২০০৭ থেকে ২০২৩, এক নজরে দেখে নিন বিশ্বকাপে সাকিবের উপাখ্যান

বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছেন সাকিব আল হাসান। এটি বিশ্ব সিরিজে অলরাউন্ডার টাইগারের জন্য একটি রঙিন অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটায়। আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই খেলেছেন ৫টি বিশ্বকাপ। এর মধ্যে দুটিতে তিনি ছিলেন দলের অধিনায়ক। যাইহোক, বাকি চারটি বিশ্বকাপ সাকিবের, যিনি ২০১৯ সালে সাকিব হন। যে ঘটনা তাকে ক্রিকেট কিংবদন্তিদের তালিকায় নিয়ে আসে। গতকাল, অধিনায়ক যখন তার শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলে দেশে ফিরেছেন, ওয়ানডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে ৭ তম সেরা ব্যাটসম্যান এবং ১১ তম সেরা বোলারের খেতাব তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে।
কিংবদন্তির বিদায় হয় না তাদের মনে রাখার জন্য ভিক্ষা করতে হবে না। তারা বেঁচে থাকে, তাদের মহিমায়। বরং তাদের অনুপস্থিতি সবাইকে পোড়াবে। সবাই তাদের শূন্যতা ভোগ করবে।
বাংলাদেশের প্রাণ, বাংলাদেশের প্রাণ সাকিব আল হাসান। তবে এই স্লোগানের প্রাসঙ্গিকতা প্রশ্নবিদ্ধ। যেহেতু বিশ্বকাপে দলের পতনের জন্য তিনিই মূলত দায়ী, তাই তাকে বিশ্বাস করার সংখ্যাও নেহাত কম নয়। কিন্তু আজ এসব কথার কোনো মূল্য নেই। কারণ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে ফিল্ডিং করতে গিয়ে আঙুলে চোট পান সাকিব। সে সময়ই বিপর্যয় ঘটে বলে পরে জানা যায়। ওয়ার্ল্ডকাপ সিরিজ থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। এই মানুষটি হয়তো আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানাননি, কিন্তু বাস্তবতা হলো বাংলাদেশের মানুষ দেশের সেরা ক্রিকেটারের শেষ বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখেছে। চলুন একবার স্মৃতির পৃষ্ঠা উলটে দেখি, কেমন ছিল বিশ্ব সেরা ওয়ানডে অলরাউন্ডারের ৫ বিশ্বকাপ যাত্রা।
২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক ছোট্ট সাকিবের। কুইন্স পার্ক ওভালে সেই ম্যাচে ৫৩ রান করেছিলেন সাকিব আল হাসান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরের ম্যাচে রান ৪। বারমুডার বিপক্ষেও রান আসেনি ব্যাটে, অপরাজিত ছিলেন ২৬ রানে। পরে, সেই বিশ্বকাপে আর একটা ফিফটি আসে সাকিবের উইলো থেকে, কেনিংটন ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সাল, ২০১১। আর্মব্যান্ড তখন সাকিবের হাতে। প্রথম ম্যাচে আবারো সেই পুরনো প্রতিপক্ষ ভারত, সাকিবের ব্যাটে ফিফটি। কিন্তু সে আসরটা একেবারেই ভালো যায়নি ক্যাপ্টেন সাকিবের। ব্যাটে-বলেও ছিল না তেমন কোনো মুন্সিয়ানা। ভারতের বিপক্ষে ফিফটি ছাড়া সর্বোচ্চ রান ৩২।
২০১৫ তে আবারো ফিফটি দিয়েই আসর শুরু, সেবার প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফিফটি না পেলেও, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে আসলো ষাটোর্ধ্ব রান। কিন্তু সাকিবের, সাকিব হয়ে উঠাটা ২০১৯ সালে। এক বিশ্বকাপে একজন অলরাউন্ডার যা করতে পারতেন, তার প্রায় সবই করেছেন সাকিব। নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য এক উচ্চতায়। এক আসরে ৬০৬ রান আর ১১ উইকেটের রেকর্ড গড়েন মিস্টার সেভেন্টি ফাইভ। যেখানে ছিল ২টা সেঞ্চুরি আর ৫টা ফিফটি। ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন তিন ম্যাচে।
কিন্তু ২০২৩ সালটা রীতিমতো ভয়াবহ কাটলো সাকিবের। যে কয়টা ম্যাচ খেলেছেন তাতে সাবলীলভাবে ব্যাট করতে পেরেছেন মাত্র এক ম্যাচে। বাকিসবগুলোতেই ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। এক ম্যাচে ব্যাটিং করেছেন সাচ্ছন্দ্যে, আর সেটাতেই জিতেছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারও। তবে, তার বিদায়বেলায় প্রকৃতিও খালি হাতে ফেরালোনা তাকে। বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচটা জয় দিয়েই রাঙালেন অলরাউন্ডার।
পরাজিত সৈনিক নয়, জয়ী সেনাপতির মতোই প্রস্থান ঘটলো বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে দৃঢ়চেতা এবং আগ্রাসী ক্রিকেটারের। ২০০৭ থেকে ২০২৩, পাঁচ আসর মিলিয়ে ২ সেঞ্চুরি আর ১১ ফিফটিতে ৪১.৬২ গড়ে ৩৬ ইনিংসে তার রান ১৩৩২। বিশ্ব আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় অবস্থান সপ্তম। সব মিলিয়ে ৩৬ ম্যাচে ৪৩ উইকেট নিয়ে বোলারদের তালিকায় তার অবস্থান ১১তম।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- তুমুল সংঘর্ষ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে, ৫৪ জনের মৃত্যু
- বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট চলাকালে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু
- সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতন বাড়লো সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের
- আলেমদের বেইজ্জতি করার পরিণতি সাতক্ষীরা চেয়ারম্যান
- তুমুল লড়াই, নিহত ভারতীয় সেনা
- ফিরে আসছেন শেখ হাসিনা
- কোন পরিমাণ টাকা থাকলে কোরবানি করা বাধ্যতামূলক
- ৫ আগস্ট সংসদ ভবনে লুকিয়ে থেকে কিভাবে বেঁচে ফিরলেন শিরীন শারমিন-পলকসহ ১২ জন
- ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশিদের জন্য দুঃসংবাদ
- বাংলাদেশে সব রেল প্রকল্প স্থগিত করলো ভারত, এর পেছনে কারণ কি
- সমবয়সী না ছোট—কাকে বিয়ে করা উত্তম
- ভারত থেকে যে ৩৩ পন্য আমদানী বন্ধ
- আবারও ছুটি ও বেতন নিয়ে দারুণ সুখবর!
- ভারতকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে, এটা কোনভাবেই কম হবে না
- উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশকে বার্তা পাঠাল পাকিস্তান