মেসি-রোনালদো, ক্যারিয়ারের এই মুহূর্তে এগিয়ে রয়েছেন যে

যেন একই মুদ্রার এপিঠ ওপিট। বিশ্বকাপ জিতে হয়তো রোনালদোর চেয়ে খানিকটা এগিয়ে গেল মেসি। তবে বিশ্বকাপ জিততে না পারার দায়টা রোনালদোর উপর চাপিয়ে দেওয়া কি ঠিক হবে? বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম এক পরাশক্তির হয়ে খেলে থাকেন মেসি। অপরদিকে খর্বশক্তির পর্তুগালের হয়ে পথচলা রোনালদোর, এই দলকে নিয়ে একক পারফরমেন্সে বিশ্বকাপ জেতা কি আদৌ সম্ভব? রোনালদো যতই ভালো খেলুক না কেন সতীর্থদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা না পেলে বিশ্বকাপ জেতা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
তাই হয়তো রোনালদোর বিশ্বকাপ না জেতাটা তার ব্যর্থতা হিসেবে ধরা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তবে ব্যক্তিগত বেশ কিছু রেকর্ডে রোনালদোর চেয়ে পিছিয়ে রয়েছেন মেসি। ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিরোপা ধরা হয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগকে। মেসি-রোনালদো দুজনই বেশ কয়েকবার জিতেছেন ক্লাব ফুটবলের এই শ্রেষ্ঠত্ব। তবে মেসির চেয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাতে এগিয়ে রয়েছেন রোনালদো। সব মিলিয়ে নিজের ক্যারিয়ারে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন পর্তুগিজ এই মহাতারকা।
অপরদিকে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন চারবার। ক্লাব ফুটবল বিশ্বকাপ, টুর্নামেন্টের নামটিই যথেষ্ট ট্রফিটের মূল্য বোঝার জন্য। ক্লাব ফুটবল বিশ্বকাপ চারবার জিতেছেন রোনালদো। অপরদিকে মেসি জিতেছেন তিনবার। তবে সব মিলিয়ে ট্রফি সংখ্যা বেশি মেসির। রোনালদোর ৩২টি ট্রফির বিপরীতে মেসির ট্রফি সংখ্যা ৩৫ টি।
এছাড়াও রোনালদোর পাঁচটি ব্যালন ডি'অর র জয়ের বিপরীতে মেসির ব্যালন ডি'অর জয়ের সংখ্যা ছয়টি। পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ব্যালন ডি'অর জয়ের রেকর্ড এই আর্জেন্টাইনের দখলেই। তবে মেসির চেয়ে খুব বেশি বিষয়ে পিছিয়ে নেই রোনালদো। বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংখ্যক গোলের মালিক এই পর্তুগিজ তারকা। ১১৮ গোল নিয়ে সবার উপরে রয়েছেন রোনালদো। ৯৮ গোল করে অবশ্য মেসিও খুব বেশি পিছিয়ে নেই।
রোনালদো দ্রুত অবসরে গেলে এই রেকর্ড ভেঙে ফেলবেন মেসি। তবে সি আর সেভেন এবং মেসি যদি কাছাকাছি সময়ে অবসরে যান তাহলে হয়তো আন্তর্জাতিক গোল বেশি করেই ক্যারিয়ার শেষ করবেন রোনালদো। ক্লাব এবং আন্তর্জাতিক ফুটবল সব মিলিয়ে ১১৪৫ ম্যাচে ৮১৯ গোল করেন রোনালদো। অপরদিকে রোনালদোর চেয়ে ১৪২ ম্যাচ কম খেলে ২৬ গোল কম করেন মেসি। অর্থাৎ ১০০৩ ম্যাচে মেসির গোল সংখ্যা ৭৯৩।
গোল সংখ্যায় মেসির চেয়ে এগিয়ে থাকলেও ম্যাচ অনেক বেশি খেলেছেন রোনালদো। বয়সও মেসির তুলনায় বেশি রোনালদোর। ফলে রোনালদোর চেয়ে খেলোয়াড়ী জীবন বেশি বাকি রয়েছে মেসির। খুব শীঘ্রই হয়তো রোনালদোর এই রেকর্ড ভেঙ্গে নিজেকে শীর্ষ স্থানে নিয়ে যাবেন মেসি।
তবে রোনালদো যদি অসাধ্যকে সাধন করে মেসির সমপরিমাণ সময়ে নিজের খেলা চালিয়ে যেতে পারেন তাহলে রেকর্ড ভাঙ্গা হয়তো সম্ভব হবে না মেসির। দিনশেষে রোনালদো-মেসি রেকর্ড দিয়ে এই দুই ফুটবলারকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। তাই দিনশেষে যেই যার রেকর্ড ভাঙুক না কেন, যেই এগিয়ে থেকে ক্যারিয়ার শেষ করুক না কেন দুজনকেই ইতিহাস মনে রাখবে একে অপরের পরিপূরক হিসেবেই।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- ড. ইউনূসকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সেনাপ্রধান
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- বাংলাদেশের প্রতিবাদ দেখে ই/স/রা/ই/ল জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় (ভিডিওসহ)
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ১২ ঘণ্টায় ১,০৫৭ জন পুরুষকে খুশি করে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ২২ বছরের যুবতী
- ফাঁস হলো ষড়যন্ত্র, বাংলাদেশ দখলের পরিকল্পনা করছে ভারত
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- বাংলাদেশের ‘পাসপোর্ট’ ইস্যুতে কড়া জবাব দিল ইসরাইলি গণমাধ্যমে
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- গাজায় নিহত ইসরায়েলি ৪১২ সেনা নিহত
- ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়া বৃদ্ধের আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- কিভাবে বুঝবেন সন্তান পর্নোগ্ৰাফিতে আসক্ত
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা