| ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১

দাড়ি নিয়ে অনেক ভয়ে ছিলেন ইংল্যান্ডের এই ব্যাটার

খেলাধুলা ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৩ অক্টোবর ১২ ১৬:৫৫:০৫
দাড়ি নিয়ে অনেক ভয়ে ছিলেন ইংল্যান্ডের এই ব্যাটার

ইংল্যান্ডের মঈন আলী এমনই একজন ক্রিকেটার যিনি খেলার মাঠে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন। তিনি জন্মসূত্রে পাকিস্তানি ও ইংরেজ বংশোদ্ভূত। এ ছাড়া মইনের শ্বশুর বাড়ি বাংলাদেশের সিলেটে। তিনি বিশ্ব ক্রিকেটে ইসলামিক অবস্থানের জন্য পরিচিত। তবে একটা সময় ছিল যখন তাকে দাড়ি রাখার চিন্তা করতে হতো। একটি মিডিয়া আউটলেটের মতে, মঈন তার আশেপাশের লোকেরা এমনকি পরিবারের সদস্যরাও তাকে উগ্রপন্থী বিবেচনা করতে পারে এই ভয়ে দাড়ি বাড়ানো শুরু করেছিলেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই স্পোর্টসকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মঈন আলী। যেখানে তিনি বলেছিলেন যে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ওপেনার হাশিম আমলাকে দেখে ক্যারিয়ারের শুরুতে দাড়ি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। যদিও পাকিস্তানের প্রতি তার অনুভূতি ভিন্ন, মঈন প্রথমে এবং সর্বাগ্রে নিজেকে একজন ইংরেজ হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন।

নিজের দাড়ির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'মুহাম্মদ আলী আমার জন্য একটি বড় অনুপ্রেরণা ছিলেন। যেভাবে সে বড় হয়েছে এবং মুসলিম ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার হাশিম আমলারও বড় দাড়ি ছিল। সে রাখতে পারলে আমি পারব না কেন? এটাই আমি করতে চেয়েছিলাম (দাড়ি বাড়াতে), কিন্তু আমি একটু ভয় পেয়েছিলাম। আমি তখন ছোট ছিলাম। আমি চাইনি মানুষ, এমনকি আমার পরিবারও আমাকে একজন ধর্মান্ধ হিসেবে ভাবুক। তখন মানুষ বলত-মুসলিম মানে মৌলবাদী।

মঈন ৯ বছর ধরে ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করছেন এবং নিজেকে একজন তারকা হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অন্যদিকে, মায়ের দিক থেকে পাকিস্তানের প্রতি তার আলাদা আকর্ষণ রয়েছে। সে কেমন ইংরেজি হয়েছে এমন প্রশ্নে মঈনের উত্তর, 'এটা ভালো প্রশ্ন। আমি সবসময় ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে চেয়েছিলাম।

এরপর পাকিস্তানের হয়ে খেলার বিষয়টিও উঠে আসে তার ভাষায়, ‘ইংল্যান্ডের প্রতি বিশেষ টান অনুভব করি।’ মায়ের কারণে পাকিস্তানের প্রতিও একই অনুভূতি। আমি বলব না যে আমি ছোটবেলায় পাকিস্তানকে সমর্থন করেছি। কিন্তু পাকিস্তান দলকে নজরে রাখতে হয়েছে, কারণ পরিবার তাই করেছে। তবে আমি গভীরভাবে জানতাম যে আমি ইংল্যান্ডকে সমর্থন করেছি এবং আমি সবসময় চাই দল ভালো করুক। ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার ইচ্ছা আছে কিনা জানি না।

৩৬বছর বয়সী মঈন২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল। তার দাদি বেটি বক্স ছিলেন একজন শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ। মঈন বলেন, বেটি কক্সের কারণে তাকে মিশ্র জাতি বলে মনে করা হতো। মঈন জাতীয় দলের একজন নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডার। কিছুদিন আগে টেস্ট ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়ার পর তাকে অ্যাশেজ সিরিজে ফিরিয়ে আনে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। তিনি ২০১৯ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের শিরোপা জয়ী অভিযানেরও একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন।

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

কে বড় সুপারস্টার, সাকিব নাকি হামজা

কে বড় সুপারস্টার, সাকিব নাকি হামজা

নিজস্ব প্রতিবেদক: অনেকে সাকিব আল হাসান এবং হামজা চৌধুরীর মধ্যে তুলনা করার চেষ্টা করছেন। এই ...

তাসকিন-ফিজ আসলেই যাচ্ছেন আইপিএলে ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে কারা

তাসকিন-ফিজ আসলেই যাচ্ছেন আইপিএলে ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে কারা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের 'মিস্টার ডিফেন্ডেবল' এর গল্পটা বলা যাক। ২০০৮ সালের আইপিএল এর প্রথম আসরের ...

ফুটবল

২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে খেলতে হামজার বাংলাদেশে আগমনের সময় চূড়ান্ত

২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে খেলতে হামজার বাংলাদেশে আগমনের সময় চূড়ান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরি ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে আসন্ন ম্যাচের ...

বাবা দোষ করলে বিচার চান হিটু শেখের মেয়ে 'আমার দাদি কেন গাছ তলায়

বাবা দোষ করলে বিচার চান হিটু শেখের মেয়ে 'আমার দাদি কেন গাছ তলায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাবা যদি সত্যিই অন্যায় করে থাকে, তবে যেন তার বিচার হয়। তবে, সেটা ...