ঢাকায় আসছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা, দীর্ঘদিন ধরে চলেই আসছে বাফুফের এই আইওয়াশ ফর্মুলা

আকরাম-খালেদ মাসুদদের ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফি জয়ের পর ক্রিকেট যখন অল্প অল্প করে এগনো শুরু করে, তখন ঠিক উল্টো পথ ধরে সময়ের সাথে সাথে পিছুদিকে হাঁটতে শুরু করে দেশের ফুটবল। সব মিলিয়ে অবস্থা এখন এমন হয়তো কিছুদিন পর ফুটবল রাঙ্কিংয়ে ২০০ তম স্থানে দেখা যাবে বাংলাদেশকে।
অথচ বাফুফের সভাপতি হিসেবে যখন কাজী সালাউদ্দিন নির্বাচিত হন তখন দেশের ফুটবল নিয়ে আশায় বুক বাঁধতে শুরু করে ভক্ত সমর্থকরা। সালাউদ্দিন নিজে ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ারই অন্যতম সেরা ফুটবলার, নিজে বড় ফুটবলার ছিলেন বলে জানেন বোর্ডে দূরদর্শী থাকার চেয়েও সৎ থাকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। স্বজন প্রীতি কিংবা বিভিন্ন অনিয়ম দেশের ফুটবলের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা সালাউদ্দিনের চেয়ে কেইবা ভালো জানতেন।
তবে ফুটবল মাঠের সেই হ্মুরদার ফুটবলারটি সভাপতি হিসেবে ছিলেন একেবারেই সাদামাটা। তার আমলেই স্বজন প্রীতি কিংবা বিভিন্ন অনিয়মের শীর্ষে উঠে এসেছে বাফুফ। নিয়মিত লীগ আয়োজন থেকে শুরু করে সব ধরনের কার্যক্রম রক্ষাতেই ব্যর্থতা দেখিয়েছে সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বাফুফে। এছাড়াও কথা দিয়ে কথা না রাখার অদ্ভুত একটি রীতিও চালু করেছে সালাউদ্দিনের বাফুফ।
ফুটবল দল কোনো অর্জন করলেই সাথে সাথে জমি কিংবা আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করে দেওয়া হয় বাফুফের পক্ষ থেকে। তবে সেটি আদৌ পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় কিন্তু থেকেই যায়। সর্বশেষ উদাহরণ নারী সাফ জয়ী ফুটবলারদের তাদের ঘোষণাকৃত ৫০ লক্ষ টাকা এখনো দেওয়া হয়নি। সবমিলিয়ে ফুটবলের উন্নয়নে বাফুফে কতটা ব্যর্থ তা লিখে বোঝানো সম্ভব নয়। তবুও লম্বা সময় ধরে সভাপতির পদ আঁকড়ে ধরে রয়েছেন সালাউদ্দিন। নির্দিষ্ট পদে দীর্ঘ সময় থাকা কতটা নেতিবাচক তা কাজী সালাউদ্দিনকে দেখলেই বোঝা যায়। তাই বিশ্বের যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ পদেই দীর্ঘ সময় কাউকে রাখা হয় না।
মূলত একই পদে বছরের পর বছর একজন মানুষ বিরাজমান করলে তার ভিতরে এক ধরনের আলস্য সৃষ্টি হয়, এছাড়াও কাজের প্রতি তার জবাবদিহিতাও অনেকাংশেই কমে আসে। নিজেদের ব্যর্থতা লুকাতে অবশ্য অভিনব এক কৌশল উদ্ভাবন করেছে বাফুফে বস। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিশ্বের নামিদামি ফুটবলারদের বাংলাদেশে আমন্ত্রণ করে থাকেন। এমনকি ২০১১ সালে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা কেও বাংলাদেশে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি।
সম্প্রতি জোর গুঞ্জন রয়েছে ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনাকে নিয়ে মার্চ মাসে প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করতে পারে বাফুফে। নিশ্চিতভাবেই উদ্যোগটির প্রশংসা করা হতো যদি না নিজেদের কাজগুলো ঠিক মতো করতে পারত বাফুফে। দেশের ফুটবলেরই অস্তিত্ব যখন প্রায় বিলীন সেই সময় দুটি বড় দলকে এনে এক ধরনের আইওয়াশ করার চেষ্টাই হয়তো করছেন বাফুফে। তবে ফুটবল পাগল এই দেশের জন্য ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাকে একই মাঠে খেলতে দেখা হবে স্বপ্নের চেয়েও বেশি কিছু পাওয়ার মতো।
মেসি-নেইমারকে মুখোমুখি খেলতে দেখে হয়তো তরুণ প্রজন্মের আরো অনেকেই দ্বিগবিজয়ী ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখবে। তাদের মধ্যেই হয়তো কেউ হয়ে উঠবে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের বহনকারী। নিশ্চিতভাবেই উদ্যোগটি দেশের জন্য ইতিবাচক, তবে বাফুফের প্রশংসা করাটা বড্ড দুষ্কর। কারণ দিনশেষে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা বাফুফের কাছে নিজেদের ব্যর্থতা লুকানোর একটি পর্দা মাত্র।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশ দলে ৩টি পরিবর্তন করলে পর পর দুই ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে খেলা সম্ভব
- বাড়ল সৌদি রিয়ালের বিনিময় হার
- দেশে ফের বাড়ল সৌদি রিয়ালের বিনিময় হার
- আজ ২০ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতন বাড়ল
- এই মাত্র গ্রেপ্তার শেখ হাসিনার
- আজও বাড়ল সৌদি রিয়ালের বিনিময় রেট
- ঢাকার পরিস্থিতি আজ ভয়াবহ খারাপ
- বেড়ে গেল সৌদি রিয়ালের বিনিময় হার
- ভারতীয় মিডিয়ায় শেখ হাসিনার বাংলাদেশে ফেরার ঘোষণা
- ভারতের বিপক্ষে হারের দোষ সরাসরি যাকে দিলেন অধিনায়ক শান্ত
- বাড়ল সিঙ্গাপুর ডলারের বিনিময় হার
- আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট