ফাইনালে যে ছকে মঠে নামছে ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা

আর আর্জেন্টিনা? বর্তমান বিশ্ব ফুটবলের রাজধানী বলতে পারেন। একা লিওনেল মেসি সারা দুনিয়ার আকর্ষণের কেন্দ্রে বসে আছেন। যেমন ছিলেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। দেশ-কালের সীমানা ছাড়িয়ে যার পায়ের কাছে লুটিয়ে পড়েছিল ফুটবলপ্রেমী দুনিয়া। সেই নিবেদন এখন মেসির জন্য টের পাওয়া যায়। ১৯৮৬-এর দলটার মতো এবারের আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা সেই একজন-মেসি। তবে ম্যারাডোনার দলের সঙ্গে এদের পার্থক্য-সবাই খেলতে জানে। ম্যারাডোনা থেমে গেলে ছিয়াশির আর্জেন্টিনার থেমে যেত। কিন্তু এবার মেসি থামলেও আলভারেস, ডি পল, মলিনারা ঠিকই চালিয়ে নেবে। তাই এই আর্জেন্টিনা মেসির মতো। যারা ফ্রান্সের মতো বহুমুখী প্রতিভায় ভরপুর একটা দলের বিপক্ষে আজ ফাইনাল খেলতে নামছে।
তাহলে কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালের ফেভারিট কে? ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক কাফু আর্জেন্টিনার ক্রীড়া দৈনিক ওলেকে বলেছেন, ‘রক্ষণে সেরা আর্জেন্টিনা। তাদের রক্ষণ এবার খুবই নিখুঁত। খুব জমাট। ফাইনালে ফরাসিদের জন্য একটা গোল করাই কঠিন হবে।’ লিওনেল মেসিকে নিয়ে
কাফুর মন্তব্য, ‘আমি আগে মেসির সমর্থন করব, এরপর আর্জেন্টিনা। মেসিকে কেন চ্যাম্পিয়ন হতে দেখতে চাইব না। ব্রাজিল নেই। আমি তো মেসিরই সমর্থন করবই। তা ছাড়া দুর্দান্ত একটা বিশ্বকাপ কাটছে তার। প্রথম ম্যাচটা হারের পর আর্জেন্টিনা দল আর তার অনেক সমালোচনা হয়েছে। অনেকে তো তাদের বিশ্বকাপ থেকে ছিটকেই দিয়েছিল। এরপর মেসি সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয়।’
সেই থেকে মেসির পায়ে ছুটছে আর্জেন্টিনা। আরেক ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি জিকো তো বলেই দিয়েছেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই, মেসিই আর্জেন্টিনার নায়ক। নাটকের প্রধান চরিত্র। সেই ভূমিকা সার্থকভাবে পালন করে চলেছে ও। যখন গোল করার দরকার পড়েছে, করেছে। যখন গোলের বল সাজিয়ে দিতে হচ্ছে, দিচ্ছে। খেলা তৈরি করছে, জায়গা ‘ওপেন’ করে দিচ্ছে, গোলের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে, নিজেও দুর্দান্ত ফিনিশ করছে। মেসি এমন একজন ফুটবলার, যার পায়ের জাদু দেখার অপেক্ষায় থাকে সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা। সেই প্রত্যাশা সে পূরণ করে চলেছে। মারাডোনার মতোই দলকে নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্বকাপ জেতানোর স্বপ্ন দেখাচ্ছে সে।’
সেই স্বপ্ন কিন্তু এমবাপ্পের পায়ের আঘাতে গুঁড়িয়ে যেতে পারে। শুধু এমবাপ্পে কেন? ফরাসি দলে আছে আন্তোনিও গ্রিজম্যান, অলিভার জিরুদের মতো তারকা। আওরেলিয়েন চুয়ামেনি, থিও হার্নান্দেজরাও কম যান না। একটা মোহময় দৌড়ে ম্যাচ শেষ করে দিতে সক্ষম তারা। গ্রিজম্যান তো স্বপ্নের ফর্মে আছেন। তাই জিকোও বলছেন, ‘ফ্রান্স বেশ কয়েকজনকে চোটের জন্য হারানোর পরেও যে ফুটবল খেলেছে, অসাধারণ। আমার মতে গ্রিজম্যান বিশ্বকাপে সবচেয়ে উন্নতি করা ফুটবলার।’ ফ্রান্সের পক্ষে গ্রিজম্যান মাঝমাঠের নেতৃত্বে থাকবেন। আর্জেন্টিনার পক্ষে এনজো ফার্নান্দেজ। দুই মিডফিল্ডারই রয়েছেন ভালো ছন্দে। গ্রিজম্যান যেমন ফ্রান্সের আক্রমণ তৈরির অন্যতম কারিগর তেমনি আর্জেন্টিনার মাঝমাঠের ভরসা ফার্নান্দেজ। তা ছাড়া সবাইকে ছাপিয়ে যাওয়ার জন্য মেসি আর এমবাপ্পে তো আছেনই। ফলে লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামের বিশ্বকাপ ফাইনাল যে জমজমাট হবে, তা নিশ্চিত বলা যায়।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশের বিশাল কর্মসূচি নিয়ে যা লিখেছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- ড. ইউনূসকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সেনাপ্রধান
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- এক আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী বাবা-ছেলের লড়াই
- বাংলাদেশের প্রতিবাদ দেখে ই/স/রা/ই/ল জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় (ভিডিওসহ)
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- বাংলাদেশের ‘পাসপোর্ট’ ইস্যুতে কড়া জবাব দিল ইসরাইলি গণমাধ্যমে
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- কিভাবে বুঝবেন সন্তান পর্নোগ্ৰাফিতে আসক্ত
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- ড. ইউনূসকে নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন হিলারি ক্লিনটন
- মোবাইলেই জেনে নিন—বাপ-দাদার নামে কোথায় কত জমি আছে!