বিশ্বকাপের সদস্য সংখ্যা কমছে জেনে নিন আসল কারণ

আলমের খান: দিগ্বিজয়ী সম্রাটেরা সর্বক্ষণ সাম্রাজ্য সম্প্রসারণের দিকেই মনোনিবেশ করে এসেছেন। তাদের মতে সাম্রাজ্যের সম্প্রসারণ কোন কারণে বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়লে সেটির ধ্বংস অনিবার্য। সাম্রাজ্যের মতোই পৃথিবীর অন্যান্য সবকিছুই ক্রমাগত সম্প্রসারণ নীতিতেই চলে। সেটা কোন প্রতিষ্ঠান হোক কোনো পরিবার হোক কিংবা কোন খেলা। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবলও ক্রমাগত সম্প্রসারিত হয়ে চলেছে। এখন পর্যন্ত ৩২ দল নিয়ে আয়োজিত বিশ্বকাপ সামনের আসর থেকে অনুষ্ঠিত হবে ৪৮ দল নিয়ে। এছাড়াও পুরো বিশ্বজুড়ে চর্চা করা হয় এই খেলাটির। পৃথিবীর অন্যান্য সবকিছুই যখন ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলছে তখন একমাত্র ব্যতিক্রম হিসেবে উপস্থিত রয়েছে ক্রিকেট।
ক্রিকেট খুব সম্ভবত এমন একটি খেলা যেটা সময়ের সাথে সাথে বৈশ্বিক আকার ধারণ করার পরিবর্তে আরো বেশি ছোট্ট একটি গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। যতই ফ্রাঞ্চাইজি লীগ আসুক না কেন ক্রিকেটের মূল স্বাদ নিশ্চিতভাবেই নিহিত আছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। বিশেষ করে বিশ্বকাপে, অথচ সেই বিশ্বকাপের মূল পর্বে সুযোগ পায় মাত্র ১০টি দেশ। এত কম সংখ্যক দেশ নিয়ে আয়োজিত একটি টুর্নামেন্টকে বিশ্বকাপের তকমা দেওয়া যায় কিনা এ ব্যাপারেও রয়েছে যথেষ্ট বিতর্কের সুযোগ। অথচ ২০১৫ বিশ্বকাপটিও অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৪ টি দল নিয়ে। তখন পরিকল্পনা করা হয়েছিল আরো কিছু দল হয়তো যুক্ত হবে সামনের আসর থেকে।
তবে আচমকাই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ১৯৯২ সালের রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে ২০১৯ বিশ্বকাপের আয়োজন করা হয়। মাস তিনেক পর অনুষ্ঠিত হওয়া ২০২৩ বিশ্বকাপটির ফরমেটও হবে এটি। অথচ হওয়ার কথা ঠিক এর উল্টোটা কারণ সময়র সাথে সাথে সহযোগী দেশগুলো আরো বেশি প্রতিযোগিতা পূর্ণ ক্রিকেট খেলতে পারছে। আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস এর মতো দলগুলো নিয়মিতভাবেই বড় শিকার করছে। তারপরও এই দলগুলোকে প্রণোদনা না দিয়ে বরং তাদের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টিকে থাকাটাই দুষ্কর করে দিচ্ছে আইসিসি। এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে আইসিসি জেনে বুঝে এই ভুল পথে হাটছে কেন? তারা কি জানেনা একটি খেলাকে জনপ্রিয় করার একমাত্র মাধ্যম হল সেটিকে নতুন নতুন দেশে ছড়িয়ে দেওয়া।
নিশ্চিতভাবেই আইসিসি নিয়ন্ত্রণকারীরা মূর্খ নয় ফলে তারা সবকিছুই জানেন এবং তাদের করণীয় কি সেটা সম্পর্কেও তারা পুরোপুরি অবগত। তারপরও অবগত করণীয়টা কর্মে রূপান্তর করতেই যেন যত বিপত্তি তাদের। মূলত অধিক দল নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজন না করার ব্যাপারে তাদের উপর সূক্ষ্ম চাপ বিরাজ করছে। এবং এই চাপগুলো আসছে তথাকথিত ক্রিকেটের তিন পরাশক্তি ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের মতো বড় দলগুলোর পক্ষ থেকে। এই তিন দেশের ক্রিকেট ম্যাচগুলোতে স্পন্সারশিপ এর মাধ্যমে প্রচুর আয় হয় আইসিসির। মূলত আইসিসির আয়ের সিংহভাগ আসে এক ভারত থেকেই। সুতরাং তাদেরকেও অখুশি করা আইসিসির পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠছে না। ভারত,অস্ট্রেলিয়া কিংবা ইংল্যান্ডের মতো দলগুলো কেনিয়া, পাপুয়া নিউগিনি কিংবা নেদারল্যান্ডের মতো দলগুলোর বিপক্ষে খেলতে নামলে তারা প্রত্যাশমতো স্পনরসিপ পায় না।
ম্যাচে প্রতিযোগিতা হবে না এমনটি ধরে নেওয়ায় অধিকাংশ দর্শকেরই এই ম্যাচগুলোর প্রতি থাকে না তেমন কোনো বিশেষ নজর। ফলশ্রুতিতে ম্যাচগুলো থেকে তেমন অর্থ উপার্জন করতে ব্যর্থ হয় এই পরাশক্তিগুলো। তাই ক্রিকেটের প্রতিযোগিতাপূর্ণ আবহাওয়া সঠিক রাখার জন্যই এই দলগুলোকে এক কথায় অপসারণ করা হচ্ছে। অর্থাৎ ব্যাপারটি পরিষ্কার ছোট দলগুলো বিশ্বকাপে খেললে খুব একটা আর্থিক লাভ হচ্ছে না ক্রিকেট বোর্ডগুলোর কিংবা আইসিসির। ফলে তাদের কিছুটা তাচ্ছিল্য করেই ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্ট থেকে একপ্রকার সরিয়ে রাখা হচ্ছে।
তবে এটা ভুলে গেলে চলবে না ক্রিকেট যদি এক জায়গায় থমকে যায় কিংবা আর সদস্য বৃদ্ধি না পায় তাহলে অচিরেই ধ্বংস হয়ে যাবে ঐতিহ্যবাহী এই খেলাটি। অল্প কয়েকটি দলকে বারবার দেখতে দেখতে খেলাটি একঘেয়েমি লাগা শুরু করবে দর্শকবৃন্দের। ফলে অচিরেই হারিয়ে যাবে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা তখন আরো বেশি রোষানলে পড়বে ভারত কিংবা অন্যান্য পরাশক্তিরা। এই ভুলটি তারা যত দ্রুত অনুধাবন করে সংশোধন করবে ক্রিকেটের জন্য ততই ভালো। ভুল শোধরাতে বড্ড দেরি যাতে না হয় এই থাকবে প্রত্যাশা।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- তিনজন ধ/র্ষণ করলো আছিয়ার বোনের ঘুম ভাঙেনি কেন
- সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি: সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন হার
- হাসিনার বাংলাদেশে ফেরা নিয়ে ভারতের সেনাপ্রধানের বিস্ফোরণ মন্তব্য; সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- শিশু আছিয়ার ধ/র্ষকের প্রধান আসামী হিটু শেখকে নিয়ে উঠে এলো লোমহর্ষক তথ্য
- হাসিনার দেশে ফিরে আসা নিয়ে ট্রাম্পের পোস্ট: সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- ১৪ জন কারা হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করে ফেরাতে চাইছে বাংলাদেশে
- ব্রেকিং নিউজ; বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়ার ঘোষণা
- জামিন না পেয়ে আদালতে যা করলেন ডা. দীপু মনি
- ঢাকার অবস্থা আজ খুবই বিপর্যস্ত
- আছিয়ার ধ/র্ষণ ও হত্যা মামলার এজাহারে ভয়াবহ লোমহর্ষক বর্ণনা
- সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদের ছুটি বাড়ছে আরও ২ দিন
- আছিয়া ধ/র্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামী হিটু শেখের আদালতে জবানবন্দি
- বাবা দোষ করলে বিচার চান হিটু শেখের মেয়ে 'আমার দাদি কেন গাছ তলায়
- লাফিয়ে কমে গেলো সয়াবিন তেলের দাম
- বাংলাদেশে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ঈদের ছুটি বাড়ল