| ঢাকা, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১

সেই মাহমুদউল্লাহই দলের লজ্জা কমাতে একাই লড়ছেন

খেলাধুলা ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৩ অক্টোবর ২৪ ২১:৫৩:৩২
সেই মাহমুদউল্লাহই দলের লজ্জা কমাতে একাই লড়ছেন

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বয়স হয়েছে। তিনি শুধু এই তরুণ দলের মাপসই করা হয় না. এই সব ধোঁয়াশা উঠে গেল বিশ্বকাপে তার পারফরম্যান্স নিয়ে অনিশ্চয়তা। শেষ মুহূর্তে শামীম পাটোয়ারী ও আফিফ হোসেনের ব্যর্থতা বিশ্বকাপে সুযোগ দিয়েছে এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানকে। অবহেলিত মাহমুদউল্লাহ বারবার দলের ঢাল। দলকে বিপদ থেকে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন তিনি। আগের দুই ম্যাচে ৪০-এর বেশি ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।

আজও মাহমুদউল্লাহ দলকে বড় ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে বাঁচাতে হারের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করছেন। এখন পর্যন্ত ৩৩ পয়েন্টে অপরাজিত তিনি।এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৬.৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১০১ রান। লক্ষ্য ৩৮৩ রান। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা মনে হচ্ছে এই টার্গেট তাদের সামনে রেখেই হাল ছেড়ে দিয়েছে। একের পর এক ব্যাটসম্যান ড্রেসিংরুমের দিকে যাচ্ছেন।

আগের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ফিফটি করেছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। কিন্তু পরের ম্যাচে সেই ব্যর্থতা। মার্কো জ্যানসেনের শর্ট ডেলিভারি ব্যাট স্পর্শ করে এবং ১৭ বলে ১২ রান করে ফেরেন তিনি। পরের বলে আরেকটি উইকেট। এবার নাজমুল হোসেন ব্যাট ধরলে শান্ত আউট হন লেগ সাইডে, এবার উইকেটরক্ষকের ক্যাচ। সাজঘরে গোল্ডেন ডাক (১ বল ০) শান্ত। এরপর প্রথম স্লিপে লিজার্ড উইলিয়ামসকে ক্যাচ দেন সাকিব আল হাসান। টাইগার অধিনায়ক ৪ বল খেলে করেন ১ রান। রহিমের ওপর আস্থা ছিল মুশফিকের।

কিন্তু মিস্টার ডিপেন্ডেবল নামে পরিচিত এই ব্যাটসম্যানও বাজে শট খেলে উইকেট তুলে দেন। জেরাল্ট কোয়েৎজির শর্ট ওয়াইড বলে শট খেলে থার্ডম্যানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুশফিক। ১৭ বলে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৮ রান। সেট হলে ইনিংস বাড়াতে হবে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম প্রযোজ্য নয়। অনেকেই ক্রিজে গিয়ে উইকেট তুলে দেন। কেউ কেউ নিশ্চিত এবং মনে করেন দায়িত্ব শেষ।

লিটন দাস থিতু হওয়া মাত্রই ড্রেসিংরুমে ফিরে আসেন। তিনি দলের হুমকি নিয়ন্ত্রণে নেন এবং ৫০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেন। কিন্তু ধীরগতির ইনিংস খেলেও বড় কিছু করতে পারেননি লিটন। কাগিসো রাবাদা ৪৪ বলে ২২ রান করে এলবিডব্লিউ হন। ৫৮ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজ ১৯ বলে ১১ রান করে কেশব মহারাজকে উইকেট দেন।

এর আগে ডেথ ওভারে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের ভয়ঙ্কর রূপ দেখেছিলেন সাকিব-মোস্তাফিজ-শরিফুল। ৩৮ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৩ উইকেটে ২১৭। বাংলাদেশের বোলাররা তখন দুই ওভারে মাত্র দশ রানের নিচে। ডি কক-ক্লাসেন বল মারেন সীমানার বাইরে।শেষ ১০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা ১৪৪ রান করে। কুইন্টন ডি কক একটি বিধ্বংসী সেঞ্চুরি করেছিলেন, কিন্তু হেনরিখ ক্ল্যাসেনের সেঞ্চুরি শেষ পর্যন্ত অস্বীকার করা হয়েছিল, যা টাইগারদের ক্ষতি করেছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৮২ রান।

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলটি নেন রিজা হেনড্রিকস। দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনারকে ক্যাচ নিতে বাধ্য করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। কিন্তু প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো তানজিদ হাসান তামিম বল নিজের তালুতে রাখতে ব্যর্থ হন। ফলে বাংলাদেশ শুরুতে ব্রেকথ্রু অর্জন করতে পারেনি।

তবে সাফল্য আসতে বেশি সময় লাগেনি। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে দারুণ এক ডেলিভারিতে ব্যাটসম্যান রিজা হেন্ডরিক্সকে বোল্ড করেন পেসার শরিফুল ইসলাম। শরিফুলের ফুল লেন্থে বল ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন রিজা। কিন্তু তার বলের গতি ছিল না। সে সোজা গিয়ে স্ট্যাম্পে আঘাত করল। ৩৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। রিজা হেনড্রিক্সের উইকেট নিয়ে শরিফুল যে নাচ দিলেন তা অবশ্যই বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের চোখে থাকবে।

দ্বিতীয় উইকেট পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি টাইগারদের। অষ্টম ওভারের পঞ্চম বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন আরেক মার্কুয়েট প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান রসি ফন ডের ডুসেন। মিরাজের ফোরহ্যান্ড মিস করেন ডের ডুসেন। বল সরাসরি প্যাডে আঘাত করে। উচ্চস্বরে আবেদনে সাড়া দেন রেফারি। ৩৬ রানে পড়ে দ্বিতীয় উইকেট।

কিন্তু সেখান থেকে কুইন্টন ডি কক ও এইডেন মার্করাম জোড়া সেঞ্চুরি করেন। দম্পতি ক্রমাগত বেড়েছে। অবশেষে ১৩৭ বলে ১৩১ রানের বড় জুটি ভাঙেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। লংগনে সাকিবকে মারতে গিয়েছিলেন মার্করাম। সহজ ক্যাচ নেন লিটন দাস। ৬৯ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৬০ রান করে সাজঘরে ফেরেন প্রোটিয়া অধিনায়ক।

কিন্তু ডি কককে আটকানো যায়নি। এবারের বিশ্বকাপে, প্রোটিয়াদের পঞ্চম ম্যাচে, ওপেনার মার্কুটে তার তৃতীয় সেঞ্চুরি করেন, ১০১ বলে। এটি ডি ককের 20তম ওডিআই সেঞ্চুরি।

এই ডি কক নিজের থেকে যা বলার তা করেছেন। ১৪০ বলে ১৭৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। হাসান মাহমুদ ১৫ বাউন্ডারি ও ৭ ছক্কায় তার বিধ্বংসী ইনিংসটি সাজান। ডিপ অ্যান্ড ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট বাউন্ডারিতে ক্যাচ দেন নাসুম আহমেদ।

এরপর শুরু হয় ক্লাসেনের তাণ্ডব। চারের চেয়ে ছক্কা মারাতেই বেশি মনোযোগী এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। এমন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে তার সেঞ্চুরির সম্ভাবনা তৈরি হয়। ইনিংসের ৪ বল বাকি থাকতেই হাসান মাহমুদের বলে মাহমুদউল্লাহকে ক্যাচ দেন ক্লাসেন।

কিন্তু এখন আপনি কি করেছেন? ৪৯ বলে ৯০ রানের ইনিংসে ২ চারের সাহায্যে ৮ ছক্কা মেরেছিলেন ক্লাসেন। শেষ পর্যন্ত, ডেভিড মিলারের ব্যাট থেকে ১৫ বলে ১ চার ও ৪ ছক্কায় অপরাজিত ৩৪ রান আসে।

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

কে বড় সুপারস্টার, সাকিব নাকি হামজা

কে বড় সুপারস্টার, সাকিব নাকি হামজা

নিজস্ব প্রতিবেদক: অনেকে সাকিব আল হাসান এবং হামজা চৌধুরীর মধ্যে তুলনা করার চেষ্টা করছেন। এই ...

তাসকিন-ফিজ আসলেই যাচ্ছেন আইপিএলে ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে কারা

তাসকিন-ফিজ আসলেই যাচ্ছেন আইপিএলে ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে কারা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের 'মিস্টার ডিফেন্ডেবল' এর গল্পটা বলা যাক। ২০০৮ সালের আইপিএল এর প্রথম আসরের ...

ফুটবল

২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে খেলতে হামজার বাংলাদেশে আগমনের সময় চূড়ান্ত

২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে খেলতে হামজার বাংলাদেশে আগমনের সময় চূড়ান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরি ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে আসন্ন ম্যাচের ...

ভারতকে হারাতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবার বাংলাদেশ

ভারতকে হারাতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবার বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আর মাত্র ১০ দিন বাকি। ...