ব্লাস্টার্সকে ৪ কোটি জরিমানা কেরালা , ১০ ম্যাচ নির্বাসিত কোচ

শুধু ৪ কোটি টাকা জরিমানা করলে যে মাফ পেয়ে যাবে তা থিক নয়। পাশাপাশি কেরালাকে এই ঘটনার জন্য জনসাধারণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর সেটা না হলে জরিমানার অঙ্কটা ৬ কোটি হয়ে যাবে। অর্থাৎ আরও জনসাধারণের কাছে ক্ষমা চাইলেন ২ কোটি বেড়ে যাবে। কেরালা ব্লাস্টার্সের কোচ ইভান ভুকোমানোভিচকে অবশ্য কড়া শাস্তিই দেওয়া হয়েছে, যা সবারই দেখেছে বা শুনেছে। তার সাজা হল এআইএফএফ আয়োজিত টুর্নামেন্টের ১০টি ম্যাচ নির্বাসিত করা হয়েছে কেরালার হেড কোচকে। এবং তাঁকে ৫ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
৩ মার্চ কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে আইএসএলের প্রথম এলিমিনেটর ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্স বনাম বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচকে ঘিরে উত্তাল হয়েছিল ভারতীয় ফুটবল। ঘটে গিয়েছিল নজিরবিহীন ঘটনা। রেফারিং নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে দলই তুলে নিয়েছিল কেরালা। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বহু জলঘোলা হয়েছে ভারতীয় ফুটবলে। কেরালা কী শাস্তি পেতে চলেছে, তা নিয়েও জল্পনা ছিল। শেষ পর্যন্ত জরিমানা দিয়েই রেহাই পেল কেরালা।
এলিমিনেটর ম্যাচের ৯৬ মিনিটে সুনীল ছেত্রীর বিতর্কিত ফ্রি কিক নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন কেরালা ব্লাস্টার্সের কোচ ইভান ভুকোমানোভিচ। তিনি এতটাই ক্ষেপে গিয়েছিলেন যে, দল তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। মাঠ ছাড়ার আগে রেফারির সঙ্গেও বাঁধে তুমুল ঝামেলা। এমন কী রেফারির সঙ্গে তর্কাতর্কি করতে দেখা যায় কেরালা ব্লাস্টার্সের ফুটবলারদেরও। সব মিলিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়াম। আর এর পরেই পুরো ম্যাচ না খেলে দল তুলে নেয় কেরালা। যার ফলে বেঙ্গালুরু এফসি পেয়ে যায় সেমিফাইনালের টিকিট।
নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয়। স্বাভাবিক ভাবেই নকআউটের ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ৯৬ মিনিট নাগাদ বক্সের বাইরে সুনীলকে কেরালার এক ফুটবলার ফাউল করায়, ফ্রি-কিক দেন রেফারি ক্রিস্টাল জন। সেই ফ্রি-কিক দেওয়া নিয়ে বিতর্ক না তৈরি হলেও, সেটা বেড়ে যায় ফ্রি-কিকের পর। কেরালার গোলরক্ষক, ফুটবলাররা প্রস্তুত হওয়ার আগেই শট মারেন সুনীল। রেফারিও গোল দিয়ে দেন। কেরালার ফুটবলাররা অভিযোগ করেন, রেফারি বাঁশি বাজানোর আগেই সুনীল শট নিয়েছেন। তাঁরা প্রস্তুত ছিলেন না। তাই গোল বাতিল করতে হবে। কিন্তু তাঁদের আবেদনে কর্ণপাত করেননি রেফারি।
এর পরেই উত্তাপের মাত্রা বাড়ে। শুরু হয় বচসা। রেফারিকে ঘিরে ধরে প্রতিবাদ করেন কেরালার ফুটবলাররা। কিন্তু রেফারি গোলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করায় কোচ ইভান ভুকোমানভিচের নির্দেশে মাঠ ছাড়ে কেরালা। চতুর্থ রেফারির সঙ্গে কথা বলেও খুশি হননি তিনি। ক্ষুব্ধ কেরালার কোচ মাঠে ঢুকে দল তুলে নেন। রেফারির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনে কেরালা শিবির।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশ দলে ৩টি পরিবর্তন করলে পর পর দুই ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে খেলা সম্ভব
- বাড়ল সৌদি রিয়ালের বিনিময় হার
- দেশে ফের বাড়ল সৌদি রিয়ালের বিনিময় হার
- আজ ২০ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতন বাড়ল
- এই মাত্র গ্রেপ্তার শেখ হাসিনার
- আজও বাড়ল সৌদি রিয়ালের বিনিময় রেট
- ঢাকার পরিস্থিতি আজ ভয়াবহ খারাপ
- বেড়ে গেল সৌদি রিয়ালের বিনিময় হার
- ভারতীয় মিডিয়ায় শেখ হাসিনার বাংলাদেশে ফেরার ঘোষণা
- ভারতের বিপক্ষে হারের দোষ সরাসরি যাকে দিলেন অধিনায়ক শান্ত
- বাড়ল সিঙ্গাপুর ডলারের বিনিময় হার
- আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট