বরাবরের মতো হেরে গেলেন টাইগাররা, দেখুন বিস্তারিত স্কোর

৮ উইকেটের দাপুটে জয় নিউজিল্যান্ডের শরীফুল ইসলামকে লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা। ড্যারিল মিচেল ম্যাচ শেষ করলেন অসাধারণ ভঙ্গিমায়। ৪৩ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে জিতেছে কিউইরা।
২৪৫ রানের সম্বল। এ নিয়ে হয়ত লড়াইয়ের আশা করা যায় শুধু। তবে শেষ পর্যন্ত সেটিও করতে পারেনি বাংলাদেশ।
শুরুতে পেসাররা দারুণ করেছিলেন। উইকেটও পেয়েছিলেন। কিন্তু লক্ষ্যটা এমন, শুরুর ওই সময়টা দেখেশুনে সতর্ক থেকে কাটিয়ে দিতে পেরেছেন উইলিয়ামসন ও কনওয়ে। তাঁদের জুটিই মূলত লড়াই থেকে ছিটকে দেয় বাংলাদেশকে। এরপর মিচেলের ইনিংস নিশ্চিত করেছে দাপুটে জয়।
এ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের এটি তৃতীয় জয়। তিনটিই দাপুটে। ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডসের পর গতবারের রানার্সআপের কাছে পাত্তা পেল না বাংলাদেশও। বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে এ নিয়ে ৬ ম্যাচ খেলে ছয়বারই হারাল নিউজিল্যান্ড। কিউইদের হারানোর অপেক্ষা তাই আরেকটু বাড়ল বাংলাদেশের।
আরেকবার ওপরে তুলেছিলেন মিচেল। অনেকটা ছুটে গিয়ে হাত বাড়ালেও ফাঁক গলে পড়ে গেছে বল। এরপর তিনি মেরেছেন চার। শেষ বলে ফিলিপস যেটি মেরেছেন, ডিপ মিডউইকেটে থাকা ফিল্ডারের চেয়ে দেখা ছাড়া অবশ্য সুযোগ ছিল না কোনো। বাকি ৬ রান।
অবশেষে উঠে গেলেন উইলিয়ামসন। নিশ্চয়ই আঙুলের অস্বস্তিটা বেড়েছে তাঁর। ১০৭ বলে ৭৮ রান করে থামলেন তিনি, ফলে ফেরার ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া হচ্ছে না। তবে চোটের ওই অস্বস্তি বাদ দিলে প্রত্যাবর্তনটা দারুণ হয়েছে তাঁর। নিউজিল্যান্ডের পরের ম্যাচে আগামি ১৮ অক্টোবর, আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
আবার ফিজিও এসেছেন উইলিয়ামসনের কাছে। ধারাভাষ্যে সাইমন ডুল আবারও বললেন, উঠে যেতেই পারেন উইলিয়ামসন। ম্যাচের যা পরিস্থিতি, তাতে তিনি উঠে গেলেও কিছু যায় আসবে না। তবে উইলিয়ামসন ব্যাটিং চালিয়ে যাচ্ছেন।
নাজমুলের থ্রো সরাসরি লাগলে রানআউট হতে পারতেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। সেটি মিস করে গেছে স্টাম্প, কিন্তু সরাসরি গিয়ে লেগেছে বাঁ হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে। ফিজিওর দ্বারস্থ হতে হয়েছে তাঁকে, হাতে লেগেছে ব্যান্ডেজ। তবে গ্লাভস পরে আবার প্রস্তুত তিনি।
প্রথম বলে ছক্কা মেরে শুরু করেছিলেন মিচেল। ৪৩ বলে পূর্ণ করলেন ফিফটি। কনওয়েকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের যদি কোনো আশা থেকেও থাকে, সেটি শেষ করে দিয়েছেন তিনি। তাঁর ফিফটি এসেছে সাকিবকে সুইপ করে মারা ছক্কায়। ১০ ওভার শেষ করেছেন সাকিব। ৫৪ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট। অনুমিতভাবেই উঠে গেছেন তিনি এরপরই।
উইলিয়ামসন-মিচেলের জুটি ছাড়িয়ে গেল কনওয়ে-উইলিয়ামসনের জুটিকে। এ জুটি এগিয়েছে তুলনামূলক বেশ দ্রুতগতিতে। মিচেল শুরু থেকেই প্রায় ১০০ স্ট্রাইক রেট ধরে রেখেছেন। গতি বাড়িয়েছেন উইলিয়ামসনও। শেষ ১৫ ওভারে নিউজিল্যান্ডের দরকার ৭২ রান।
প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে ফিফটি করেছিলেন। পরের ম্যাচে ৩৭। চোটের কারণে দীর্ঘ দিন বাইরে থাকা উইলিয়ামসনের জন্য ব্যাটিং সমস্যা ছিল না। সমস্যা ছিল ফিল্ডিং আর পুরো ম্যাচ ফিটনেস। বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে তাই খেলেননি। আজ ফিরেই নেমেছেন তিন নম্বরে, সেটিও দ্রুতই।
গত জানুয়ারির পর প্রথমবারের মতো ওয়ানডে খেলতে নামা উইলিয়ামসন পেলেন ফিফটির দেখা। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ক্যারিয়ারের ৪৩তম ফিফটি পেয়েছেন শরীফুলের বলে সিঙ্গেল নিয়ে। চেন্নাইয়ের দর্শকরা তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন করতালিতে।
এবার লং অনে লাফিয়ে উঠে ক্যাচ নিয়েছিলেন লিটন। কিন্তু ভারসাম্য রাখতে পারেননি। বাউন্ডারি পেরিয়ে যাওয়ার আগে অবশ্য বল রাখতে সক্ষম হয়েছেন এপাশেই। বেশ কয়েকবার রিপ্লে দেখার পর টেলিভিশন আম্পায়ার নিশ্চিত করেছেন, ক্যাচ নিতে না পারলেও ৫ রান বাঁচিয়েছেন লিটন।
প্রথমে কেইন উইলিয়ামসন সামনে গিয়ে মিড অনের ওপর দিয়ে মারেন ছক্কা। পরের ওভারে ওই অঞ্চল দিয়ে চার মেরেছেন ড্যারিল মিচেল। বাংলাদেশের প্রধান স্পিনারের ওপর চড়াও হওয়ার আভাস দিয়েছেন দুই কিউই ব্যাটসম্যান। দুজনের জুটিটা এগোচ্ছে বড় হওয়ার পথে। লড়াইয়ে থাকতে গেলে যেটি দ্রুতই ভাঙতে হবে বাংলাদেশকে।
মোস্তাফিজকে নতুন বলে আনা হয়েছে আজও। তিনি এসেছেন তৃতীয় বোলার হিসেবে। আফগানিস্তান আগেই গুটিয়ে যাওয়াতে ৬ ওভারের বেশি করতে হয়নি তাসকিনের। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ ওভারের পর তাঁকে আর আনেননি অধিনায়ক। আজ প্রথম ওভারটা ভালো শুরু করলেও এরপর থেকে ঠিক লাইন-লেংথে সেভাবে হুমকি করতে পারছেন না তাসকিন। প্রথম ওভারে ১ রান দিয়েছিলেন, পরের ৩ ওভারে দিয়েছেন ২২ রান।
বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে সাকিব বলেছিলেন, চোটের কারণে ছিটকে পড়া পেসার ইবাদত হোসেনকেই শুধু মিস করবেন তিনি। তবে ছন্দে থাকা তাসকিনকেও হয়ত এখন পর্যন্ত মিস করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
প্রথম বলে লং অফে তুলে মেরেছিলেন। মাহমুদউল্লাহ সেটির নাগাল পেয়েছেন, কিন্তু ভার সামলাতে না পেরে পড়ে যান। শেষ মুহূর্তে হাত থেকে ছুড়ে মারতে চেয়েছিলেন বল, তবে তার আগেই সীমানা পেরিয়ে গেছেন তিনি।
পরের বলে সিঙ্গেল চুরি করতে গিয়ে তৈরি হয়েছিল রানআউটের সম্ভাবনা। সরাসরি থ্রোয়ে স্টাম্প ভাঙলেও নিরাপদেই পৌঁছে গেছেন মিচেল।
সেই সাকিবেই ব্রেকথ্রু! কনওয়ের রিভার্স সুইপের চেষ্টা সফল হয়নি। রিভিউ নিয়েও বাঁচেননি এলবিডব্লিউ থেকে। কনওয়েকে বাঁচাতে পারত ইমপ্যাক্ট, কিন্তু বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে তিনটি লাল। ফিফটি থেকে ৫ রান দূরে থাকতে আউট কনওয়ে, বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই স্বস্তি পাবে ৮০ রানের এ জুটি ভেঙে। ২১তম ওভারের প্রথম বলে তারা পেয়েছে দ্বিতীয় উইকেটের দেখা।
সপ্তম ওভারে এভাবে বেঁচে গিয়েছিলেন ডেভন কনওয়ে। ১৯তম ওভারে বাঁচলেন উইলিয়ামসন। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ফ্লিক করেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ককে, শর্ট মিডউইকেটে বাঁ দিকে ডাইভ দিয়ে হাত লাগাতে পেরেছেন শুধু তাসকিন। জুটি তাই ভাঙা হয়নি বাংলাদেশের।
১৫তম ওভারে অবশেষে দেখা মিলল স্পিনারের। নিজেই এসেছেন সাকিব। ব্যাটিংয়ের সময় টান পেয়েছিলেন, বোলিংয়েও খুব একটা স্বস্তিতে আছেন বলে মনে হয়নি বাংলাদেশ অধিনায়ককে।
অন্য প্রান্তে এরপর এসেছেন মিরাজ। উইলিয়ামসন ও কনওয়ের জুটিতে ৫০ পেরিয়ে গেছে। রবীন্দ্রকে শুরুতেই হারানোর ধাক্কা অনেকটাই সামলে এনেছেন দুজন।
মনে করিয়ে দেওয়া যেতে পারে, নবম ওভারে প্রথম স্পিনার এনেছিল নিউজিল্যান্ড। এরপর ৪৫তম ওভার পর্যন্ত এক প্রান্ত থেকে টানা করে গেছেন স্পিনাররা। মিচেল স্যান্টনার (১০), গ্লেন ফিলিপস ও রাচিন রবীন্দ্র মিলে ১৯ ওভারে দিয়েছিলেন ৮১ রান, নিয়েছিলেন ২ উইকেট। তবে স্যান্টনারদের বোলিং এক প্রান্ত থেকে চাপ ধরে রেখেছিল।
মাঝে ২ ওভার বাউন্ডারি ছিল না, আবারও সে খরা কাটল কনওয়ের শটে। তাসকিনকে ফ্লিক করেছেন। ১৩তম ওভারে ৫০ পেরিয়েছে কিউইরা। শেষ বলে থার্ডম্যান দিয়ে আরেকটি মেরেছেন উইলিয়ামসন।
এ ওভারের পঞ্চম বলে রিভিউও হারিয়েছে বাংলাদেশ। কনওয়ের বিপক্ষে কট-বিহাইন্ডের সিদ্ধান্তে। আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা অবশ্য সেটিতে ওয়াইডই দিয়েছিলেন। দেখে মনে হয়েছে, উইকেটকিপার মুশফিক আগ্রহী ছিলেন না, তবে তাসকিন ও মিরাজের উৎসাসে রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত নেন সাকিব।
অন্য প্রান্তে মোস্তাফিজের জায়গায় তাসকিন এসে প্রথম বলটি অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে করলেও ১ রানের বেশি দেননি।
তবে আগের ওভারে দুটি চার দিলেও শরীফুলকে দেওয়া হয়েছে টানা পঞ্চম। সেটি পরিণত হয়েছে খরুচে এক সিদ্ধান্তে। এবার উইলিয়ামসন মেরেছেন দুটি চার, দুটিই অফ স্টাম্পের বাইরে পেয়ে কাভার দিয়ে।
প্রথম পাওয়ারপ্লে শেষ। পরের ৩০ ওভারে বৃত্তের বাইরে থাকতে পারবেন ৪ জন, ফলে সিঙ্গেলের সুযোগ স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে নিউজিল্যান্ডের।
মাঝে ৪ ওভারে আসেনি কোনো বাউন্ডারি। সে খরা কাটালেন কনওয়ে। সেটিও দুটি চার মেরে। শরীফুল দিয়েছেন ৯ রান, ৪ ওভারে ১৪ রান। আরেকটি ওভার করানো হবে তাঁকে দিয়ে নাকি আসবেন নতুন কোনো বোলার?
বাঁদিকে ডাইভ দিয়ে নাগালও পেয়েছিলেন মিরাজ, কিন্তু রাখতে পারেননি। পারলে সেটি হতো দুর্দান্ত এক ক্যাচ, বাংলাদেশ পেত ডেভন কনওয়ের উইকেট। মোস্তাফিজ অবশ্য ধরে রেখেছেন আঁটসাঁট লাইন ও লেংথ।
কেইন উইলিয়ামসনের প্যাডে দুবার আঘাত করেছেন শরীফুল। প্রথমটিতে বেশ জোরাল আবেদনই হয়েছিল, যদিও রিভিউ নেয়নি বাংলাদেশ। সেটি যেত স্টাম্পের ওপর দিয়ে। পরেরটিও তাই। এবার অবশ্য আবেদনই করেনি বাংলাদেশ। তবে শরীফুল করেছেন দারুণ এক ওভার।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- তিনজন ধ/র্ষণ করলো আছিয়ার বোনের ঘুম ভাঙেনি কেন
- মাগুরার সেই শিশুর ডিএনএ রিপোর্ট থেকে বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি: সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন হার
- যশোরে বিমান বিধ্বস্ত
- আছিয়ার মৃত্যুর পর চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন তার মা (ভিডিওসহ)
- আছিয়ার ধ/র্ষণ ও হত্যা মামলার এজাহারে আসামীদের ভয়াবহ লোমহর্ষক বর্ণনা
- মাগুরায় ৮ বছরের শিশু ধ"র্ষণ হইছে যে ঘরে (ভিডিওসহ)
- সেই রাতে শাশুড়ি আমার খাবারে ঘুমের ওষুধ দিছিল; আছিয়ার বোন
- হাসিনার বাংলাদেশে ফেরা নিয়ে ভারতের সেনাপ্রধানের বিস্ফোরণ মন্তব্য; সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- আছিয়ার ধ/র্ষক দুলাভাই কে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন তার শ্রেণী শিক্ষক মাহফুজ
- শিশু আছিয়ার ধ/র্ষকের প্রধান আসামী হিটু শেখকে নিয়ে উঠে এলো লোমহর্ষক তথ্য
- আছিয়া নিজে বলে গেছে ধ/র্ষণ করেছে কে (ভিডিওসহ)
- সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বিশাল বড় সুখবর
- হাসিনার দেশে ফিরে আসা নিয়ে ট্রাম্পের পোস্ট: সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- টানা দুইদিন বজ্রসহ শীলাবৃষ্টির পূর্বাভাস