সোশ্যাল মিডিয়ার কিছু ভক্ত ম্যাশকে বানিয়ে ফেলছেন বিসিবি সভাপতি কিন্তু পিছনে জটিল সমীকরণ

পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান কে হবেন তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এই বিষয়ে কথা বলার সময় একটি নাম যা খুব দ্রুত মনে আসে তা হল মোশাররফ বিন মুর্তদা। তিনি একজন সফল নেতা এবং নেতৃত্বের গুণাবলী রয়েছে। বিশেষ করে রাজনীতিতে যোগদানের পর তিনি যেভাবে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব প্রদান করেছেন যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত এবং তার জেলা নড়াইলকে একটি মডেল জেলায় রূপান্তরিত করেছে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। মাশরাফি বিন মুর্তজা যেভাবে মাঠে কাজ করেন এবং সততার সাথে মানুষের সাথে মিশে যান, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এমন একজন ব্যক্তির প্রয়োজন। আর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে যে খুব দ্রুত পরিবর্তন করতে পারে তিনি আর কেউ নন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জন্য উপকারী কিন্তু এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন নীতি ও আইন থাকায় বোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হতে পারেন না।
এখানে রয়েছে বিভিন্ন প্রক্রিয়া , তার প্রথম প্রক্রিয়াটি হচ্ছে তাকে বোর্ডের কাউন্সিলর হতে হবে। কাউন্সিলর হতে হলে ঘরোয়া লীগে কোন দলকে কিনতে হবে। টাকা দিয়ে কোন দলকে কিনতে হবে বা কোন দলকে সরাসরি পরিচালনা করতে হবে। ঢাকা প্রথম বিভাগ দ্বিতীয় বিভাগ তৃতীয় বিভাগ বা ডিভিশন বিভাগে একটি দল থাকতে হবে এবং সরাসরি তাকে পরিচালনা করতে হবে। ঢাকা বোর্ডের দল থাকলে বা দল পরিচালনা করলে একজন কাউন্সিলরেরের সদস্য হতে পারবে। কাউন্সিলর হওয়ার পর প্রসঙ্গ আসবে আপনি নির্বাচনে দাঁড়াবেন কিনা। বোর্ডের পরিচালক হওয়ার জন্য তখন ইলেকশন করতে হবে বা লড়াই করতে হবে। বোর্ডের পরিচালক হওয়ার পর ২৫ জন যে চেয়ারম্যান রয়েছে তারপর তারা বোর্ডের প্রেসিডেন্ট বা সভাপতি নির্ধারণ করবে। প্রক্রিয়াটি এতটা সহজ নয় কারণ এখানে একাধিক বার নির্বাচন করতে হয়।
এন এস সি কর্তৃক মনোনীত দুইজন বোর্ড ডিরেক্টর হন এদেরকে নির্বাচন করতে হয় না বা কাউন্সিলর হতে হয় না। সরাসরি এনএসসি হতে মনোনয়ন দেয়া হয়। যদি এরকম ভাবে এনএসসি করতে দুই জনকে বোর্ড ডিরেক্টর করা হয় তবে সে ক্ষেত্রে তারা নির্বাচন করতে পারবে। বোর্ড ডিরেক্টরদের মধ্য থেকে যদি কেউ নিজে থেকে দায়িত্ব সরে যেতে চাইলেন কিংবা অসুস্থ থাকে সেই ক্ষেত্রে এনএসসি কর্তৃক কাউকে মনোনয়ন দেওয়া যায়। এনএসসি সে ক্ষেত্রে সাকিব কিংবা মাশরাফিকে বোর্ড ডিরেক্টর এর জায়গায় বসাতে পারবে। বোর্ড ডিরেক্টর হওয়ার পরেও ২৫ জন যে বোর্ড ডিরেক্টর রয়েছে তারপর তারা আবার নির্বাচন করে বা ভোটের আয়োজন করে তারপর বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়। প্রক্রিয়াটি এতটা ও সহজ নয়। উপরোক্ত দুটি গুণাবলি লাগবে একজনকে বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য।
মাশরাফি যেহেতু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান নয় মাশরাফি ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান হতে আগ্রহী কিনা সেখানেও রয়েছে সংশয়। ক্রিকেট একটি ছোট জায়গা এবং মাশরাফি রাজনীতিতে রয়েছেন এবং নড়াইলের প্রায় চার লক্ষ লোকের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান বিভিন্ন জিনিসের দায়িত্ব তার হাতে তিনি সকল দায়িত্ব পালন করেন। সকলে দেখছেন তিনি কিভাবে মাঠ পর্যায়ে থেকে কাজগুলো সম্পন্ন করেন। এ মুহূর্তে আসলে বলা যাচ্ছে না মাশরাফি তার সময় বের করতে পারবেন কিনা ক্রিকেট বোর্ডের জন্য। কারণ তার নির্বাচনী এলাকায় তার একটি দায়বদ্ধতা রয়েছে। যদি বোর্ডের ডিরেক্টরদের কাউকে পদত্যাগ করিয়ে মাশরাফিকে মনোনীত করেন সেই ক্ষেত্রে মাশরাফির জন্য সহজ হয়ে যাবে কারণ মাশরাফি তো কাউন্সিলর নয়। পরবর্তীতে নির্বাচনের মাধ্যমে মাশরাফিকে বোর্ডের প্রেসিডেন্ট করা যাবে যদি তিনি জয়যুক্ত হন।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- আরব আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা চালু
- ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় বেড়িয়ে এল চাঞ্চল্যকর সব তথ্য
- ৮ বছরের শিশু ধ/র্ষণে বোনের স্বামী ও শ্বশুর আটক, বেড়িয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
- ২০২৫ সালে সৌদি প্রবাসীদের আকামা নবায়নের জন্য নতুন আইন ঘোষণা
- দুবাইয়ে দুর্ঘটনায় সংগীত শিল্পী মমতাজ নিহত, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- চিরতরে হাসিনার হাসি বন্ধ করল জাতিসংঘ
- হঠাৎ ফেসবুকে মাশরাফির আবেগঘন বার্তা মুহূর্তেই ভাইরাল
- ৪০ বছর পর বিশাল বড় সুখবর পেলেন শিক্ষকরা
- ভূমিকম্পে ঢাকায় তাৎক্ষণিক ভাবে মারা যেতে পারে ২ লাখ মানুষ
- ১ শর্তের বিনিময়ে আইপিএলে খেলতে পারেন মুস্তাফিজ
- মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের সঙ্গে শেখ হাসিনার গোপন বৈঠকে: যা জানা গেল
- যদি ৫ আগস্ট স্বৈরশাসক হাসিনা ধূলিস্যাৎ না হতো, তবে ৬ আগস্ট জাতীয় পত্রিকার শিরোনাম কেমন হতো
- কমে গেল ডলারের বিনিময় হার (০৫ মার্চ)
- তীব্র কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি আশঙ্কা
- ১০ কোটি টাকা ও এমপি পদের প্রলোভন দেখিয়ে এনসিপিতে নুরর দলের ২০ নেতা: যা জানা গেল