হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড ২৪ গ্রাম

ঘূর্ণিঝড়ে ফরিদপুরের আলভাডাঙ্গা উপজেলায় দুই ইউনিয়নের অন্তত ২৪ টি গ্রাম বিধ্বস্ত হয়েছে। শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। ঝড়টি বিদ্যমান ফসল এবং বিদ্যুতের লাইনের ব্যাপক ক্ষতি করেছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার বাচোরিয়া ও পান্না ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। উপড়ে পড়ে বহু গাছ। সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছ পড়ে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ঝড়ের সময় বিদ্যুতের লাইন ছিটকে যাওয়ার পর আল-ইত্তিহাদের বেশ কয়েকটি গ্রাম অন্ধকারে পড়ে যায়।
পান্না ইউনিয়নের কাঠুরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ইমরান হোসেন জানান, পান্না ইউনিয়নের শিরগ্রাম, জরানিয়া, বাকোরিয়া, তবনী, টনপাড়া, শিলদী চরপাড়া, জয়দেবপুর, ওশির হাট, কাঠুরকান্দি, মামবড়া ও আড়পাড়াসহ অন্তত ১৫টি গ্রামে। বোমা হামলার ঝড়। ঝড়ে ঘরবাড়ি, গাছপালা, পেঁয়াজ, রসুন, মসুর ডাল, ধনে, ধানের ক্ষেত, গমের ক্ষেত এবং অপরিপক্ক ও আধা-পাকা কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের লাইন ভেঙে পড়ায় গ্রামে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যাহত হয়েছে।
পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আমিনুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ঝড়ে আমার ঘরবাড়ি, ফসলি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও যুগীবরাট, ভাটপাড়া, চাদড়া, পাচুড়িয়া, দেউলি, চরনারানদিয়া, ধুলজুড়ি, চরভাটপাড়াসহ ৯ গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আমি এই মুহূর্তে ঢাকায় আছি। তবে শুনেছি আমার পাচুড়িয়া ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী বানা ইউনিয়নে ঝড়ে ৯টি গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খোঁজ খবর নিয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত তথ্য জানানো যাবে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, বুধবার রাত একটার দিকে ঘূর্ণিঝড়ে দুই ইউনিয়নের অন্তত ২৪টি গ্রামের প্রায় শতাধিক কাঁচা-আধাপাকা বাড়িঘর ও কয়েকশ গাছপালা উপড়ে যায়। বিস্তীর্ণ জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তথ্য জানতে বানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশিদ শরীফের মোবাইলে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।পল্লী বিদ্যুত সমিতির আলফাডাঙ্গা সাব জোনাল অফিসের এজিএম ফাহিম হাসান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সেখানে কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে, কয়েকটি খুঁটি ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে কাজ চলছে।
এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমীন ইয়াছমীনের মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- ১২ ঘণ্টায় ১,০৫৭ জন পুরুষকে খুশি করে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ২২ বছরের যুবতী
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ফাঁস হলো ষড়যন্ত্র, বাংলাদেশ দখলের পরিকল্পনা করছে ভারত
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- গাজায় নিহত ইসরায়েলি ৪১২ সেনা নিহত
- ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়া বৃদ্ধের আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- কিভাবে বুঝবেন সন্তান পর্নোগ্ৰাফিতে আসক্ত
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- ড. ইউনূসকে নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন হিলারি ক্লিনটন
- বাংলাদেশকে সুখবর দিলো চীন
- ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন তৈরির মূল্যবান খনিজ আছে বাংলাদেশে