নান্নু ও বাশারের জাগায় আসছেন নতুন দুই মুখ

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ২০২৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই বৈঠকে অনেক বিষয় থাকবে। যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বকাপের ব্যর্থতা নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন। এবং আমরা কমবেশি বুঝতে পারি যে শেষ পর্যন্ত, এটি একটি শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা হোক বা বিশ্বকাপের ব্যর্থতার জন্য বিশেষভাবে কেউ দায়ী হোক, এরকম কিছু, তদন্ত কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি সংবাদ সম্মেলনের শেষে হবে। যে 'এনকাউন্টার. সেখানেও কিছু বলবেন না।
কিন্তু সুখ ও শান্তি আসলে এক জায়গায় বিরাজ করবে না। অর্থাৎ বাংলাদেশ দল বাছাইয়ে জড়িত তিন সদস্যের মধ্যে দুজনই বেশ জনপ্রিয়। মিনহাজুল আবেদীন ও হাবিবুল বাশার সুমন। তাদের ম্যান্ডেট কি ছয় থেকে সাত মাস চলবে? খুব কম বিসিবি প্রশাসকই তাদের সমর্থক। তারা নিজেদের মধ্যে এমন প্রস্তাব নিয়ে বেশ কয়েকবার আলোচনা করেছেন।
তাদের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো যায় কি না। টি-২০ বিশ্বকাপ রয়েছে। তার আগ পর্যন্ত রেখে দেওয়া যায় কিনা এবং তা যদি রেখে দেওয়া হয়। এরপর আরও ছ মাস বাড়িয়ে দেওয়া যায় কি না। বিরোধীপক্ষ যাঁরা তাঁদের চিন্তা হচ্ছে এরকম যে আমরা ছয় মাস রেখে দিই । তাহলে পরের বছর আবার আরও ছয় মাস পরে তো চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ খেলতে হবে। এই ভাবে বিভিন্ন খেলা বিভিন্ন মেয়াদে চলতে থাকবে কিন্তু সেটার মেয়াদের সঙ্গে তো প্যানেলের মেয়াদ বর্ধিত করা হয় না বা হবেও না।
তদন্ত কমিটির রিপোর্ট যেটা হবে আমরা আশা করতে পারি বা আমরা যতটুকু অনুমান করতে পারি। সিলেকশন প্যানেলের মেয়াদ বৃদ্ধির জায়গাটা অবশেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মেম্বাররা সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে তাদের কে সরিয়ে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেয়া। মিনহাজুল আবেদীন নান্নু কে শুধু সরানো হবে নাকি বাশার এবং নান্নু দুজনকেই সরানো হবে। মিনহাজুল আবেদীন নান্নু কে সরানো হচ্ছে। এটা নিয়ে কোনো ধরনের ডাউট নেই। এখন পর্যন্ত যদি কোনও বিশাল মিরাকেল না ঘটে থাকে না।
আমরা মিডিয়া যতটুকু জানি যারা ক্রিকেট বোর্ড পরিচালনার সাথে জড়িত এই যে ২৫ জন ডিরেক্টর রয়েছেন যাঁরা ক্রিকেট বোর্ড পরিচালনা এবং ডিসিশন মেকিং এবং মিটিং গুলোতে থাকেন তাদের মধ্যে বেশি সংখ্যক তাদের চায় না। মিনহাজুল আবেদীন নান্নু কে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে এবং নতুন কাউকে এই জায়গাটাতে রোল দেওয়ার ব্যাপারে তারা একমত। মিনহাজুল আবেদিন নান্নু কে সরিয়ে দেওয়া যদি হয় বা সেই পক্রিয়া টাকে যদি বাস্তবায়ন করা হয় সেক্ষেত্রে ১ বড় সমস্যা হচ্ছে এই মুহূর্তে।
হাবিবুল বাশার সুমন ছিলেন নান্নুর ডেপুটি হিসেবে ছিলেন ফারুক আহমেদ ডেপুটি হিসেবে এবং মোটামুটি ১০-১১ বছর। হাবিবুল বাশার সুমন কী তাহলে নান্নুর জায়গা টা পাবেন কি না? তিনি ওই জায়গার যোগগ্য কি না এরকম একটা সুযোগ যে মানুষটা এত বছর ডেপুটি হিসেবে ছিলেন, আপনারা যদি একদম সাদা চোখে দেখার চেষ্টা করেন হ্যাঁ, একটা সময় কিন্তু প্রমোশন পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচ্য হন তিনি। নান্নু সরে যাবে সুমন প্রধান সিলেক্টর এর দায়িত্ব পালন করবে। ফারুক সরে গেছে, নান্নু ছিল তার দায়িত্ব পালন করছে।
কিন্তু হাবিবুল বাশার সুমন কে, নান্নুকে যদি সরানো হয় সুমনকেও রাখা হবে না। কেন রাখা হবে না কী এমন ঘটেছে? এত বছর দায়িত্ব পালন করার পর অন্তত একটা মেয়াদের জন্য তাকে রেখে তারপর না হয় অবসরের সুযোগ দেওয়া যেত পারত। কিন্তু তাঁর ক্ষেত্রে যেটা করতে যাচ্ছে, সেটা অনেকটা আমাদের মাশরাফি বিন মুর্তজা এবং তামিম ইকবালে সঙ্গে যেটা হয়।মাশরাফি তামিমদের অনেক দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে কন্ট্রিবিউট করার পরও শেষপর্যন্ত ভালো বিদায় পায়নি এখন পর্যন্ত।
সুমনের ক্ষেত্রে আলোচনা একটু অন্যরকম মিনহাজুল আবেদীন নান্নু যতবার বিতর্কিত হয়েছেন, সমালোচিত হয়েছেন ক্রিকেট বোর্ডের ইন সাইটগুলো যতবার বাইরে গেছে। কোন কোন বিশেষ মিডিয়ায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রে এই তথ্যগুলো দেওয়া হয়েছে। মিনহাজুল আবেদীন নান্নু একমাত্র ভিলেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষ পর্যায়ে একজন টপ লেভেল থেকে মিড লেভেল কিংবা লোয়ার লেভেল। যাঁরা এমপ্লয়ি এবং যাঁরা পরিচালক সবার মধ্যে একটা দারুন বিশ্বাস রয়েছে এই বিশ্বাস রয়েছে যে এটা এই তথ্যগুলো অনেক ক্ষেত্রেই টেকনিক্যালি ইনপুট করেছেন সুমন যদিও বোর্ড থেকে শোনা কথা৷ এই তথ্যগুলো একটু দায়িত্বশীল অবস্থান থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন।
ঠিক তখন এরকম একজনকে প্রমোশন দিয়ে চিফ সিলেক্টর বানানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বেশি সংখ্যক ডিরেক্টর তারা চায় না তিনি কন্টিনিউ করুক। সেই বেশি সংখ্যক ডিরেক্টর হাবিবুল বাশার চলমান থাক। চিপ সিলেক্টর হিসেবে নতুন কেউ আসবে অনেক টা নিশ্চিত।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বিসিবির সিলেকশন প্যানেলের দায়িত্বে কে আসবেন? আব্দুর রাজ্জাক কি চিপ সিলেক্ট হয়ে যাচ্ছেন? হঁ্্যা এটাই সত্য। এটা একটা বড় ডিসকাশন রয়েছে এবং এই ডিসকাশন তার কারণ এই যে৫% চান্স রয়েছে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু কে ছয় মাস মেয়াদ আরও বাড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে কি পারে না এই ডিসকাশন টা না।
তাদের দুইজরেন পরিবর্তে সিলেকশন প্যানেলে আব্দুর রাজ্জাক ও খালেদ মাসুদ পাইলটের যুক্ত হতে পারেন কিন্তু কে প্রধান হবে তা এখনও নিশ্চিত না।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- অবশেষে ৫ বছর পর আরব আমিরাতের ভিসা নিয়ে সুখবর
- আরব আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা চালু
- বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলবেন সাকিব
- ৪০ বছর পর বিশাল বড় সুখবর পেলেন শিক্ষকরা
- মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের সঙ্গে শেখ হাসিনার গোপন বৈঠকে: যা জানা গেল
- যদি ৫ আগস্ট স্বৈরশাসক হাসিনা ধূলিস্যাৎ না হতো, তবে ৬ আগস্ট জাতীয় পত্রিকার শিরোনাম কেমন হতো
- ১ শর্তের বিনিময়ে আইপিএলে খেলতে পারেন মুস্তাফিজ
- দুবাইয়ে দুর্ঘটনায় সংগীত শিল্পী মমতাজ নিহত, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- ইতালির ভিসা প্রক্রিয়া নিয়ে এলো সুখবর, আগামী মাস থেকে আবেদন শুরু
- ওবায়দুল কাদেরের মৃত্যু: আসল সত্যতা প্রকাশ
- ওবায়দুল কাদেরের মোবাইল ট্র্যাকিং: শেষ লোকেশন মোহাম্মদপুর
- ১০ কোটি টাকা ও এমপি পদের প্রলোভন দেখিয়ে এনসিপিতে নুরর দলের ২০ নেতা: যা জানা গেল
- অধিবেশন চলাকালে সার্বিয়ার পার্লামেন্টে গ্রেনেড হামলা
- চিরতরে হাসিনার হাসি বন্ধ করল জাতিসংঘ
- কমে গেল ডলারের বিনিময় হার (০৫ মার্চ)