২০২৩ বিশ্বকাপের শিরোপার দাবিদার মনে করা হচ্ছে যে দলগুলোকে

আলমের খান: মাস তিনেক পরই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদা পূর্ণ টুর্নামেন্ট ওয়ানডে বিশ্বকাপ। টি-টোয়েন্টির রমরমায়ে সারা ক্রিকেট বিশ্বই যেন মুখর। তবুও প্রসঙ্গ যখন বিশ্বকাপের তখন ওয়ানডে বিশ্বকাপকেই দেওয়া হয় মূল বিশ্বকাপের তকমা। সৌভাগ্যক্রমে টাইগারদের প্রিয় ফরমেটো এই ওয়ানডে, ফলে স্বপ্নের এই বিশ্বকাপটিকে ছোঁয়ার স্বপ্ন পৃথিবীর বুকের ছোট্ট এই দেশটিও দেখে।
চাঁদকে ছোঁয়ার স্বপ্ন তো সবচেয়ে বেশি বামনই দেখে। রাজকন্যাকে পাওয়ার স্বপ্নে বিভোর তো রাজ্যহীন যুবাই থাকে। সে যাই হোক সাম্প্রতিক পারফরমেন্স খানিকটা খারাপ হলেও বিশ্বকাপের স্বপ্ন এখনো ভেস্তে যায়নি টাইগারদের। যদি নিজেদের মধ্যকার অন্ত কলহ থেকে বেরিয়ে আক্রমণাত্মক মানসিকতায় মাঠে নিজেদের শতভাগ উজার করতে পারে টাইগাররা, তাহলে বামন হয়েও চাঁদকে ঘরে আনার সক্ষমতা রয়েছে তাদের।
এছাড়াও এই বিশ্বকাপে মেন্টর হিসেবে দলের সাথে যাচ্ছে দেশের ক্রিকেটের অবিসংবাদিত নেতা মাশরাফি বিন মর্তুজা। দলকে একই সুতোয় গেঁথে রাখার জন্য এই ব্যক্তিতির চেয়ে যোগ্যতর আর কেই বা হতে পারে। সব মিলিয়ে এই বিশ্বকাপে ভালো কিছু অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে টাইগারদের হাতে। টাইগারদের স্বপ্ন এইবার আকাশ সমান।
অধিনায়ক তামিম ইকবাল বারবারই বলে আসছেন বিগত সবগুলো বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য গিয়েছিলেন তারা, তবে এইবার তারা যাবে সোনালী ট্রফিটিকে অলিঙ্গন করার জন্য। টাইগাররা নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে নিশ্চিতভাবেই থাকবেন বিশ্বকাপের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে বৈশ্বিক ক্রিকেট বোদ্ধাদের দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করা হলে নিশ্চিতভাবেই বিশ্বকাপের ফেভারিটের আসনে বসানো যাবে না টাইগারদের। যা অনেকাংশেই সত্যি।
বাংলাদেশ বেশ অধারাবাহিক, হঠাৎ করেই দর্শকদের দুর্দান্ত ক্রিকেট উপহার দেন আবার হঠাৎ করেই দর্শকদের হৃদয় করে তোলেন বিষাদময়। ফলে এই ধরনের একটি দলের সাফল্য নিশ্চিতভাবেই আগে থেকে আচ করা বেশ দুষ্কর বা বোকামিই বটে। তবে মাস তিনেক পর শুরু হতে দেওয়া বিশ্বকাপের বেশ কিছু যোগ্য দাবীদার তো রয়েছেই। যাদের দলটি দুর্দান্ত সব ক্রিকেটারে পরিপূর্ণ এবং ধারাবাহিকতায়ও নেই তাদের জুরি।
এই দলগুলোর মধ্যে অন্যতম স্বাগতিক ভারত। ভারতের ক্রিকেট বিগত দুই বছরে বেশ ওঠানামার মধ্য দিয়ে সময় পার করেছে। ভারতের ক্রিকেটে সৌরভ গাঙ্গুলীর আগমন এবং রাজনৈতিক কারণে নির্গমন ছিল ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য বড় একটি ধাক্কা। ধারণা করা হতো ভারতীয় বোর্ডে দেশের রাজনীতির পরোক্ষ হাত থাকলেও প্রত্যক্ষভাবে তারা খুব একটা তদারকি করতে যায় না।
তবে গাঙ্গুলির পদত্যাগ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে সরকারের প্রত্যক্ষ প্রভাবকে আর স্পষ্ট করে তোলে। যা নিঃসন্দেহে দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতির জন্য ভালো কোন সংবাদ নয়। এছাড়াও বড় দলগুলোর বিপক্ষে ব্যর্থতা এবং কোনো আইসিসি ট্রফি জিততে না পারায় কোচ রাহুল দ্রাবিদের অবস্থানও খুব একটা পাকাপোক্ত নয়।
ফলে কোচ নিজেই আছেন বেশ চাপে। তবে এতসব ঝামেলার পরও দলটি যেহেতু ভারত এবং এই বিশ্বকাপের স্বাগতিকও তাই তাদের উপর বাজি না রেখে পারছে না ক্রিকেট বৌদ্ধারা। তাই এতসব গোলযোগের মাঝেও ভারতকে মনে করা হচ্ছে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপের হট ফেভারিট। অবশ্য ভারতীয় দলকে পর্যালোচনা করলে এই মতামতের বিরোধিতা করা দুরুহ হয়ে পড়ে।
ব্যাটিং কিংবা বোলিং প্রতিটি ডিপার্টমেন্টেই অসাধারণ সব ক্রিকেটার এবং এই অসাধারণ ক্রিকেটারদের অসাধারণ সব বিকল্পও রয়েছে উপস্থিত। নির্দিষ্ট কোন ক্রিকেটারের উপর নির্ভরশীলতার যুগ বেশ আগেই কাটিয়ে এসেছে দক্ষিণ এশিয়ার এই পরাশক্তিটি। তাই ক্রিকেট বোদ্ধাদের মতে বিশ্বকাপ ভারতীয়দের বিশ্বকাপ খরার সমাপ্তি দাঁড়াই সমাপ্ত হবে। ভারতের পর যে দলটিকে বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার বলে মনে করা হচ্ছে সেটি পাকিস্তান।
ভারতীয়দের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলটি ভারতের মাটিতে এসে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবে এই চিন্তাটাও যেন মেনে নিতে পারবে না কোন ভারতীয়। তাই এই ধরনের কোন কিছু বাস্তবতার মুখ দেখবে তা তারা কোনোভাবেই মেনে নিতে চাবেনা। তবে ক্রিকেট বৌদ্ধধারা কিন্তু এটা মেনে নিচ্ছেন, সম্ভাবনা প্রবল যদি ভারতের পা পিছলায় তাহলে তাদের জায়গায় পাকিস্তানিরাই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এর তকমা গ্রহণ করবেন।
পাকিস্তান আনপ্রেডিক্টেবল দল হলেও বর্তমান দলটি বেশ ভারসাম্যপূর্ণ। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলেছিল পাকরা। পরবর্তী বছরের বিশ্বকাপে আরও এক ধাপ উন্নতি করে ফাইনাল পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল দলটি। তবে শেষ পর্যন্ত সমীকরণ মেলাতে না পেরে রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় পাকিস্তানের। এছাড়া সাম্প্রতিক ফর্ম কথা বলছে পাকদের পক্ষেই। বর্তমানে ওয়ানডে রাঙ্কিং এ দ্বিতীয় স্থানের দখলদার এই দলটি।
বিশ্বকাপ পরবর্তী ফেভারিট ওশেনিয়া মহাদেশের অন্তর্গত কিউইরা। সাম্প্রতিক সময়ে বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হলেই যেন অবধারিতভাবেই সেটির ফাইনালিস্ট হবে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। বৈশ্বিক আসরে চরম রকমের ধারাবাহিক এই দলটির উপর প্রত্যাশার চাপ থাকবে এই আসরেও। তবে টুর্নামেন্টটি যেহেতু অনুষ্ঠিত হচ্ছে এশিয়ায়। তাই কিছুটা হলেও পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে ব্ল্যাক ক্যাপসদের।
তবে ঠান্ডা মাথার এই দলটি যে সে পরীক্ষার সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েই আসবে এটি অনেকটাই অনুমিত। তাই এই তিন ত্রয়ীকেই ধরা হচ্ছে ২০২৩ বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার। অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডও এই তালিকায় থাকার দাবিদার ছিলো। তবে ইংল্যান্ডের বাজে সাম্প্রতিক ফর্ম এবং অস্ট্রেলিয়ার স্পিন ডিপার্টমেন্টের দুর্বলতা এক্ষেত্রে হয়ে উঠেছে তাদের প্রধান অন্তরায়।
তবে বিশ্বকাপ তো পরিচিতি এজন্যই লাভ করেছে যে এখানে আশানুরূপ কোন কিছুই সংঘটিত হয় না। নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেলেই তো পূর্ণ হবে বিশ্বকাপের যথার্থ স্বার্থকতা। তাই সকল যুক্তির উর্ধ্বে গিয়ে বাঙালির চাওয়া তো এটাই থাকবে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপটি আসুক বাংলার এই বুকে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- তিনজন ধ/র্ষণ করলো আছিয়ার বোনের ঘুম ভাঙেনি কেন
- সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি: সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন হার
- হাসিনার বাংলাদেশে ফেরা নিয়ে ভারতের সেনাপ্রধানের বিস্ফোরণ মন্তব্য; সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- শিশু আছিয়ার ধ/র্ষকের প্রধান আসামী হিটু শেখকে নিয়ে উঠে এলো লোমহর্ষক তথ্য
- হাসিনার দেশে ফিরে আসা নিয়ে ট্রাম্পের পোস্ট: সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- ১৪ জন কারা হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করে ফেরাতে চাইছে বাংলাদেশে
- ব্রেকিং নিউজ; বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়ার ঘোষণা
- জামিন না পেয়ে আদালতে যা করলেন ডা. দীপু মনি
- ঢাকার অবস্থা আজ খুবই বিপর্যস্ত
- আছিয়ার ধ/র্ষণ ও হত্যা মামলার এজাহারে ভয়াবহ লোমহর্ষক বর্ণনা
- সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদের ছুটি বাড়ছে আরও ২ দিন
- আছিয়া ধ/র্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামী হিটু শেখের আদালতে জবানবন্দি
- বাবা দোষ করলে বিচার চান হিটু শেখের মেয়ে 'আমার দাদি কেন গাছ তলায়
- লাফিয়ে কমে গেলো সয়াবিন তেলের দাম
- বাংলাদেশে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ঈদের ছুটি বাড়ল