| ঢাকা, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১

টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি ওয়ানডে বিশ্বকাপেও বদল আসতে পারে আফিফের পজিশনে

খেলাধুলা ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৩ জুলাই ১৭ ২২:৫০:১১
টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি ওয়ানডে বিশ্বকাপেও বদল আসতে পারে আফিফের পজিশনে

আলমের খান: ধুমকেতুর মতোই দেশের ক্রিকেটে আবির্ভাব হয়েছিল আফিফের। যেন নতুন কেউ এসেছে নতুনত্বের সূচনা করতে। শান্ত চোখে আগ্রাসী মনোভাবের ব্যাটিং প্রদর্শনী ছিল দেশবাসীর জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতা। সেই নতুন অভিজ্ঞতা দেশবাসী গ্রহণ করল মুগ্ধ নয়নে। ব্যাটিং ধরনের হিসেব করা হলে আফিফ এই দেশে অদ্বিতীয়। ব্যাকরণধর্মী টেকনিকের পাশাপাশি তার ব্যাটিংয়ে রয়েছে ভিন্ন ধরনের শর্ট এর সমারোহ। ব্যাট হাতে যখন মাঠে খেলেন তখন ঠিক ব্যাটসম্যান নয় তাকে মনে হয় শিল্পী।

সেই শিল্পীর রং তুলির খেলা মুগ্ধ চোখেই দেখে যেতে মন চায়। তবে যে কোন বাঙালি তরুণের মতোই তার প্রধান সমস্যা অধারাবাহিকতা। যখন পারফর্ম করেন এই তরুণ কান্ডারী, তখন মনে হয় তার চেয়ে ভরসা করার মতো ব্যাটসম্যান আর কেউ নেই। আর যখন ব্যর্থতা থাকে বারংবার কলুষিত করে তখন মনে হয় এই খামখেয়ালী ক্রিকেটারের উপর ভরসা করা সম্ভব নয়। গেম সেন্স থেকে শুরু করে টেম্পারমেন্ট সবকিছুই যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে আফিফের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪৯ রানে ৬ উইকেট পতনের পরও, মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে সেই দুঃসাহসিক জুটি দেশের ক্রিকেট পাতায় পেয়েছে অমরত্ব।

এছাড়াও পরাক্রমশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চাপের মুহুর্তে তার দুরন্ত শর্টগুলো, দেশের ক্রিকেট ভক্তদের চোখের সামনে ভেসে উঠবে বারংবার। এত শৈলী যে ক্রিকেটারের সেই ক্রিকেটারই কিনা নিজের খারাপ সময় হয়ে যান বড্ড সাদামাটা। ফলে এক সময়ের অটো চয়েস ক্রিকেটারটি রূপান্তরিত হয়েছে বিকল্পে। লম্বা সময় পর আবারো টি-টোয়েন্টি দলের সুযোগ কড়া নেড়েছে আফিফের দুয়ারে।

এই প্রতিবেদন লেখা কালীন বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচে বৃষ্টি দিয়েছে হানা। টি-টোয়েন্টিতে এখনো বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হলেও ওয়ানডেতে কিন্তু একপ্রকার বাধ্য হয়েই আফিফকে খেলাতে হচ্ছে ম্যানেজমেন্টের। বিশ্বকাপ পূর্ব সিরিজে আফিফকে যতই বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হোক না কেন, এই কথা মোটামুটি সবারই জানা মূল বিশ্বকাপে আফিফের প্রয়োজন হবে টাইগারদের।

তবে প্রয়োজন হলেও সেই প্রয়োজনের সমাধান কি আফিফের কাছে আছে কিনা এটিই মূল প্রশ্ন। মূলত আফিফ বেশ আগেই টিম ম্যানেজমেন্টকে জানিয়ে দিয়েছে ৭ নম্বর পজিশনে ঠিক সাবলীল নন তিনি। অনূর্ধ্ব ১৯ পর্যায় থেকে শুরু করে ক্লাব ক্রিকেট সব জায়গাতেই তিনি ব্যাটিং করেছেন মিডল অর্ডারে। তাই জাতীয় দলেও মিডল অর্ডারে ব্যাট করতেই তিনি বোধ করবেন স্বাচ্ছন্দ।

তবে টাইগার শিবিরের বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে আফিফের এই চাওয়া পূরণ করা বেশ দুরূহ। মিডল অর্ডারে নাজমুল হোসেন শান্ত, তৌহিদ হৃদয় এবং সাকিব আল হাসানের মতো জমে যাওয়া ক্রিকেটাররা বিরাজ করছে। ফলে এত সহজে কাউকে পরিবর্তন করে আফিফকে সেই জায়গায় খেলানোটা ঝুঁকিপূর্ণ। এমন তো নয় যে মিডিল অডারে খেললেই আফিফ ভালো করবে এর নিশ্চয়তা আছে।

এছাড়াও মিডল অর্ডারে খেলা তিনটি ব্যাটসম্যানই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মোটামুটি ভালই করছে। ফলে বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে অন্য কোন ক্রিকেটারের জায়গা পরিবর্তন করা হলে তা সেই ক্রিকেটারটির প্রতি অন্যায়ের সমান। এছাড়াও ফিনিশিং পজিশনে আফিফের মতো কারো প্রয়োজনীয়তাটুকুই সবচেয়ে বেশি। সেই ক্ষেত্রে এই জায়গায় মানিয়ে নিতে হবে এই যুবার। অবশ্য বাংলাদেশের হিসেবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ এখনও অনেকটাই দূরে। অন্যান্য দলগুলো হয়তো বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে কোন ধরনের রদলবদলে বিশ্বাসী নয়।

তবে অন্যান্য দলগুলোর চেয়ে তো সবসময় খানিকটা ব্যতিক্রমে মনোভাব পোষণ করে টাইগাররা। তাই বিশ্বকাপের হয়তো একমাস আগেও রদল বদল করা হতে পারে ব্যাটিং অর্ডারে। ফলে আফিফফের ভাগ্য সহায়ক হলে হয়তো পছন্দের পজিশনটা তার ঝুলিতে এসে পড়তেও পারে। ওয়ানডে দলে নিজের পছন্দের পজিশনটার জন্য অনেকটাই ভাগ্যের উপর নির্ভরশীল আফিফ। তবে টি-টোয়েন্টির প্রেক্ষাপট খানিকটা ভিন্ন। বর্তমান বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে যোগ্য ওপেনারের বড্ড অভাব।

তামিম ইকবালের অবসরের পর থেকেই ওপেনার নিয়ে মহাসংকটে পড়েছিল নির্বাচক মন্ডলী তথা ম্যানেজমেন্ট। দীর্ঘ দেড় বছর পার হওয়ার পরও সেই মহাসংকট থেকে পুরোপুরি উতরাতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে এখন সেই সমস্যার একটি সমাধানের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। আফগানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির দলে রাখা হয়নি রনি তালুকদারকে। হয়তো সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ছিল তালুকদারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।

সে যাই হোক, রনির জায়গায় ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে যদি শান্তকে ওপেনিং এ নামানো হয়, তাহলে ফর্মে থাকা এই ক্রিকেটার হয়তো সামলে নিবে এই গুরুভারটি। লিটন এবং শান্তর মতো ফর্মের তুঙ্গে থাকা ক্রিকেটারদেরই হয়তো ওপেনিং এ খেলানোটা হবে আদর্শ সিদ্ধান্ত। যদি তা করা হয় তাহলে নিশ্চিতভাবে মিডল অডারে ফাঁকা থাকবে একটি স্থান। যেখানে অনায়াসেই উপনীত হতে পারেন আফিফ হোসেন।

আর যদি তা না করা হয় তাহলে আফিফই হয়তো হতে পারেন লিটনের যোগ্য সঙ্গী। বিপিএলে এর আগেও এই দুজনকে একসাথে ওপেনিংয়ে জুটি বাঁধতে দেখা গিয়েছে। এই দুইজন কতটা ভালো করেছে তা নিশ্চয়ই বলার প্রয়োজন নেই।

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেলেন সাকিব আল হাসান

নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেলেন সাকিব আল হাসান

নিজস্ব প্রতিবেদক: "একবার না পারিলে দেখো, শতবার হার না মানা" — এই মানসিকতাতেই তৃতীয়বারের চেষ্টায় ...

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬ নিশ্চিত ১২ দল

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬ নিশ্চিত ১২ দল

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বের সবচেয়ে জমজমাট ক্রিকেট আসর, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২৬ সালে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই ...

ফুটবল

হামজা চৌধুরী বাংলাদেশ দলে কত টাকা বেতন পাবেন

হামজা চৌধুরী বাংলাদেশ দলে কত টাকা বেতন পাবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: লেস্টার সিটি থেকে ধারে শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী। শীতকালীন ...

কলম্বিয়ার বিপক্ষে হারতে হারতে বেঁচে গেল ব্রাজিল

কলম্বিয়ার বিপক্ষে হারতে হারতে বেঁচে গেল ব্রাজিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাম্প্রতিক সময়ে লাতিন আমেরিকার অন্যতম শক্তিশালী দল হিসেবে পরিচিত কলম্বিয়ার বিপক্ষে সুবিধা করতে ...