দুই দলের মধ্যে ছয়টি স্মরণীয় ম্যাচের অতীত যা জানা যায় জানলে অবাক হবেন

২০০৩ সংস্করণের পরে, ভারত-অস্ট্রেলিয়া আরেকটি বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হবে। বর্তমান টুর্নামেন্টে রোহিত শর্মা এখনও অপরাজিত, অন্যদিকে প্যাট কামিন্সের আউজি ক্যাম্প টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দল। বিশ্বকাপে দুই দলের লড়াই যেমন উন্মাদনা সৃষ্টি করেছিল, তেমনি দ্বিপাক্ষিক সিরিজে স্মরণীয় কিছু ম্যাচ হয়েছে তাদের। বার্তা সংস্থা এএফপি আজ শিরোপা দৌড়ের আগে দুই প্রতিপক্ষের মধ্যে ছয়টি স্মরণীয় ম্যাচ বেছে নিয়েছে।
মরুর বুকে শচীন-ঝড় : ২২ এপ্রিল, ১৯৯৮দুবাইয়ের শারজায় ত্রিদেশীয় কোকাকোলা কাপের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচ। প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেটে ২৮৪ রান তোলে। যে রান ভারত তাড়া করতে নামলে মাঝপথে বালুঝড় হানা দেয়। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ম্যাচ আধঘণ্টার মতো বন্ধও থাকে। এরপর খেলা শুরু হলে ভারতের জয়ের জন্য পরিবর্তিত লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৭৬ রান, আর ফাইনালে ওঠার জন্য ২৩৫ রান। ম্যাচটি ভারত শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি, তবে নিউজিল্যান্ডের চেয়ে রানরেটে এগিয়ে থেকে ফাইনালে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় রান ঠিকই তুলে নিয়েছিল। আর তাতে সিংহভাগ অবদান ছিল শচীন টেন্ডুলকারের।
ভারতীয় কিংবদন্তি সেদিন ডেমিয়েন ফ্লেমিং, মাইকেল ক্যাসপ্রোউইচ ও শেন ওয়ার্নদের নিয়ে গড়া অস্ট্রেলিয়ান বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছিলেন। দলকে ২৩৫ রান পার করে আউট হওয়ার আগে ১৩১ বলে তোলেন ১৪৩ রান। অনেকের চোখেই এটি ওয়ানডে ইতিহাসের অন্যতম সেরা ইনিংস। মরুভূমির দেশে বালুঝড়ের দিনে খেলা টেন্ডুলকারের এই ইনিংসকে ‘মরুঝড়’ও বলা হয়।
পন্টিংয়ের শাসন : ২৩ মার্চ, ২০০৩জোহানেসবার্গে সেবার বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিল সৌরভ গাঙ্গুলির ভারত। টস জিতে শুরুতে ব্যাট নেওয়ার পর তাদের বিপক্ষে ম্যাচের আসল নায়ক হয়ে ওঠেন টসে হারা অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক রিকি পন্টিং। ম্যাথু হেইডেন ও অ্যাডাম গিলক্রিস্টের উদ্বোধনী জুটি ১৪ ওভারের মধ্যে ১০৫ রান তুলে দিলে অস্ট্রেলিয়াকে সাড়ে তিনশ’র ওপারে নিয়ে যান পন্টিং। দ্বিতীয় উইকেট ডেমিয়েন মার্টিনকে (৮৮*) সঙ্গী করে গড়েন অবিচ্ছিন্ন ২৩৪ রানের জুটি। অস্ট্রেলিয়ার ২ উইকেটে ৩৫৯ রানের মধ্যে ১৪০ রানই পন্টিংয়ের। ১২১ বল খেলা ইনিংসটিতে ছিল ৪টি চার ও ৮টি ছয়। রান তাড়ায় বড় সংগ্রহের পেছনে ছুটতে গিয়ে ৩৯.২ ওভারে ২৩৪ রানে থেমে যায় ভারতের ইনিংস।
কাছে তবু কাছে নয় : ৫ নভেম্বর, ২০০৯দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম উইকেটে ১৪৫ রান এনে দেন শেন ওয়াটসন–শন মার্শ। ওয়াটসন ৯৩ রান করে ফিরলেও মার্শ পৌঁছান তিন অঙ্কে (১১২)। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটে ৩৫০ রানের পুঁজি গড়ে অস্ট্রেলিয়া। রান তাড়ায় শচীন টেন্ডুলকার একাই খেলেন ১৭৫ রানের ইনিংস। ১৪১ বলের ইনিংসটিতে ১৯টি চারের সঙ্গে ছিল ৪টি ছয়।
তবে টেন্ডুলকার যতটা উজ্জ্বল ছিলেন, ততটাই নিরুত্তাপ ছিলেন ভারতের বেশিরভাগ ব্যাটসম্যান। সুরেশ রায়নার ৫৯ ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান পঞ্চাশের ঘরেই যেতে পারেননি। ১১ জনের মধ্যে ৭ ব্যাটসম্যান এক অঙ্কে আউট হওয়ার ম্যাচটিতে ভারত হারে মাত্র ৩ রানে, যদিও বল বাকি ছিল ২টি। হায়দরাবাদের ম্যাচটিতে পরে টেন্ডুলকারের ইনিংসের প্রশংসা করে পন্টিং বলেছিলেন, ‘অন্যতম সেরা একটি ম্যাচ এবং শচীনের এযাবৎকালের অন্যতম সেরা ইনিংস।’
আরেকটি বিশ্বকাপ মঞ্চে মুখোমুখি ভারত-অস্ট্রেলিয়া। সেবারও কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটি হয়েছিল আহমেদাবাদের সর্দার প্যাটেল স্টেডিয়ামে, সংস্কারের পর যার নাম এখন নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। সেখানে আজ তারা শিরোপার লড়াইয়ে নামবে। ভারতের সর্বশেষ বিশ্বকাপ জয়ের আসরে কোয়ার্টার ফাইনালে রিকি পন্টিংয়ের ১০৪ রানে ভর করে অস্ট্রেলিয়া তুলেছিল ৬ উইকেটে ২৬০ রান। ওই রানই মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের জন্য বড় লক্ষ্য হয়ে ওঠে।
রানতাড়ায় শচীন টেন্ডুলকার ৫৩ ও গৌতম গম্ভীর ৫০ রান করে আউট হয়ে গেলে ভারতকে ভর করতে হয় যুবরাজ সিংয়ের ব্যাটে। শেষ পর্যন্ত ১৪ বল বাকি থাকতে যুবরাজের অপরাজিত ৫৭ রানে ৫ উইকেটে ভারত ম্যাচ জিতে নেয়। পরে সেমিফাইনালে পাকিস্তান এবং ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ট্রফি জেতেন ধোনিরা।
যেখানে কেবল ব্যাটারদের রাজত্ব : ১৬ অক্টোবর, ২০১৩জয়পুরের স্বামী মানসিংহ স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচটি ছিল বিরাট কোহলির, মাত্র ৫২ বলে তিনি তুলেছিলেন ১০০ রান। সেদিন অস্ট্রেলিয়ার ৫ উইকেটে ৩৫৯ রান তাড়া করতে নেমে ভারতের সর্বোচ্চ ইনিংসটি অবশ্য কোহলির ছিল না। শিখর ধাওয়ানের (৯৫) সঙ্গে ১৭৬ রানের উদ্বোধনী জুটিতে সঙ্গ দেওয়া রোহিত শর্মা খেলেন ১২৩ বলে ১৪১ রানের ইনিংস। তবে ৮ চার ৭ ছয়ে ঝোড়ো শতক তুলে কোহলিই নিজের দিকে আলো কেড়ে নেন। ভারত জেতে ৯ উইকেটে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৯২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা জর্জ বেইলি ম্যাচ শেষে ভারতের প্রশংসা করতে গিয়ে বলেছিলেন ‘দুর্দান্ত ব্যাটিং’।
মধুর প্রতিশোধ স্মিথের: ২৬ মার্চ, ২০১৫২০১১ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ভারত। পরের আসরে নিজেদের মাঠে ভারতকে সেমিফাইনালে হারিয়ে সেই শোধ নেয় অস্ট্রেলিয়া। সিডনিতে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ৩২৮ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া, যেখানে ৯৩ বলে ১০৫ রান স্টিভেন স্মিথের। রান তাড়ায় ভারত জয়ের সম্ভাবনাই জাগাতে পারেনি। জেমস ফকনার ৩টি ও মিচেল জনসন ও মিচেল স্টার্ক ২টি করে উইকেট নিলে ২৩৩ রানে গুটিয়ে যায় ভারতের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেবার বিশ্বকাপ ট্রফিও জেতে অস্ট্রেলিয়া।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- মাগুরার আছিয়ার বোনের মুখ থেকে সত্যিটা শোনেন (ভিডিওসহ)
- ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় বেড়িয়ে এল চাঞ্চল্যকর সব তথ্য
- ৮ বছরের শিশু ধ/র্ষণে বোনের স্বামী ও শ্বশুর আটক, বেড়িয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
- মাগুরার সেই শিশুর ডিএনএ রিপোর্ট থেকে বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- ভূমিকম্পে ঢাকায় তাৎক্ষণিক ভাবে মারা যেতে পারে ২ লাখ মানুষ
- তীব্র কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি আশঙ্কা
- মাগুরায় আলোচিত ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের শুনানি হল গভীর রাতে; রায় নিয়ে যা জানা গেল
- আছিয়ার মৃত্যুর পর চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন তার মা (ভিডিওসহ)
- মাগুরায় ৮ বছরের শিশু ধ"র্ষণ হইছে যে ঘরে (ভিডিওসহ)
- আছিয়ার ধ/র্ষণ ও হত্যা মামলার এজাহারে আসামীদের ভয়াবহ লোমহর্ষক বর্ণনা
- আছিয়া নিজে বলে গেছে ধ/র্ষণ করেছে কে (ভিডিওসহ)
- আছিয়ার ধ/র্ষক দুলাভাই কে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন তার শ্রেণী শিক্ষক মাহফুজ
- সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বিশাল বড় সুখবর
- মাগুরায় ৮ বছরের শিশুর সর্বশেষ তথ্য
- ৮ বছরের শিশুকে নিয়ে মাগুরায় আর্মি অফিসারের বক্তব্য ভাইরাল