| ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১

বিসিবি সভাপতি পাপন ক্রীড়ামন্ত্রী, স্বার্থের সংঘাতের শঙ্কা

খেলাধুলা ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৪ জানুয়ারি ১২ ১২:২৬:৩০
বিসিবি সভাপতি পাপন ক্রীড়ামন্ত্রী, স্বার্থের সংঘাতের শঙ্কা

বুধবার মন্ত্রী হিসেবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপনের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই ক্রীড়াঙ্গনে আলোচনা— বিসিবির সভাপতি হতে পারেন তিনি? পাপন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিতে পারেন বলে গুঞ্জন ছিল। গতকাল (বৃহস্পতিবার) শপথ নেওয়ার পর তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

বিসিবির সাবেক তিন সভাপতি মন্ত্রী ও পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিসিবি বা রাষ্ট্রীয় কোনো আইনে কোনো বাধা ছিল না। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিরা খেলাধুলা ব্যতীত অন্যান্য মন্ত্রিত্বে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তাই স্বার্থের সংঘাত সৃষ্টি হয়নি। নাজমুল হাসান পাপনকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিসিবি মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভরশীল একটি প্রতিষ্ঠান। এরপর আবারও প্রশ্ন ওঠে পাপনের মন্ত্রিত্ব ও বিসিবি সভাপতিত্ব নিয়ে।

ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং ফেডারেশনের পদ উভয় চালিয়ে যাওয়ার ঘটনা রয়েছে আরও দু’টি। বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীন হয়। স্বাধীনতার পর ক্রীড়ার সঙ্গে সংস্কৃতি ও আরও কয়েকটি সংস্থা মিলিয়ে মন্ত্রণালয় ছিল। প্রথম ক্রীড়া মন্ত্রী অধ্যাপক ইউসুফ আলী ক্রীড়া মন্ত্রীর সঙ্গে দেশের সকল ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন। এরপর থেকে অবশ্য এমন নজির আর ছিল না।

২০১৪ সালে জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আরিফ খান জয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হন। উপমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি বাফুফের নির্বাচিত সহ-সভাপতি হয়েছিলেন। উপমন্ত্রী হওয়ার পরেও তিনি বাফুফের সহ-সভাপতি পদ ছাড়েননি। একটি মন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় ব্যক্তি হওয়ার পরও আরেকটি ফেডারেশনে ছিলেন জয়।

পাপন ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী আবার ক্রিকেট বোর্ডেরও প্রধান। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সংস্থা হিসেবে বিসিবি’র তদারকি করবে। উভয় প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ব্যক্তি একজন হওয়ায় স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্ন উঠছে।জয়ের সঙ্গে পাপনের এবারের বিষয়টি একটু ভিন্ন। জয়ের ওপরে একজন ছিলেন প্রতিমন্ত্রী (বীরেণ শিকদার) এবং তিনি ফেডারেশনে সর্বোচ্চ পদেও ছিলেন না। একজন সভাপতি, একজন সিনিয়র সহ-সভাপতির পর চার সহ-সভাপতির মধ্যে তিনি একজন সহ-সভাপতি ছিলেন। আর পাপন ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী আবার ক্রিকেট বোর্ডেরও প্রধান। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সংস্থা হিসেবে বিসিবি’র তদারকি করবে। উভয় প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ব্যক্তি একজন হওয়ায় স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্ন উঠছে।

অনেক ফেডারেশনের সভাপতিই অনেক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। তারা সরকার (ক্রীড়া মন্ত্রলায়) থেকে মনোনীত। ২০১৩ সাল থেকে বিসিবির সভাপতি নির্বাচিত। নির্বাচিত ব্যক্তি পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে পারেন এত আইনত কোনো বাধা নেই। আবার তিনি বিসিবির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় ক্রীড়া মন্ত্রী হওয়ায় তিনি সরতেও বাধ্য হন। একদিকে স্বার্থের সংঘাত আরেক দিকে দ্বান্দ্বিক অবস্থা।

ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীত্বের সঙ্গে বিসিবি'র সভাপতির যেমন সাংঘর্ষিকতা তেমনি আরেকটি সাংঘর্ষিক জায়গা রয়েছে পাপনের। তিনি দেশের শীর্ষ ক্লাব আবাহনীর পরিচালক। ক্রীড়াঙ্গনের সর্বোচ্চ ব্যক্তির একটি জনপ্রিয় ক্লাবের পরিচালনার সঙ্গে থাকাটাও প্রশ্নের মুখে।

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে ম্যাচ সেরা ও টুর্নামেন্ট সেরাসহ কে কত টাকা পেল

চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে ম্যাচ সেরা ও টুর্নামেন্ট সেরাসহ কে কত টাকা পেল

নিজস্ব প্রতিবেদক: দুবাইয়ের ঐতিহাসিক মঞ্চে ভারত আবারও বিজয়ের মুকুট পরল। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৪-এর ফাইনালে ...

হঠাৎ করে মেহেদী হাসান মিরাজের নতুন যে নাম দিল আইসিসি

হঠাৎ করে মেহেদী হাসান মিরাজের নতুন যে নাম দিল আইসিসি

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) হল বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটের কর্মকাণ্ড পরিচালনাকারী সর্বোচ্চ সংস্থা। তাদের প্রকাশিত তথ্য সাধারণত ...

ফুটবল

২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে খেলতে হামজার বাংলাদেশে আগমনের সময় চূড়ান্ত

২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে খেলতে হামজার বাংলাদেশে আগমনের সময় চূড়ান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরি ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে আসন্ন ম্যাচের ...

বাংলাদেশ ম্যাচের আগে অবসর ভেঙে ফিরছেন ভারতের তারকা খেলোয়াড়

বাংলাদেশ ম্যাচের আগে অবসর ভেঙে ফিরছেন ভারতের তারকা খেলোয়াড়

নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার মাত্র ৮ মাসের মধ্যে আবারও ভারতের জাতীয় দলের ...