এবার বিপিএলে এখনও পর্যন্ত পেসারদের মধ্যে টপ পারফর্মারদের একজন আল আমিন হোসেন। তিনি দেশে পেসারদের মধ্যে পাঁচ নম্বরে আছেন। পাঁচ ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছেন, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে খেলছেন। সাম্প্রতিক সময়ে পারফরম্যান্স যতই ভালো করেন না কেন, কোনও ১টি কারণে কেন ন্যাশনাল টিমের বিবেচনায় আসে না।

গত চার বছর ধরে জাতীয় দলে ব্রাত্য আল আমিন হোসেন একটু আফসোস হয় কি না আল আমিন “ আসলে সবাই তো ক্রিকেট খেলি আমরা ন্যাশনাল টিমে খেলার জন্য এবং যখন কোনও টুর্নামেন্ট হয় বা খেলাধূলা হয় ওখানে সবোচ্চ উইকেট টেকার হলে ভালো পারফরম্যান্স করলে সবার ভিতর ১ টা কাজ করে আমি হয়তো টিমে সুযোগ পাব। তো জিনিস তো অবশ্যই কাজ করে যে আমি কেন সুযোগ পাচ্ছি না বা আমাকে আরও ভালো পারফর্ম করতে হবে কি ন ”

তিনি ভালো পারফরম্যান্স করেছেন, পারফর্ম করেছেন। সর্বশেষ এনসিএলে সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েছিলেন পেসারদের মধ্যে। সর্বশেষ বিপিএলে বাংলাদেশি পেসারদের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন তিনি। এ বারও ভাল করছেন। তারপরও কি বিবেচনায় না আনাটা এটা কি আসলে আপনার কাছে মনে হয় কিনা কোন কারণে আপনার প্রতি ইনজাস্টিস করা হয়,“ যখন আসলে টি-২০ খেলছিলাম তখন যদি ১টি পেস বোলার খেলে তাহলে আমই খেলছিলাম বাংলাদেশ টিমে। তখন লাস্ট ম্যাচে আমি সম্ভবত জিম্বাবুয়ের সাথে উইকেট পাইছিলাম। চার ওভার ১৬-১৮ রান দিয়ে। হ্যাঁ তার পরে আমরা কোভিড পরবর্তী নিউজিল্যান্ড গেলাম। মানে কষ্টের ব্যাপারটা এরকম ছিল যে আমরা ওখানে ২০ থেকে ২১ জন গিয়েছিলাম। সবাই ম্যাচ খেলল, ওয়ান ডে ছিল, টি-২০, ছিল পাঁচটি টি-২০ ছিল একটা টি-২০তে সুযোগ পেলাম না। কখনও কেউ বলেনি যে ঠিক আছে মানে কষ্ট পাস না, অসুবিধা নেই, সামনে সুযোগ আছে বা সামনের সিরিজগুলো আমরা অন্য কিছু চেষ্টা করছি, মানে ১ প্লেয়ারকে বাদ দিলে তো বলতে হয় ঠিক আছে তোমার ফিটনেস খারাপ বা তোমার পারফরম্যান্স হচ্ছে না বা তুমি নতুন বলে উইকেট নিতে পারছ না বা তুমি ডে তে বোলিং খারাপ করতেছ, রিজন তো বলবে ঠিক আছে আমি এই কারণে টিমে নেই। তাহলে হয়তো আমি জিনিসটা কাজ করতে পারি বা আমি জিনিসটা ফোকাস করতে পারি। হয় তো বা যারা দায়িত্বে আছে তারাই ভালো বলতে পারবে যা আসলে কোন অজানা কারণে আসলে আমি নাই, তো আমি চেষ্টা করছি যে আমার কাছে যেটা আছে আমার ফিটনেস কীভাবে ভালো করা যাবে, ফিল্ডিং টা কীভাবে ইমপ্রুভ করা যায়, বা বোলিংটা কিভাবে ইমপ্রুভ করা যায় যাতে ভালো খেলতে থাকি” মনে হয় যে ভাবে ভাল খেলতে থাকলে ভালো পারফর্ম করলে আপনি ডাক পাবেন মনে হয়, “ না আমার কাছে আসলে এটা তো ডিফিকাল্ট। কারণ যদি আমার এ রকমই হতো তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ন্যাশনাল টিমে খেলে ফেলতাম। যেভাবে পারফরম্যান্স করছি বা করেছিলাম আমার কাছে মনে হয় না যে হয়তোবা আমি ফিল করছি যা করছে এর থেকে হয়তো বা আরও বেশি করলে হয়তো সুযোগ আসবে। আসলে এই পৃথিবীতে কিন্তু সবার ক্ষেত্রে সুযোগ একরকম আসে না। কালার কোন সমস্যা হতে পারে।”

এটা আসলে হয় তো বা ১টি অভিমান থেকে আপনি বলছেন এটা তো আসলে দিন শেষে সিলেকশন টাকেও আসলে অনেক বেশি প্রশ্নবিদ্ধ করে, “আসলে দেখেন আপনি আমাকে যে প্রশ্ন গুলো করছেন। এই প্রশ্ন গুলো যদি যারা দায়িত্ব থাকে তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন তারা ভাল উত্তর দিতে পারবে।”

ঠিক এই অবস্থা থেকেই ন্যাশনাল টিমে ফেরার স্বপ্ন আপনি দেখেন কিনা, “ আমি অলওয়েজ দেখি, কারণ সামনে দেখেন টি-২০ ওয়াল্ডকাপ আছে মানে আমি বিশ্বাস করি যে আমার যে বোলিং স্টার্ক বলেন বা বিগত ২-৩টা ওয়ার্ল্ড কাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। সবকিছু মিলে আমি সব সময় স্বপ্ন দেখি যে আমি বাংলাদেশের হয়ে খেলব এবং এই আকাঙ্ক্ষা বা লালস আছে বিদায় ক্রিকেটটা খেলছি।”

আল আমিন হোসেন এখনও স্বপ্ন দেখেন। আলামীনের জন্য শুভকামনা থাকল। ন্যাশনাল টিমে খুব দ্রুত যেন আমরা তাকে দেখতে পারি মাঠের পারফরম্যান্স যেন ঠিক একইরকম বজায় থাক।