ক্রিকেটারদের মতোই নষ্ট হচ্ছে টাইগারদের ১০০% জয়ের স্টেডিয়ামটি

`খোকা ঘুমিয়েছে, পাড়া জুরা, বর্গী এলো দেশে। বুলবুলি ভাত খেয়েছে, খাজনা দেব কী?'- বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের শর্ত মানানসই বলে মনে হয় ছড়া! বিশ্বের অন্যতম ধনী এই পরিষদের অবস্থা দেখলে মনে হয়, এর বেঁচে থাকার উপায় নেই, ভাড়াও অনেক কম। একদিকে বিশ্বকাপে ব্যর্থতায় ভুগছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা, অন্যদিকে ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলো বার্ধক্যে মরছে। এমনই একটি নাম খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম। খুলনার অবহেলিত ও অবহেলিত শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে মাঝেমধ্যেই খেলা হয়। কিন্তু পাবলিক তা করে না।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) এই স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে ২৫তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ড। সেদিন মাঠে নেমেছিলেন রংপুর ও সিলেট বিভাগের ক্রিকেটাররা। তবে প্রথমে তাদের স্টেডিয়ামের ‘দুর্দশা’ মানিয়ে নিতে হবে। স্টেডিয়াম ভেন্যুতে প্রবেশ করলেই শুধু ছবিগুলো প্রাণবন্ত বলে মনে হয়।
জানা গেছে, ২৩ অক্টোবর থেকে স্টেডিয়ামের বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ রয়েছে। চ্যাম্পিয়নশিপ শুরুর আগে ক্রিকেটার এবং স্টেকহোল্ডারদের জন্য এই খবরটি একটি বড় ধাক্কা। যাইহোক, তীব্র উত্তাপের সাথে সবকিছু সামঞ্জস্য করার পরে, তারা অনুশীলনের পরে মাঠে নামেন। সরেজমিনে দেখা যায়, ২০০৪ সালে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ দিয়ে যাত্রা শুরু করা স্টেডিয়ামটি আর দর্শক-বান্ধব নয়। যেন “রুগান আউটফিল্ড” দরিদ্রদের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার ব্যর্থ চেষ্টা করছে। জাতীয় ক্রিকেট লিগের কোনো না কোনো ম্যাচ খেলা হচ্ছে এই আউটফিল্ডে। আর গত জুলাইয়ে এই মাঠে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল খেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে। এই বছরের শুরুর দিকে নারী ক্রিকেটারদের অনুশীলন ছাড়া উল্লেখ করার মতো তেমন কিছু নেই। তবে দর্শকদের আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও আসার কোনো উপায় নেই যখন ম্যাচ মাঠে থাকে।
আসনগুলো শুয়ে থাকলেও সেগুলোতে বসার কোনো শর্ত নেই। কোথাও সেই আসনটিও কালের স্রোতে বিলীন হয়ে গেছে।স্টেডিয়ামের প্রবেশদ্বার থেকে আসন পর্যন্ত কিছুই ব্যবহারযোগ্য নয়। প্লাস্টিকের আসনগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। কোথাও আসনের অবশেষ অবহেলা ও অবহেলার সাক্ষ্য দিচ্ছে। আবার সুড়ঙ্গের একটি অংশের পুরো বসার জায়গাটি উপড়ে ফেলা হয়েছে, মাত্র কয়েকটি লোহার পেরেক অবশিষ্ট রয়েছে। স্কোরবোর্ডের পাশের বিশাল স্ক্রিনটি ভেঙে পড়েছে। সুড়ঙ্গের নিচের টয়লেটগুলোর কোনো দরজা নেই, কোনো কোনোটি উপকূলে পরিণত হয়েছে। সব মিলিয়ে শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে হতাশার ভান্ডার তৈরি করেছে। এমনকি বাথরুমগুলোরও বেহাল দশা। আর দরজাবিহীন বাথরুমটি ময়লার স্তূপে পরিণত হয়েছে।
কিন্তু এই স্টেডিয়ামে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওডিআই ম্যাচে টাইগার আর্মি সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের কীর্তি অর্জন করে। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সেই সিরিজে স্টেডিয়ামটি সপ্তম টেস্ট ভেন্যু হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বাংলাদেশ২০০৬ থেকে ২০১২ পর্যন্ত ৪ টি ওডিআই ম্যাচ খেলে, যার প্রতিটিতে টাইগাররা জয়ের স্বাদ পায়।
পরে এই স্টেডিয়ামটিকে "লাকি ভেন্যু" বলা হয়। উপরন্তু, মাঠটি গর্বের সাথে বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের আবাসস্থল। ২৮ নভেম্বর ২০০৬ তারিখে, বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই ম্যাচটি ৪৩ রানে জিতেছিল এবং মাশরাফি বিন মুর্তজা ২৬ বল এবং ১ উইকেটে ৩৬ রান করে ম্যাচের সেরা হন। প্রায় এক শতাব্দী আগে তৎকালীন কিউরেটর গামা ডি সিলভা খুলনার আউটফিল্ডকে দেশের সেরা আউটফিল্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। কিন্তু অনেক স্মৃতির মঞ্চ এখন বিষাদময়!
২০১৬ সালের পর স্টেডিয়াম থেকে সরে গেল বিসিবি! সে সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড অপর্যাপ্ত বাসস্থান ও পরিবহনের অজুহাত হিসেবে উল্লেখ করেছিল। তাই কাউন্সিল কর্মকর্তাদের এটি দেখার সময় নেই। তাদের নিয়ে কত লেখালেখি হয়েছে! কিন্তু শেষ পর্যন্ত, অপবিত্রতা সমস্ত প্রচেষ্টাকে গ্রাস করে। স্টেডিয়ামের একটি ব্যাপক সংস্কার করা হয়েছিল, কখনও কখনও শোরগোল। কিন্তু সেই উদ্যোগ আলোর মুখ দেখার আগেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও বিসিবির মধ্যে টানাটানি শেষ! এদিকে কোচি থেকে আব্দুস সাত্তার চলে যাওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে প্রধান কার্যালয়ের পদটি শূন্য রয়েছে। বর্তমানে স্টেডিয়ামের প্রধান কার্যালয় মুস্তাফিজুর রহমান রাসেল। তিনি বলেছেন: "এই স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট লিগ হয়। এর আগে স্থানীয় দল এবং অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মধ্যে কয়েকটি ম্যাচ হয়েছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এখানে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব নয়। স্টেডিয়ামকে প্রাণবন্ত করতে সবার সঙ্গে কথা বলছি।এই সময়ে সংস্কারের মাধ্যমে আগের রূপ ফিরিয়ে আনা সম্ভব।এছাড়া পদ্মা সেতুর সুবাদে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে, উন্নতমানের আবাসন হচ্ছে। স্টেডিয়ামের পাশেই নির্মিত হয়েছে।ফলে ভবিষ্যতে এই মাঠে বড় ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব হবে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- মাগুরার আছিয়ার বোনের মুখ থেকে সত্যিটা শোনেন (ভিডিওসহ)
- তিনজন ধ/র্ষণ করলো আছিয়ার বোনের ঘুম ভাঙেনি কেন
- মাগুরার সেই শিশুর ডিএনএ রিপোর্ট থেকে বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি: সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন হার
- যশোরে বিমান বিধ্বস্ত
- মাগুরায় আলোচিত ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের শুনানি হল গভীর রাতে; রায় নিয়ে যা জানা গেল
- আছিয়ার মৃত্যুর পর চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন তার মা (ভিডিওসহ)
- আছিয়ার ধ/র্ষণ ও হত্যা মামলার এজাহারে আসামীদের ভয়াবহ লোমহর্ষক বর্ণনা
- মাগুরায় ৮ বছরের শিশু ধ"র্ষণ হইছে যে ঘরে (ভিডিওসহ)
- সেই রাতে শাশুড়ি আমার খাবারে ঘুমের ওষুধ দিছিল; আছিয়ার বোন
- হাসিনার বাংলাদেশে ফেরা নিয়ে ভারতের সেনাপ্রধানের বিস্ফোরণ মন্তব্য; সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- আছিয়ার ধ/র্ষক দুলাভাই কে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন তার শ্রেণী শিক্ষক মাহফুজ
- শিশু আছিয়ার ধ/র্ষকের প্রধান আসামী হিটু শেখকে নিয়ে উঠে এলো লোমহর্ষক তথ্য
- আছিয়া নিজে বলে গেছে ধ/র্ষণ করেছে কে (ভিডিওসহ)
- সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বিশাল বড় সুখবর