প্রবাসে থেকেও যেভাবে করতে পারবেন সর্বজনীন পেনশনের জন্য নিবন্ধন

বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) চালু করছে সরকার। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য দেশের নাগরিকদের পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইতোমধ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের জন্য একটি ওয়েব সাইট 'ইউপেনশন' নামে চালু করা হয়েছে। আগ্রহীদের www.upension.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। 'ইউপেনশন' ওয়েবসাইটে নিবন্ধনের সময় কয়েকটি ধাপ মেনে চলতে হবে।সর্বজনীন পেনশনের জন্য প্রথমেই 'ইউপেনশন' ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে। এরপর 'পেনশনার রেজিস্ট্রেশন' অপশনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে একটি প্রত্যয়ন পাতা আসবে। সেখানে লেখা থাকবে 'এই মর্মে প্রত্যয়ন করছি যে আমি সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নই, সর্বজনীন পেনশন স্কিম বহির্ভূত কোন ধরনের সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হতে পেনশন সুবিধা গ্রহণ করি না, আমি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় কোন ধরনের ভাতা গ্রহণ করি না।'
তবে, প্রত্যয়ন অংশে অবশ্যই সাবধানে ক্লিক করতে হবে। কারণ সেখানে স্পষ্টভাবে লেখা আছে 'ভুল তথ্য প্রদান করলে আবেদন বাতিল হবে এবং জমাকৃত অর্থ ফেরত যোগ্য হবে না।'
ওই প্রত্যয়ন পাতার নিচে 'আমি সম্মত আছি' নামে একটি অপশন রাখা হয়েছে, সেখানে ক্লিক করলেই এই ধাপ শেষ হবে।
এবার আরেকটি ওয়েবপেজ আসবে, যার নাম 'রেজিস্ট্রেশন করুন'। এখানে আবেদনকারীকে প্রথমে 'প্যাকেজ/স্কিম' নির্বাচন করতে হবে। এরপর সেখানে পর্যায়ক্রমে ১০, ১৩ বা ১৭ সংখ্যার এনআইডি নম্বর, জন্মতারিখ, মোবাইল নম্বর, ই–মেইলের তথ্য দেওয়ার অপশন থাকবে। এই পেজের শেষ অংশ থাকবে 'ক্যাপচা প্রদান করুন'।সঠিকভাবে ক্যাপচা দেওয়ার পরে আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর ও ই–মেইলে একটি ওটিপি আসবে। ওই ওটিপি ফরমে ব্যবহার করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।
এরপর যে পেজ আসবে সেখানে ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হবে। আগের পেজে দেওয়া এনআইডি অনুযায়ী এই পেজে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবেদনকারীর এনআইডি নম্বর, ছবি, বাংলা ও ইংরেজি নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, বর্তমান ও স্থায়ী দেখাবে। এখানে আবেদনকারীর বার্ষিক আয়ের পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে এবং নিজের পেশা, বিভাগ, জেলা ও উপজেলার নাম সিলেক্ট করতে হবে।
এই ধাপ শেষে 'স্কিম তথ্য' নামে আরেকটি পেজ আসবে। এখানে মাসিক চাঁদার পরিমাণ ও চাঁদা পরিশোধের সময় বেছে নিতে হবে। এখানে চাঁদা পরিশোধের জন্য মাসিক, ত্রৈমাসিক ও বার্ষিক তিনটি অপশন থাকবে।
এবার দিতে হবে ব্যাংক তথ্য। এই পেজে আবেদনকারীকে ব্যাংক হিসাবের নাম ও নম্বর, হিসাবের ধরন (সঞ্চয়ী অথবা চলতি), ব্যাংকের নাম ও শাখার নাম উল্লেখ করে দিতে হবে।এরপরের পেজে নমিনির তথ্য দিতে হবে। সেখানে নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও জন্মতারিখ উল্লেখ করতে হবে। চাইলে একাধিক নমিনি যোগ করা যাবে। এই পেজে নমিনির মোবাইল নম্বর, নমিনির সঙ্গে সম্পর্ক ইত্যাদি উল্লেখ করে দিতে হবে।
এবার আসবে নিবন্ধনের শেষ ধাপ, যে পেজটির নাম 'সম্পূর্ণ ফরম'। এখানে আবেদনকারীকে ব্যক্তিগত তথ্য, স্কিম, ব্যাংক তথ্য ও নমিনি তথ্য দেখানো হবে। কোনো ভুল চোখে পড়লে এই পেজে তা সংশোধন করা যাবে। আর ভুল না থাকলে সম্মতি দিলে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হবে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশের বিশাল কর্মসূচি নিয়ে যা লিখেছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- ড. ইউনূসকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সেনাপ্রধান
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- এক আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী বাবা-ছেলের লড়াই
- বাংলাদেশের প্রতিবাদ দেখে ই/স/রা/ই/ল জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় (ভিডিওসহ)
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- বাংলাদেশের ‘পাসপোর্ট’ ইস্যুতে কড়া জবাব দিল ইসরাইলি গণমাধ্যমে
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- বাংলাদেশকে ১০ বছর মেয়াদি গোল্ডেন ভিসা দেবে যে দেশ
- কিভাবে বুঝবেন সন্তান পর্নোগ্ৰাফিতে আসক্ত
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- ড. ইউনূসকে নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন হিলারি ক্লিনটন