নেপালের বিপক্ষে ফাইনালে মাঠে নামার আগে যে হুঙ্কার দিলেন বাংলাদেশ

আগামী বৃহস্পতিবার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে এই দুই দল। প্রথমবারের মতো মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা লড়াইয়ে ম্যাচ হতে চলে ছে এটা । স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় মাঠে গড়াবে ম্যাচটি।
গত বছর ২০২২ আসলের সেপ্টেম্বরে দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। বয়সভিত্তিক এ প্রতিযোগিতায় টানা তিন ম্যাচে তাদের বিপক্ষে জয়ের আত্মবিশ্বাসও সঙ্গী শামসুন্নাহার-আকলিমা খাতুনদের। চলতি আসরেই নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে পথচলা শুরু করেছিল দল। ছোটনের তাই আত্মবিশ্বাসের কোনো কমতি নেই।
“আমাদের যে লক্ষ্য ছিল, মেয়েরা পুরণ করেছে। আমরা গ্রুপ সেরা হয়ে ফাইনালে উঠেছি। মেয়েরা খুব ভালোভাবে করতে পেরেছে। সে জন্য মেয়েদের ধন্যবাদ। আরেকটা ম্যাচ বাকি আছে। যেহেতু ফাইনালে উঠেছি, আমাদের লক্ষ্য বিগত দিনে মেয়েরা কমলাপুরে যে ফুটবল উপহার দিয়েছে, সেটা অব্যাহত রাখবে এবং ফাইনাল জয়ের জন্যই আমরা মাঠে নামব।”
“আমরা আগেও এই দলের সঙ্গে খেলেছি। ২০১৮ সালে ওদের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে খেলেছিলাম। জামশেদপুরেও ওদের বিপক্ষে দুই ম্যাচ খেলে জিতেছি। এখানেও জিতেছি। ৯০ মিনিট মেয়েরা ভালো পারফরম করেছে। আমরাও নেপালের খেলা দেখেছি। আমাদের পরিকল্পনা ওভাবে সাজানো হয়েছে। আমরা আমাদের স্বাভাবিক খেলা খেলব এবং আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলব। জয়ের জন্য খেলব।”
নেপাল কোচ ইয়াম প্রসাদ গুরং দিয়েছেন প্রতিশোধের হুংকার। গত আসরের শিরোপা জয়ী ভারতকে হারিয়ে ফাইনালের মঞ্চে আসা দলটিকে সমীহ করছেন ছোটনও। ওই ম্যাচ বিশ্লেষণ করে ছক সাজানোর কথা জানালেন বাংলাদেশ কোচ।
“ফাইনাল খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও রোমাঞ্চকর ম্যাচ হবে। আশা করি, দর্শকরা উপভোগ করতে পারবে। অবশ্যই নেপাল ভালো দল। গতকাল ভারতের বিপক্ষে ওরা জিতেছে। ভারত খুবই শক্তিশালী দল। আমি মনে করি, আগামীকাল খুবই ভালো ম্যাচ হবে। ভিন্ন একটি ম্যাচ হবে। ওরা ভারতের বিপক্ষে জিতেছে। নেপাল আগামীকাল আরও আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামবে।”
“নেপালকে শক্তিশালী দল ধরে মাঠে নামব। (রাউন্ড রবিন লিগে) ভারত ও আমাদের বিপক্ষে ওদের দুটি ম্যাচ বিশ্লেষণ করেছি, আমরা সেভাবেই মাঠে নামব।”
সাফ জয়ী দলের ফরোয়ার্ড শামসুন্নাহারের কাঁধে বয়সভিত্তিক এই দলটির অধিনায়কত্বের ভার। চলতি আসরে তার সঙ্গে সেরা গোলদাতার লড়াই চলছে নেপালের আমিশা কারকির। দুজনের গোল ৪টি করে। ভুটান ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা শামসুন্নাহরের প্রথম ভাবনা অবশ্য দলের জয়।
“আমাদের লক্ষ্যই ছিল ফাইনাল খেলব। ফাইনালে উঠেছি। চেষ্টা থাকবে যেন ঘরের মাঠে ট্রফি রাখতে পারি। সে লক্ষ্যে আমরা মাঠে নামব। প্রথম ম্যাচ যেভাবে খেলেছি, সেভাবেই খেলব। প্রথম ম্যাচে লক্ষ্য ছিল জয়, কেননা, জিতলে ফাইনালের পথে এগিয়ে যাব।
নেপালের সঙ্গে যেভাবে খেলেছিলাম সেভাবেই খেলার চেষ্টা করব। অবশ্যই খেলার মধ্যে সুযোগ আসবে এবং সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।”
“দলের পারফম্যান্স সবার আগে। আমি চেষ্টা করব দল যেন জিতে। গোলের সুযোগ আমার বেলায় যদি ৫০ শতাংশ থাকে, কিন্তু অন্যের যদি ৭০ শতাংশ থাকে, তাহলে আমি তাকে দিয়েই গোল করাব। কারণ এখানে দলের ফল আগে। দলের ফল আগে বের করে পরে নিজের চিন্তা করব।”
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- ১২ ঘণ্টায় ১,০৫৭ জন পুরুষকে খুশি করে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ২২ বছরের যুবতী
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ফাঁস হলো ষড়যন্ত্র, বাংলাদেশ দখলের পরিকল্পনা করছে ভারত
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- বাংলাদেশের ‘পাসপোর্ট’ ইস্যুতে কড়া জবাব দিল ইসরাইলি গণমাধ্যমে
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- গাজায় নিহত ইসরায়েলি ৪১২ সেনা নিহত
- ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়া বৃদ্ধের আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- কিভাবে বুঝবেন সন্তান পর্নোগ্ৰাফিতে আসক্ত
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- ড. ইউনূসকে নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন হিলারি ক্লিনটন
- বাংলাদেশকে সুখবর দিলো চীন