পুরোদস্তর ব্যবসায়ী বনে যাচ্ছেন মেসি-রোনালদো

আলমের খান: ম্যাচের হিসেবে দুই হাজারেরও বেশি। সময়ের হিসেবে প্রায় ১৭ বছর। ফুটবল ইতিহাসে এই পুরোটা সময় লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর যুগ বলে আখ্যায়িত হবে। এই সময় যত বড় কিংবদন্তিরই আগমন হোক না কেন বিশ্ব ফুটবলে তার যত বড় অবদানই থাকুক না কেন, সবই স্নান হয়ে যাবে এই দুই কিংবদন্তির কর্মযঙ্গে। ফুটবল বিশ্বে প্রায় ২ দশক রাজত্ব করা
এই যুগলবন্দী এবার হয়তো চিন্তা ভাবনা করছে তাদের অবসরের। দিনশেষে সবারই তো কোথাও না কোথাও থামতে হয়। দিগ্বিজয়ী যোদ্ধারোতো নিজের তলোয়ার কে খাপ বন্দী করতে হয়। তাই নিজেদের শেষটাও হয়তো দেখে ফেলেছেন বিশ্ব ফুটবলের এই দুই জীবন্ত কিংবদন্তি। অবসর পরবর্তী জীবনে ব্যবসার দিকেই যে তারা ঝুঁকছেন এটিও মোটামুটি নিশ্চিতভাবেই বলা চলে।
ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ব্যবসার সাথে জড়িয়ে গিয়েছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। মেসি এক্সপেরিয়েন্স পার্ক নামে একটি পার্কের মালিকানা রয়েছে মেসির কাছে। যেখানে মেসির ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতিহাস ছাড়াও ফুটবল বিষয়ক দারুন সব অভিজ্ঞতা অর্জন করে হাজারো সমর্থকরা। মেসির স্পোর্টস ইনভেসমেন্ট ফার্ম এবং একটি ফুটবল ক্লাবের মালিকানাও রয়েছে।
এছাড়া একটি মরচেন্ডাইজ স্টোর এবং বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা একটি বুটিকও রয়েছে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির নামে। এছাড়া এডিডাস এর সাথে মেসির রয়েছে আজীবন স্পনরসিপ। বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের কথা না হয় বাদই থাকুক। ইউরোপ ছেড়ে মেসির আমেরিকাতে যাওয়ার অন্যতম কারণ ব্যবসা। বিভিন্ন ইন্ডোর্সমেন্ট এবং জীবনের নিরাপত্তার জন্যই মূলত মার্কিন মুলকে যাচ্ছেন মেসি এমনটি শোনা যাচ্ছে সর্বত্র।
তবে মেসির আমেরিকাতে যাওয়ার অন্যতম কারণ ডেভিড বেকহামের মতো অবসর পরবর্তী জীবনে ক্লাবের মালিকানা লাভ করা। যা তাকে পুরোদস্ত র ব্যবসায়ীতে রূপান্তর করে দেবে। অবশ্য ক্লাবের অনুমোদন পাওয়া অতটা সহজলভ্য নয়, সাধারণ মানুষের জন্য তো নয় লিওনেল মেসির জন্যও নয়। সে যাই হোক ক্লাবের মালিকানা অর্জন করতে না পারলেও ইতিমধ্যেই ব্যবসায়ীদের খাতায় নাম লিখে ফেলেছেন মেসি।
ফুটবল ক্যারিয়ারে সিনিয়র রোনালদো ব্যবসায়িক খাতেও মেসির সিনিয়র। লিওনেল মেসির ব্যবসায়িক খাতে নাম লেখানোর আগেই এই খাতের রীতিমত রাজত্ব করা শুরু করে দিয়েছিলেন পর্তুগিজ অধিনায়ক। ফুটবল মাঠের পরিশ্রমের রোনালদোর ব্যবসায়িক জীবনেও নেই কোন ব্যতিক্রম।
যথারীতি এখানেও তিনি দিয়ে থাকেন যথেষ্ট সময়। বিভিন্ন শেয়ারে বিনিয়োগ করার পাশাপাশি বেশকিছু ফাইভ স্টার হোটেল কাপড়ের দোকান এবং হেয়ার সেলুনের মালিক তিনি। এছাড়াও ফিটনেস সচেতন রোনালদোর রয়েছে বেশ কিছু জিমের মালিকানা। গাড়ি প্রেমিক এই ফুটবলার এই খাতেও করেছেন বিনিয়োগ। বেশকিছু গাড়ির ডিলারশিপ রয়েছে পর্তুগিজ তারকার হাতে।
ব্যবসায়িক খাতে তার সর্বশেষ সংযোজন একটি ঘড়ির কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়া। আশা করা হচ্ছে যা তার ব্যবসাকে প্রায় ২৫ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী করে তুলবে। সব মিলিয়ে বলা যায় ফুটবল মাঠে আধিপত্য বিস্তার করা এই দুই কিংবদন্তি এখন ব্যবসায়িক খাতেও হতে চান অপ্রতিরোধ্য। এই দুজনের যে পরিমান মেধা এবং দৃঢ সংকল্প রয়েছে তাতে এই সম্ভাবনাকেও একদম ফেলে দেওয়া যায় না।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- ড. ইউনূসকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সেনাপ্রধান
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- এক আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী বাবা-ছেলের লড়াই
- বাংলাদেশের প্রতিবাদ দেখে ই/স/রা/ই/ল জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় (ভিডিওসহ)
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- বাংলাদেশের ‘পাসপোর্ট’ ইস্যুতে কড়া জবাব দিল ইসরাইলি গণমাধ্যমে
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- কিভাবে বুঝবেন সন্তান পর্নোগ্ৰাফিতে আসক্ত
- ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়া বৃদ্ধের আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- ড. ইউনূসকে নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন হিলারি ক্লিনটন
- মোবাইলেই জেনে নিন—বাপ-দাদার নামে কোথায় কত জমি আছে!