বিসিবি সভাপতি পাপন ক্রীড়ামন্ত্রী, স্বার্থের সংঘাতের শঙ্কা

বুধবার মন্ত্রী হিসেবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপনের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই ক্রীড়াঙ্গনে আলোচনা— বিসিবির সভাপতি হতে পারেন তিনি? পাপন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিতে পারেন বলে গুঞ্জন ছিল। গতকাল (বৃহস্পতিবার) শপথ নেওয়ার পর তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিসিবির সাবেক তিন সভাপতি মন্ত্রী ও পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিসিবি বা রাষ্ট্রীয় কোনো আইনে কোনো বাধা ছিল না। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিরা খেলাধুলা ব্যতীত অন্যান্য মন্ত্রিত্বে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তাই স্বার্থের সংঘাত সৃষ্টি হয়নি। নাজমুল হাসান পাপনকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিসিবি মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভরশীল একটি প্রতিষ্ঠান। এরপর আবারও প্রশ্ন ওঠে পাপনের মন্ত্রিত্ব ও বিসিবি সভাপতিত্ব নিয়ে।
ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং ফেডারেশনের পদ উভয় চালিয়ে যাওয়ার ঘটনা রয়েছে আরও দু’টি। বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীন হয়। স্বাধীনতার পর ক্রীড়ার সঙ্গে সংস্কৃতি ও আরও কয়েকটি সংস্থা মিলিয়ে মন্ত্রণালয় ছিল। প্রথম ক্রীড়া মন্ত্রী অধ্যাপক ইউসুফ আলী ক্রীড়া মন্ত্রীর সঙ্গে দেশের সকল ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন। এরপর থেকে অবশ্য এমন নজির আর ছিল না।
২০১৪ সালে জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আরিফ খান জয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হন। উপমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি বাফুফের নির্বাচিত সহ-সভাপতি হয়েছিলেন। উপমন্ত্রী হওয়ার পরেও তিনি বাফুফের সহ-সভাপতি পদ ছাড়েননি। একটি মন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় ব্যক্তি হওয়ার পরও আরেকটি ফেডারেশনে ছিলেন জয়।
পাপন ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী আবার ক্রিকেট বোর্ডেরও প্রধান। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সংস্থা হিসেবে বিসিবি’র তদারকি করবে। উভয় প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ব্যক্তি একজন হওয়ায় স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্ন উঠছে।জয়ের সঙ্গে পাপনের এবারের বিষয়টি একটু ভিন্ন। জয়ের ওপরে একজন ছিলেন প্রতিমন্ত্রী (বীরেণ শিকদার) এবং তিনি ফেডারেশনে সর্বোচ্চ পদেও ছিলেন না। একজন সভাপতি, একজন সিনিয়র সহ-সভাপতির পর চার সহ-সভাপতির মধ্যে তিনি একজন সহ-সভাপতি ছিলেন। আর পাপন ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী আবার ক্রিকেট বোর্ডেরও প্রধান। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সংস্থা হিসেবে বিসিবি’র তদারকি করবে। উভয় প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ব্যক্তি একজন হওয়ায় স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্ন উঠছে।
অনেক ফেডারেশনের সভাপতিই অনেক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। তারা সরকার (ক্রীড়া মন্ত্রলায়) থেকে মনোনীত। ২০১৩ সাল থেকে বিসিবির সভাপতি নির্বাচিত। নির্বাচিত ব্যক্তি পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে পারেন এত আইনত কোনো বাধা নেই। আবার তিনি বিসিবির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় ক্রীড়া মন্ত্রী হওয়ায় তিনি সরতেও বাধ্য হন। একদিকে স্বার্থের সংঘাত আরেক দিকে দ্বান্দ্বিক অবস্থা।
ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীত্বের সঙ্গে বিসিবি'র সভাপতির যেমন সাংঘর্ষিকতা তেমনি আরেকটি সাংঘর্ষিক জায়গা রয়েছে পাপনের। তিনি দেশের শীর্ষ ক্লাব আবাহনীর পরিচালক। ক্রীড়াঙ্গনের সর্বোচ্চ ব্যক্তির একটি জনপ্রিয় ক্লাবের পরিচালনার সঙ্গে থাকাটাও প্রশ্নের মুখে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- আরব আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা চালু
- ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় বেড়িয়ে এল চাঞ্চল্যকর সব তথ্য
- ৮ বছরের শিশু ধ/র্ষণে বোনের স্বামী ও শ্বশুর আটক, বেড়িয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
- দুবাইয়ে দুর্ঘটনায় সংগীত শিল্পী মমতাজ নিহত, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- ২০২৫ সালে সৌদি প্রবাসীদের আকামা নবায়নের জন্য নতুন আইন ঘোষণা
- ভূমিকম্পে ঢাকায় তাৎক্ষণিক ভাবে মারা যেতে পারে ২ লাখ মানুষ
- চিরতরে হাসিনার হাসি বন্ধ করল জাতিসংঘ
- তীব্র কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি আশঙ্কা
- হঠাৎ ফেসবুকে মাশরাফির আবেগঘন বার্তা মুহূর্তেই ভাইরাল
- ৪০ বছর পর বিশাল বড় সুখবর পেলেন শিক্ষকরা
- মাগুরায় আলোচিত ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের শুনানি হল গভীর রাতে; রায় নিয়ে যা জানা গেল
- মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের সঙ্গে শেখ হাসিনার গোপন বৈঠকে: যা জানা গেল
- যদি ৫ আগস্ট স্বৈরশাসক হাসিনা ধূলিস্যাৎ না হতো, তবে ৬ আগস্ট জাতীয় পত্রিকার শিরোনাম কেমন হতো
- মাগুরার আছিয়ার বোনের মুখ থেকে সত্যিটা শোনেন (ভিডিওসহ)
- কমে গেল ডলারের বিনিময় হার (০৫ মার্চ)