| ঢাকা, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১

দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে মানসম্মত খেলা হয়না বলেই কি বিশ্ব দরবারে এমন ভরা ডুবি

খেলাধুলা ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৩ নভেম্বর ১২ ১৪:১৮:২৫
দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে মানসম্মত খেলা হয়না বলেই কি বিশ্ব দরবারে এমন ভরা ডুবি

ঘরোয়া ক্রিকেটে আবারও মাথা তুলেছে আম্পায়ারিং বিতর্ক। সারা দেশের চোখ যখন জাতীয় দলের পতনের দিকে, তখন ঘরোয়া ক্রিকেটে বিতর্কিত ও নিম্নমানের আম্পায়ারিং চলছে সবার চোখের আড়ালে। চলমান জাতীয় ক্রিকেট লিগে একটি নির্দিষ্ট দলের পক্ষে থাকতে মরিয়া দেশীয় আম্পায়াররা।

সম্প্রতি প্রকাশিত একটি ফুটেজে নিম্নমানের আম্পায়ারিংয়ের এমন চিত্র উঠে এসেছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ কিছু ম্যাচের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের ভিডিও ফুটেজ নিয়ে চলছে আলোচনা। জাতীয় দলের এক সময়ের নিয়মিত মুখ সৈয়দ রাসেল তার ফেসবুক প্রোফাইলে এর উদাহরণ দিয়েছেন। এসব আম্পায়ারিংয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, জাতীয় দলের তারকা খেলোয়াড়ে সমৃদ্ধ চট্টগ্রাম বিভাগের দলকে বিশেষ সুবিধা দিতে মরিয়া দায়িত্বে থাকা আম্পায়াররা। মাঠে তাদের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে ক্ষুব্ধ ক্রিকেটাররা। কিন্তু আচরণবিধির কারণে তারাও অসহায়।

চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের ম্যাচের চিত্র। আল-আমিন হোসেনের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন চৌধুরী ইয়াসির আলী রাব্বি। সংগৃহীত ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যায়, মাঠে নামার আগে নিয়মানুযায়ী একটি বৈধ ক্যাচ নিয়েছিলেন ফিল্ডার। উইকেট পাওয়ার আনন্দে মত্ত খুলনা বিভাগ। তবে স্ট্রাইকে থাকা ইয়াসির রাব্বি নিজের অবস্থান নিয়ে অনড়। আম্পায়ার সিগন্যাল আউট হয়নি।

একই ম্যাচের আরেকটি ছবি। নাহিদুল ইসলামের শর্ট ক্যাচ। খুলনার খেলোয়াড়রা যখন আনন্দে মত্ত, তখন বল ক্রিজে পড়ে ফিল্ডারের কাছে চলে যাওয়ায় হাত দিয়ে ইশারা করছেন চট্টগ্রামের নাইম। এবারও আম্পায়ার চট্টগ্রামের পক্ষেই সম্মতি দিয়েছেন। আবারো ক্ষুব্ধ খুলনার ক্রিকেটাররা।

এ ধরনের লেগ বিফোর আবেদনের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি২য় ফুটেজে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের খেলা চলছে। ওই নামেই ধর্মঘট। বোলার সালমানের সোজা বল সোজা নাইমের প্যাডে লাগে। বরিশালের খেলোয়াড়দের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট এলবিডব্লিউ উল্লাস। কিন্তু আম্পায়ার অনড়। একগুঁয়ে ব্যাটার নাইমও। বরিশালের খেলোয়াড়রা ক্ষুব্ধ হলেও তাদের ক্রিকেট শেখানো বুলি অনুসরণ করতে হচ্ছে 'আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত'।

এর আগে মোহামেডানের জার্সি গায়ে লাথি মেরে বা স্ট্যাম্প সরিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটের আম্পায়ারিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন দেশের বড় ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান। এ সময় তাকে মোটা অংকের অর্থ জরিমানা করা হয়। সেবার প্রবল ঝড় সইতে হয়েছে দেশটির আম্পায়ারদের। তবে সামগ্রিক কোনো পরিবর্তন হয়নি।

কিন্তু এমন প্রতিবাদ শুধু জাতীয় দলের ক্রিকেটার হিসেবেই সম্ভব হয়েছিল। স্থানীয় পর্যায়ের অধিকাংশ ক্রিকেটারই তাদের বৃহত্তর ক্রিকেট ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করেই এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তবে এ ধরনের আম্পায়ারিং দেশের ক্রিকেটকে বিলম্বিত করছে, যেন সেদিকে কারো নজর নেই।

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

কে বড় সুপারস্টার, সাকিব নাকি হামজা

কে বড় সুপারস্টার, সাকিব নাকি হামজা

নিজস্ব প্রতিবেদক: অনেকে সাকিব আল হাসান এবং হামজা চৌধুরীর মধ্যে তুলনা করার চেষ্টা করছেন। এই ...

তাসকিন-ফিজ আসলেই যাচ্ছেন আইপিএলে ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে কারা

তাসকিন-ফিজ আসলেই যাচ্ছেন আইপিএলে ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে কারা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের 'মিস্টার ডিফেন্ডেবল' এর গল্পটা বলা যাক। ২০০৮ সালের আইপিএল এর প্রথম আসরের ...

ফুটবল

২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে খেলতে হামজার বাংলাদেশে আগমনের সময় চূড়ান্ত

২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে খেলতে হামজার বাংলাদেশে আগমনের সময় চূড়ান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরি ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে আসন্ন ম্যাচের ...

বাংলাদেশ ম্যাচের আগে অবসর ভেঙে ফিরছেন ভারতের তারকা খেলোয়াড়

বাংলাদেশ ম্যাচের আগে অবসর ভেঙে ফিরছেন ভারতের তারকা খেলোয়াড়

নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার মাত্র ৮ মাসের মধ্যে আবারও ভারতের জাতীয় দলের ...