| ঢাকা, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১

ক্রিকেট বিশ্বে যে ১০টি বড় ঘটনা; যা অবাক করেছে গোটা বিশ্বকে

খেলাধুলা ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৩ অক্টোবর ১৬ ১১:৫৬:২৮
ক্রিকেট বিশ্বে যে ১০টি বড় ঘটনা; যা অবাক করেছে গোটা বিশ্বকে

রশিদ খানের বিপক্ষে হার ভুলে যেতে চান ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ক্রিকেট বিশ্বের ছোট দলগুলো বিশ্বকাপে অনেকবার বড় দলকে হারিয়েছে। গতকাল রশিদ যেমন 'ডেভিড' হয়েছিলেন, তথাকথিত ছোট দলগুলো অনেকবার শক্তিশালী দলের বিপক্ষে জিতেছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক বিশ্বকাপের ইতিহাসে এমন ১০টি ম্যাচ।

আয়ারল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০১৫ বিশ্বকাপ

অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড আয়োজিত ২০১৫ বিশ্বকাপ, আয়ারল্যান্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পরাজিত করে শুরু হয়েছিল। উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডের আয়ারল্যান্ড চার উইকেটে জিতেছে। তবে এই জয়কে ফ্লুক বলে মনে করেন না তিনি। ৮৭ রানে চার উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ান দল। তবে লেন্ডল সিমন্সের সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩০৭ রান করে। আয়ারল্যান্ড ২৫ বল বাকি থাকতেই জয়ী রান করে। পল স্টার্লিং (৯২) এবং এড জয়েস (৮৪) ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন।

বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান, ১৯৯৯ বিশ্বকাপ

তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বিশ্বে সদ্য পদার্পণ করেছে। তারপরও বিচারের মর্যাদা পায়নি। তখন বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল টাইগাররা। প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ দল ৫০ ওভারে ২২৩ রান করে। সেই রান তাড়া করতে নেমে ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। এরপরই পরিষ্কার হয়ে যায় পাকিস্তানের জন্য ম্যাচ জেতা কঠিন হবে। পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হয় ১৬১ রানে। যাইহোক, এটি সেমিফাইনালে পৌঁছানো সাকলাইন মোস্তাকসকে থামাতে পারেনি।

বাংলাদেশ বনাম ভারত, ২০০৭ বিশ্বকাপ

শুধু পাকিস্তানের বিপক্ষে নয়, ভারতের বিপক্ষেও বিশ্বকাপ জিতেছে বাংলাদেশ। ভারত একটি গ্রুপে ছিল শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও বারমুডার সাথে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হেরেছে ভারত। মাত্র ১৯১ রানে আউট হয়ে যায় রাহুল দ্রাবিড়ের টিম ইন্ডিয়া। সেই সময় তরুণ মুশফিকুর রহিম ৫৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ম্যাচ জিতেছিলেন। সেই পরাজয়ের ধাক্কায় সে সময় বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল ভারতকে।

জিম্বাবুয়ে বনাম ভারত, ১৯৯৯ বিশ্বকাপ

বিশ্বকাপের মঞ্চেও জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছে ভারত। ১৯৯৯ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে, জিম্বাবুয়ে প্রথমে ব্যাট করে ২৫২ রান করেছিল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শেষ দুই ওভারে ভারতের প্রয়োজন ছিল ৯ রান। কিন্তু টিম ইন্ডিয়া ২৪৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। এই ম্যাচে হেনরি ওলোঙ্গা ৩ রানে জিতেছে।

জিম্বাবুয়ে বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, ১৯৯৯ বিশ্বকাপ

বড় দলের কাছে হেরে অভ্যাস করে ফেলেছে জিম্বাবুয়ে। ভারত ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকাতেও সেবা হারিয়েছেন তিনি। প্রথমে ব্যাট করে জিম্বাবুয়ে ২৩৩ রান করে। দেশের নায়ক হয়ে গেলেন নীল জনসন। ব্যাট হাতে ৭৬ রান করেন তিনি। বল হাতেও মেজাজ খুব খারাপ ছিল তার। নতুন বলে প্রোটিয়া দলের ছন্দ কাঁপিয়ে দেন জনসন ও হিথ। ১৮৫ রানে শেষ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।

কেনিয়া বনাম শ্রীলঙ্কা, ২০০৩ বিশ্বকাপ

কেনিয়া ২০০৩ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছিল। বড় দলের বিপক্ষে তাদের একের পর এক ঘটনা ঘটেছে। শ্রীলঙ্কা তখন খুব শক্তিশালী দল ছিল। সনাথ জয়সুরিয়া বোল্ড করে কেনিয়াকে মাত্র ২১০ রানে আউট করে হেরে যায়। কেনিয়ার কলিন ওবুয়া ১০ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন। ১৫৭ রানে অলআউট হন কুমার সাঙ্গাকারা।

আয়ারল্যান্ড বনাম পাকিস্তান, ২০০৭ বিশ্বকাপ

২০০৭ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে আয়ারল্যান্ড তার ছাপ রেখে যায়। প্রথমে ব্যাট করে ১৩২ রানে থামে পাকিস্তান। পাক সামলাতে পারেননি আইরিশ পেসাররা। বৃষ্টির কারণে লক্ষ্য কমে যায় ১২৭ রানে। এই ম্যাচে আয়ারল্যান্ড ৩ উইকেটে জিতেছে। যাইহোক, পরের দিন পাকিস্তান কোচ বব উলমারের মৃত্যুতে সেই ঘটনাটি ছাপিয়ে যায়।

জিম্বাবুয়ে বনাম অস্ট্রেলিয়া, ১৯৮৩ বিশ্বকাপ

১৯৮৩ সালে জিম্বাবুয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলেছিল। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া শক্তিশালী। দলে ছিলেন ডেনিস লিলি এবং জেফ থমসনের মতো ক্রিকেটাররা। তখন তরুণ অ্যালান বর্ডারও ছিলেন দলে। ওই ম্যাচে ব্যাট করতে আসা জিম্বাবুয়ে ৯৪ রানে ৫ উইকেট হারায়। এখান থেকে অধিনায়ক ডানকান ফ্লেচারের ব্যাটে ২৩৯ রান করে জিম্বাবুয়ে। অস্ট্রেলিয়া শেষ করেছে ২২৬ রান। উইকেট হাতে থাকা সত্ত্বেও অজিদের ওভার শেষ হয়ে যায়।

কেনিয়া বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ১৯৯৬ বিশ্বকাপ

দক্ষ বোলিংয়ে ক্যারিবিয়ান জায়ান্ট সার্ভিসেসকে হারিয়েছে কেনিয়া। প্রথমে ব্যাট করে কেনিয়া মাত্র ১৬৬ রান করে। এর মধ্যে অতিরিক্ত ৩৭ রান পান তিনি। আগামীকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে তিনি। ব্রায়ান লারার্ডের ইনিংস শেষ হয় মাত্র ৯৩ রানে। বিশ্বকাপে এটাই ক্যারিবিয়ান দলের সর্বনিম্ন ইনিংস।

ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ১৯৮৩ বিশ্বকাপ

বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘটনা ঘটিয়েছিলেন কপিল ডেবরা। বিশ্বকাপের ফাইনালে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছেন তিনি। ভারতের ফাইনালে ওঠা তখনকার ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের কাছে অবিশ্বাস্য ছিল। সেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে কপিলেরা যে বিশ্বকাপ জিতবে তা ভাবাও কঠিন ছিল। সেই অসাধ্য সাধন করলেন কপিলের। ভারত ১৮৩ রান করে। সেই রান তাড়া করতে গিয়ে জয় ভিভ রিচার্ডস কতটা কঠিন হবে ভাবতে পারেননি। কিন্তু ৩৩ রান করে ভিভ আউট হয়ে গেলে খেলার রং বদলে যেতে থাকে। কপিল উল্টো দিকে দৌড়ে ভিভকে আউট করতে ক্যাচ নেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস শেষ হয় ১৪০ রানে।

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

কে বড় সুপারস্টার, সাকিব নাকি হামজা

কে বড় সুপারস্টার, সাকিব নাকি হামজা

নিজস্ব প্রতিবেদক: অনেকে সাকিব আল হাসান এবং হামজা চৌধুরীর মধ্যে তুলনা করার চেষ্টা করছেন। এই ...

তাসকিন-ফিজ আসলেই যাচ্ছেন আইপিএলে ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে কারা

তাসকিন-ফিজ আসলেই যাচ্ছেন আইপিএলে ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে কারা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের 'মিস্টার ডিফেন্ডেবল' এর গল্পটা বলা যাক। ২০০৮ সালের আইপিএল এর প্রথম আসরের ...

ফুটবল

২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে খেলতে হামজার বাংলাদেশে আগমনের সময় চূড়ান্ত

২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে খেলতে হামজার বাংলাদেশে আগমনের সময় চূড়ান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরি ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে আসন্ন ম্যাচের ...

ভারতকে হারাতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবার বাংলাদেশ

ভারতকে হারাতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবার বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আর মাত্র ১০ দিন বাকি। ...