বিরোধী মনোভাব তুঙ্গে। ভারত চায় না, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার ঘটনায় ছায়াপাত করুক।’
শ্রীরাধার বক্তব্য, ‘এর আগে সেনা সরকার যখন ছিল, তখন ভারতের অসুবিধা ছিল। কিন্তু এবার সেনা সম্ভবত পেছনে থাকবে, বাংলাদেশে নতুন কোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু হবে বলে মনে হচ্ছে। ফলে তাদের সঙ্গে ভারতের আলোচনা করতে কোনো অসুবিধা হবে না।’
ভারতের চ্যালেঞ্জ
প্রবীণ সাংবাদিক এবং কূটনীতি বিশেষজ্ঞ প্রণয় শর্মা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ঘটনা ভারতকে একটা বড় চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ভারত চায় না, বাংলাদেশের ঘটনার অভিঘাত দেশের মধ্যে পড়ুক।’
প্রণয় জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশে ভারতের যে সম্পদ ও বিনিয়োগ আছে, ভারত সেগুলোকে নিরাপদ রাখতে চায়। সেদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা চায়।’
বৈঠকের পর বৈঠক
সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সিসিএস বা ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটির বৈঠক বসেছিল। সিসিএসের বৈঠকে আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল বাংলাদেশের পরিস্থিতি। সিসিএস হলো নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও শীর্ষ কমিটি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর সকলেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।-ডয়চে ভেলে
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- ১২ ঘণ্টায় ১,০৫৭ জন পুরুষকে খুশি করে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ২২ বছরের যুবতী
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ফাঁস হলো ষড়যন্ত্র, বাংলাদেশ দখলের পরিকল্পনা করছে ভারত
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- গাজায় নিহত ইসরায়েলি ৪১২ সেনা নিহত
- ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়া বৃদ্ধের আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- বাংলাদেশে সব রেল প্রকল্প স্থগিত করলো ভারত, এর পেছনে কারণ কি
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- বাংলাদেশকে সুখবর দিলো চীন
- ড. ইউনূসকে নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন হিলারি ক্লিনটন
- ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন তৈরির মূল্যবান খনিজ আছে বাংলাদেশে
- মোবাইলেই জেনে নিন—বাপ-দাদার নামে কোথায় কত জমি আছে!