বাংলাদেশের বিশাল জয়

তবে ম্যাচের শুরুটা ভালো হয়নি লাল সবুজদের। ম্যাচের ১৭ মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ১৭ মিনিটে মালদ্বীপের হামজাথ মোহাম্মদের জোড়ালো শট ঠেকাতে পারেনি বাংলাদেশের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। তবে মালদ্বীপের ঐ শটের আগে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল বাংলাদেশের হাতে। আচমকা এক গোলে লিড নেয় মালদ্বীপ।
গোল খাওয়ার পর ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে বাংলাদেশ। বারবার আক্রমণে ভয় ধরিয়ে দেয় মালদ্বীপের রক্ষণে। ৩৪ মিনিটে গোল পরিশোধের সুযোগও পেয়েছিল তারা। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি জামালদের। কর্নার থেকে আসা বল ডি-বক্স হেড নেন তপু বর্মন। তার হেড জালে জড়ানোর আগে ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন মালদ্বীপের রক্ষণভাগের এক ফুটবলার। সেটা লাগে তাদের আরেক ডিফেন্ডারের হাতে। সেখান থেকে বল গ্লাভসবন্দি করেন মালদ্বীপ গোলরক্ষক হুসাইন শরীফ। বাংলাদেশের ফুটবলাররা পেনাল্টির জোরালো আবেদন করলেও সেটা কানে নেয়নি রেফারি।
আক্রমণের প্রতিদান অবশ্য পেতে দেরি হয়নি ক্যাবরেরার শিষ্যদের। ৪২ মিনিটে প্রায় মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের ফ্রি কিক ডি-বক্সে হেড নেন তপু। সেটা পেয়ে যান অরক্ষিত থাকা রাকিব। বাকি কাজটা অনায়াসে সেরে দলকে সমতায় ফেরান তিনি। বাংলাদেশ দলের এ ফরোয়ার্ড আরও একবার গোলের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন বিরতির আগে।
nagadদ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে রক্ষণ সামলে আক্রমণের ধার বাড়ায় বাংলাদেশ। তার ফলও পেয়ে যায় তারা। ৪৮ মিনিটে কর্নারে বিশ্বনাথের হেড যায় ক্রসবারের অনেক উপর দিয়ে। ৫৭তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ওঠে বাংলাদেশ। ফাহিম, সোহেল ও জামালের সামনে তখন মাত্র তিন জন দুই ডিফেন্ডার। কিন্তু বাংলাদেশ দলের মধ্যে যে বোঝাপোড়ার সংকট তা বুঝা যায় এই ত্রয়ীর গোল করার ব্যর্থতায়। ফাহিম শেষ মুহূর্তে বাঁ দিকে সোহেলকে বল বাড়িয়ে দিলেও শট লাভ হয়নি কোনো।
৬২তম মিনিটে অধিনায়ক জামাল, সোহেল রানা ও গোলদাতা রাকিবকে তুলে নিয়ে শেখ মোরসালিন, মজিবুর রহমান জনি ও মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে নামান কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা।
লেবাননের সাথে ম্যাচে যার ভুল ছিল সবচেয়ে বেশী সেই তারিক কাজী এই ম্যাচে গোল করে নিজের ভুলের প্রায়শ্চিত করেন। ৬৫ মিনিটে কর্নার পায় বাংলাদেশ। ইব্রাহিমের নেয়া সেই কর্নারে জটলার ভেতর থেকে তারিকের প্রথম শট মালদ্বীপের রক্ষণে আটকে যায়। দ্বিতীয় শট গোললাইন থেকে ক্লিয়ার হয়, তৃতীয় প্রচেষ্টায় শটে জাল খুঁজে নেন তারিক।
৮২ মিনিটে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন তারিক। বদলি হিসেবে নামেন মেহেদী। অতিরিক্ত সময়ে বাংলাদেশের স্কোর ৩-১ করেন বদলি নামা মোরসালিন। জাতীয় দলের হয়ে তৃতীয় ম্যাচেই প্রথম গোলের দেখা পেলেন ১৮ বছরের বয়সী উইঙ্গার। সেমিফাইনালের হিসাব-নিকাশে তৃতীয় এই গোলটা হয়ে যেতে পারে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
লেবানন ম্যাচে বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা বল পায়ে রাখতে পারেননি। সেরকম ভাবে পাসিং ফুটবলও খেলেনি। কিন্তু মালদ্বীপের সঙ্গে পাসিং ফুটবলই খেলেছে বাংলাদেশ। তাতেই মালদ্বীপকে দমিয়ে রাখা গেছে।
২০০৩ সালের পর এই প্রথম সাফে মালদ্বীপকে হারাতে পেরেছে বাংলাদেশ। চলতি সাফে প্রথম জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে লেবাননের বিপক্ষে ড্রয়ের আশা জাগিয়েও ২-০ গোলে হেরেছিল তারা। এই জয়ে ‘বি’ গ্রুপে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এল ক্যাবরেরার শিষ্যরা।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশ দলে ৩টি পরিবর্তন করলে পর পর দুই ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে খেলা সম্ভব
- বাড়ল সিঙ্গাপুর ডলারের রেট
- দেশে ফের বাড়ল সৌদি রিয়ালের বিনিময় হার
- বাড়ল সৌদি রিয়ালের বিনিময় হার
- আজ ২০ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতন বাড়ল
- এই মাত্র গ্রেপ্তার শেখ হাসিনার
- আজও বাড়ল সৌদি রিয়ালের বিনিময় রেট
- ঢাকার পরিস্থিতি আজ ভয়াবহ খারাপ
- বেড়ে গেল সৌদি রিয়ালের বিনিময় হার
- ভারতীয় মিডিয়ায় শেখ হাসিনার বাংলাদেশে ফেরার ঘোষণা
- ভারতের বিপক্ষে হারের দোষ সরাসরি যাকে দিলেন অধিনায়ক শান্ত
- বাড়ল সিঙ্গাপুর ডলারের বিনিময় হার
- আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট