ব্রেকিং নিউজ: ইচ্ছে করেই ইনজুরিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে দাবি তামিমের!

আলমের খান: দেশের ক্রিকেটে কিংবদন্তি তুল্য ব্যক্তিত্ব তার। দলে সাকিব আল হাসানের মতো ক্রিকেটার থাকা সত্ত্বেও দলের মূল ব্যাটিং স্তম্ভ তিনি। নিজের ফর্মের তুঙ্গে তাকে কোহলির মতো রান মেশিন এবং আফ্রিদির মতো বুমবুম তকমা দেওয়া হয়। নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন কথা বলা হচ্ছে দেশের বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের ব্যাপারে। নতুন ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলাতে বিশ্বাসী তামিম।
দলের অধিনায়কত্ব যখন গ্রহণ করেন তখন নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিল বাংলার শিবির। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে হারিয়ে নেতৃত্বের অভাবে ধুকতে থাকে দলটি। তামিম নেতৃত্বভার গ্রহণ করেন এবং মাশরাফির আদর্শ উত্তরসূরী রূপেই প্রস্ফুটিত হন। হয়তো মাশরাফির মতো দল নির্বাচন কিংবা একাদশ নির্বাচনে রাখতে পারেন না তেমন কোন প্রভাব। অনেকটুকুই নির্বাচকদের হাতের পুতুল রূপে চলতে হয় এই কান্ডারীর। তবে খেলোয়ারদের কাছে নেতা হিসেবে তামিমের চেয়ে আদর্শ আর কেউ না।
আদর্শ বড় ভাইয়ের মতোই ক্রিকেটারদের দুঃসময় তাদের আগলে রাখে। আবার সুসময় সকল কৃতিত্ব জুনিয়রদের মধ্যে ভাগাভাগি করে দেন। বছরখানেক আগেও যেই তামিমের প্রশংসা পঞ্চমুখ ছিল দেশের ক্রিকেট। তারাই এখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তার দুঃসময়ে। অবশ্য এই ক্ষেত্রে তামিমেরও কিছু দায় রয়েছে। মূলত বিশ্বকাপ যত ঘনিয়ে আসছে তামিমও যেন ততটাই নিজের খোলসে বন্দী হয়ে পড়ছে।
বিশ্বকাপের চাপ নেওয়াতে খান সাহেব যে খুব একটা পটু নন তা আমাদের সবারই জানা রয়েছে। তার বিশ্বকাপ রেকর্ড একেবারে আশানুরূপ নয়। তবুও যেহেতু তাকে অধিনায়ক নির্বাচন করা হয়েছে তাই তার উপর পূর্ণ আস্থা রাখাটাই শ্রেয়। তবে নির্বাচক মন্ডলী কিংবা টিম ম্যানেজমেন্ট ঠিক এই জায়গাতেই করেছে বিশ্বাসঘাতকতা। তামিম-ম্যানেজমেন্টের মধ্যকার ঠিক কি সমস্যা হয়েছে তা পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি।
তবে এতোটুকু পুরস্কার তাদের মধ্যে সম্পর্ক একেবারেই স্বাভাবিক নয়। ম্যানেজমেন্টের সাথে বনিবনা না হওয়ায় তো শেষ পর্যন্ত অবসরের পথেই হেঁটে ছিলেন তামিম। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শেষ পর্যন্ত নিজের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়াতে হয় এই পাণ্ডবের। বোর্ডের সাথেও যে তামিমের বিশ্বাসের বিশাল একটি ফাটল ধরেছে এই ব্যাপারেও নেই কোন সন্দেহ। কেননা অবসর সংক্রান্ত ব্যাপারে বোর্ড প্রধানকে কিছুই জানানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি তিনি। এমনকি অবসর নেওয়ার পরও বোর্ড প্রধানের ফোন ধরেননি তামিম।
বড় ভাই নাফিস ইকবালকে মেসেজ করেও কোন উত্তর পাননি বোর্ড প্রধান। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে বোর্ড এবং খান পরিবারের মধ্যকার বিশ্বাসের জায়গা আর নিশ্চিতভাবে আগের জায়গায় নেই। তামিম বর্তমানে নিজের লন্ডন এবং আরব আমিরাত সফরে রয়েছে। সেখানে নিজের কোমর ব্যথা সংক্রান্ত সমস্যার পরিক্রান খুঁজতে ব্যস্ত তিনি। তবে সফরে যাওয়ার আগে দুটি নিউজ পোর্টালে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বাংলার অধিনায়ন।
ম্যানেজমেন্টের সাথে তার দ্বন্দ্বরাটি কি নিয়ে হয়েছে কিংবা দল নির্বাচন নিয়ে কোন সমস্যা হয়েছে কিনা এই ব্যাপারে মুখ খুলেননি তামিম। তিনি বলেছেন সমস্যা অবশ্যই ছিল এবং সমস্যার পরিধিটাও ছিল বিস্তৃত। তা না হলে অবসরের মত জটিল সিদ্ধান্তে কখনোই আসতে পারতেন না তিনি। তবে সমস্যা নিয়ে কথা বলাটা এখন দলের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে। ফলশ্রুতিতে তিনি চুপ থাকাকেই শ্রেয় মনে করছে।
তবে ইশারা ইঙ্গিতে তামিম বেশ গুরুতর একটি অভিযোগ এনেছেন ম্যানেজমেন্ট এর উপর। তিনি বলেন, আমার পুরনো কোমরের ইনজুরি আবারো ফিরে এসেছে। জিম সেশনে একটি এক্সারসাইজ করার সময় আবারো ব্যথা শুরু হয়। ফলে আবারো ইনজুরিটি হানা দেয়। এখন প্রশ্ন আসতেই পারে যে এক্সারসাইজ করার ফলে ইনজুরিটি হয়েছে সেটি আমাকে কেন করানো হয়েছে। যে এক্সারসাইজে ইনজুরি ট্রিগার হওয়ার সম্ভাবনা ছিলনা বা কম ছিল সেটি কেন করানো হয়নি। এই অল্প কথাতেই অনেক কিছু বলে ফেলেছেন তামিম।
তিনি যে তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে ইনজুরিতে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন তা নিশ্চয়ই পরিষ্কার করে বলার প্রয়োজন নেই। এবং এই অভিযোগকা আনা হয়েছে জিম ইন্সপেক্টর তথা টিম ম্যানেজমেন্ট এর উপরেই। অর্থাৎ অধিনায়ক হিসেবে হয়তো হাতুরুর ম্যানেজমেন্ট তামিমকে আর চাচ্ছিলেন না। ফলে তামিমকে ইচ্ছা করে ইনজুরিতে নিক্ষেপ করে তার স্থানটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তারা। এই ধরনের কিছুই হয়তো ইঙ্গিতে দেশবাসীকে জানিয়ে দিয়েছেন তামিম। যদি সত্যি সত্যি দলের ভিতরের অবস্থা
এরকম হয়ে থাকে, তাহলে নিশ্চিতভাবেই সামনের ম্যাচগুলোতে টাইগারদের নিয়ে প্রত্যাশা করাটা হবে অযৌক্তিক। কারণ দলে যত প্রতিভাবান ক্রিকেটারই থাকুক না কেন দলের ভিতরকার আবহাওয়া যদি এই দূষিত থাকে, তাহলে কখনোই দলে একতা বিরাজ করবে না। আর একতার অভাব একটি প্রতিভাবান দলকেও অচিরেই ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। যা একসময়কার পরাক্রমশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ করলেই বোঝা যায়। আশা করি তামিমের এই ধারণাটি হয়তো ভুল। এই আশা করা ছাড়া খুব বেশি কিছু হয়তো আমাদের করার নেই।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- তিনজন ধ/র্ষণ করলো আছিয়ার বোনের ঘুম ভাঙেনি কেন
- সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি: সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন হার
- যশোরে বিমান বিধ্বস্ত
- সেই রাতে শাশুড়ি আমার খাবারে ঘুমের ওষুধ দিছিল; আছিয়ার বোন
- হাসিনার বাংলাদেশে ফেরা নিয়ে ভারতের সেনাপ্রধানের বিস্ফোরণ মন্তব্য; সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- আছিয়ার ধ/র্ষক দুলাভাই কে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন তার শ্রেণী শিক্ষক মাহফুজ
- শিশু আছিয়ার ধ/র্ষকের প্রধান আসামী হিটু শেখকে নিয়ে উঠে এলো লোমহর্ষক তথ্য
- হাসিনার দেশে ফিরে আসা নিয়ে ট্রাম্পের পোস্ট: সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- ১৪ জন কারা হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করে ফেরাতে চাইছে বাংলাদেশে
- জামিন না পেয়ে আদালতে যা করলেন ডা. দীপু মনি
- ব্রেকিং নিউজ; বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়ার ঘোষণা
- আছিয়ার ধ/র্ষণ ও হত্যা মামলার এজাহারে ভয়াবহ লোমহর্ষক বর্ণনা
- সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদের ছুটি বাড়ছে আরও ২ দিন
- আছিয়া ধ/র্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামী হিটু শেখের আদালতে জবানবন্দি
- বাবা দোষ করলে বিচার চান হিটু শেখের মেয়ে 'আমার দাদি কেন গাছ তলায়