পৃথিবী আবারো স্বরণ করলো ফুটবল সম্রাট কে

১৯৫০ সাল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম বিশ্বকাপ। আয়োজক ল্যাটিন দেশ ব্রাজিল। ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্ব তখনও ব্রাজিলিয়ানদের কাছে অজানা ছিল না। কিন্তু ফুটবলের প্রতি তাদের ভালোবাসা অফুরন্ত। বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ উরুগুয়ে। প্রথম বিশ্বকাপের অপেক্ষায় গোটা দেশ। তবে মারাকানার ঐতিহাসিক ফাইনালে একটি ঘটনা দিয়ে বিশ্বকাপ ঘরে তুলেছে উরুগুয়ে।
সেদিনের ফাইনালের পর, সাও পাওলোর এক কিশোর তার বাবার কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিল ব্রাজিলকে অন্তত একটি বিশ্বকাপ এনে দেবে। সেই যুবক ঠিকই বলেছিল। কিন্তু দেশকে একটি নয়, তিনটি শিরোপা এনে দিয়েছেন তিনি। ফুটবল বিশ্ব অগণিত রথী-মহারথীদের দ্বারা পরিপূর্ণ যারা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত। তার নাম পান। গত বছর চলে যাওয়া এই ফুটবল কিংবদন্তির আজ ৮৩তম জন্মদিন।
পেলের জন্ম ২৩ অক্টোবর, ১৯৪০ সালে ব্রাজিলের সাও পাওলোর ত্রেস কোরাসেসের একটি বস্তিতে। তার বাবা-মা তার নাম রাখেন বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনের নামে। পেলের পুরো নাম এডসন আরন্তেস দো নাসিমেন্টো। অবশ্য বস্তির বন্ধুরা পেলেকে 'ডিকো' নামেই চিনত।
নামের সাথে এডিসনের মিল থাকলেও পেলে ছিলেন ক্রীড়া জগতের একজন মানুষ। সম্ভবত ফুটবল খেলায় তাকে সর্বোচ্চ মানের দেওয়া হয়েছিল। ব্রাজিলে ফুটবল ধর্মের মতো। শব্দটি বের হওয়ার আগেই শিশুরা গোল বলের সাথে পরিচিত। সাও পাওলোর ছেলে পেলের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি ব্যতিক্রম ছিল না।
খুব অল্প বয়সেই রাস্তায় ফুটবল খেলে নজরে পড়েন। মানে অনুশীলনের জন্য বল কেনার কোনো শর্ত নেই। পুরনো মোজায় খবরের কাগজ মুড়িয়ে ফুটবল খেলতেন। কিন্তু সে কাগজের বল দিয়ে তার মুন্সিয়ানা দেখাল। তার প্রতিভা সান্তোসের গ্রেট ওয়াল্ডেমার ডি ব্রিটোর নজর কেড়েছিল। পেলের জীবনের মোড় ঘুরে যায়। তখন পেলের বয়স ছিল ১৫ বছর। তাকে সান্তোস ক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয়, যোগ দেন ‘বি’ দলে। প্রাকৃতিক প্রতিভা দেখিয়ে এক বছরের মধ্যেই প্রথম দলে জায়গা করে নেন পেলে। এবং তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
পেলে ১৯৫৮ বিশ্বকাপে তার বাবাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছিলেন। মারিও জাগালো, ভাভা, দিদি, গ্যারিঞ্চাসের সাথে কিশোর পেলে ব্রাজিলকে তাদের প্রথম বিশ্বকাপ এনে দেন। ফাইনালে সুইডেনের বিপক্ষে তার গোলটি বিশ্বকাপের ইতিহাসে অন্যতম সেরা গোল হিসেবে বিবেচিত হয়।
১৯৬২ বিশ্বকাপ জিতলেও পেলে তাতে খুব একটা অবদান রাখেননি। চোটের কারণে বেশিরভাগ সময় মাঠের বাইরে থাকতেন তিনি। এবং ৭০ এর দশকে তিনি ইতিহাসের সেরা দল নিয়ে হাজির হন। অল-স্টার দলটি কার্লোস আলবার্তো, রিভেলিনো এবং জাইরজিনহো নিয়ে গঠিত হয়েছিল। মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত সেই টুর্নামেন্টেও শিরোপা জিতেছিলেন পেলে।
তিনি তার ক্যারিয়ারে ১,৩৬৬ টি ম্যাচ খেলেছেন এবং ১,২৮৩ টি গোল করেছেন। আর ব্রাজিলের জার্সিতে ৯২ ম্যাচে ৭৭ গোল করেছেন তিনি। কয়েকদিন আগে রেকর্ড ভেঙেছেন নেইমার।
অনেকেই মনে করেন, পেলে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ইউরোপে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে যাননি। কিন্তু বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন। পেলের ফুটবলের অনন্য শৈলী বিবেচনা করে, তাকে তার দেশের সরকার জাতীয় ধন হিসাবে ঘোষণা করেছিল। ইউরোপীয়দের কঠিন ট্যাকলের কারণে তার ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল।
গত বিশ্বকাপের সময় এই কিংবদন্তি ফুটবলার মারা যান। বিদায়ের আগেই হারের মুখ দেখেছে ব্রাজিল। অনেক কষ্ট নিয়ে পৃথিবীকে বিদায় জানান তিনি।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশের বিশাল কর্মসূচি নিয়ে যা লিখেছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- ড. ইউনূসকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সেনাপ্রধান
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- এক আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী বাবা-ছেলের লড়াই
- বাংলাদেশের প্রতিবাদ দেখে ই/স/রা/ই/ল জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় (ভিডিওসহ)
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- বাংলাদেশের ‘পাসপোর্ট’ ইস্যুতে কড়া জবাব দিল ইসরাইলি গণমাধ্যমে
- জীবনসঙ্গী কি পূর্বনির্ধারিত নাকি মানুষের কর্মফল
- ড. ইউনূসকে ৫ বছর ক্ষমতায় চেয়ে চিঠি
- ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে কেপে উঠল রাজধানী ইসলামাবাদ
- বাংলাদেশকে ১০ বছর মেয়াদি গোল্ডেন ভিসা দেবে যে দেশ
- কিভাবে বুঝবেন সন্তান পর্নোগ্ৰাফিতে আসক্ত