কাতার বিশ্বকাপঃ যে গোলে ডুবল জার্মানি

দাবি করা হচ্ছে বলটি মিতোমা কাট ব্যাক করার আগেই তা গোললাইন অতিক্রম করেছিল। ম্যাচ হারার পরও স্প্যানিশরা এখন লাস্ট সিক্সটিনের জম্পেশ হিস্যাদার। মানে হারল স্পেন কিন্তু ডুবল জার্মানি।
অবশ্য আগে বল গোললাইন পেরিয়েছে কিনা, এমন সন্দেহ হওয়ায় ভিএআরের সাহায্য নেন রেফারি। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তটি জাপানের পক্ষে যায় এবং ম্যাচে লিড নেয় জাপান। অথচ এ গোলটি বাতিল হলেই জার্মানি শেষ ষোলোর আসন পেতে পারত।
প্রশ্ন উঠেছে, দীর্ঘক্ষণ ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির সাহায্য নেওয়ার (ভিএআর) পরও রেফারি কি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? মোটেও নয়। কারণ ফিফার নিয়ম বলছে, বল তো মাঠের মধ্যেই ছিল। রেফারিও কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেননি। এই ম্যাচে ভিএআরের দায়িত্ব পালন করেন মেক্সিকোর ফার্নান্দো গুয়েরো। লম্বা সময় নিয়ে গোলটি পরীক্ষা করেন তিনি ফিফার বিদ্যমান আইন মেনে।
ফিফার নিয়মে পরিষ্কার লেখা রয়েছে ‘রিয়াল ভিউ’ অর্থাৎ ওপরের দিক থেকে বলের কোনো অংশ যদি লাইনে থাকে, তাহলে বলটি মাঠের মধ্যেই আছে বলে ধরে নেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে খেলা চলবে। সোজা কথায়, ভক্তরা সোশ্যাল মিডিয়ায় যতই চেচাক না কেন, গোললাইন টেকনোলজিতে ‘অ্যারিয়াল ভিউ’ অনুযায়ী বল যেহেতু শতভাগ মাঠের বাইরে যায়নি, সেজন্য সিদ্ধান্ত জাপানের পক্ষেই গেছে।
এ ছাড়া ফিফার ৯ নম্বর আইন অনুযায়ী, বল যখন শূন্যে থাকা বা মাটিতে ঠেকা অবস্থায় গোললাইন বা টাচলাইনের পুরো অংশ পেরিয়ে যাবে, তখন তা বেরিয়ে গেছে বলে ধরা হবে। অন্য ক্ষেত্রে বল মাঠের মধ্যেই আছে বলে ধরা হবে। এ কারণে এই ম্যাচে মিতোমা যখন বল পাস করেন, তখন বল খেলার মধ্যেই ছিল বলে গণ্য করেছেন রেফারি।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই গোলের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কের আসল কারণ হচ্ছে, এটি বাতিল হলে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে চলে যেত জার্মানি। কিন্তু ওই গোলের সুবাদে জাপান জিতে যাওয়ায় বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে গেছে জার্মানি।
স্বাভাবিকভাবে বিতর্কিত এই গোল নিয়ে জার্মানির গণমাধ্যম সবচেয়ে বেশি সরব। তারা এটিকে ১৯৬৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের জিওফ হার্স্টের বিতর্কিত গোলের সঙ্গে তুলনা করছে। ৫৬ বছর আগে আরেকটি বিতর্কিত গোলে পুড়তে হয়েছিল জার্মানদের। ১৯৬৬ বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ সময় পর্যন্ত ১-১ গোলে সমতায় ছিল জার্মানি। একদম শেষ মুহূর্তে জিওফ হার্স্টের শট ক্রসবারে লেগে গোললাইনে পড়ে, পরে তা ক্লিয়ার করেন জার্মান ডিফেন্ডার।
রেফারি প্রথমে কর্নার দিলেও সহকারী রেফারির সঙ্গে আলাপ করে আসে গোলের সিদ্ধান্ত। ২-১ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। জার্মানরা এখনো বিশ্বাস করে, বলটি গোললাইন অতিক্রম করেনি। এবার নিজেদের ম্যাচে না হলেও নিজেদের ভাগ্য জড়িত থাকায় জাপানের বিতর্কিত গোল নিয়ে নিজেদের দুর্ভাগা ভাবছে তারা। অন্যদিকে ইংলিশ মিডিয়া জাপানিদের পক্ষ নিয়ে ২০১০ বিশ্বকাপে জার্মানির বিপক্ষে ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের গোলটি বাতিল করে দেন রেফারি। কারণ তিনি মনে করেছেন, বলটি টাচলাইন অতিক্রম করেনি।
স্পেন হেরেও গ্রুপের রানার্সআপ দল হিসেবে শেষ ষোলোয় উঠেছে আর টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়েছে জার্মানি। বিশ্বকাপে জার্মানি এর আগে কখনো টানা দুবার গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়েনি।
মিতোমা ক্রস করার আগেই বল বাইলাইন পেরিয়ে গেছে—এমনটাই মনে করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান রেফারি ভিক্টর গোমেজ। ভিডিও রিপ্লে দেখেও তেমনটাই মনে হয়েছে। কিন্তু তখনই রেফারির ডাক পড়ে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তির কাছে। বেশিরভাগ দর্শক ভেবেছিলেন, মাঠের রেফারির সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে। ভুল। ভিএআর সেটিকে গোল হিসেবে রায় দিয়েছে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশের বিশাল কর্মসূচি নিয়ে যা লিখেছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- ড. ইউনূসকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সেনাপ্রধান
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- এক আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী বাবা-ছেলের লড়াই
- বাংলাদেশের প্রতিবাদ দেখে ই/স/রা/ই/ল জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় (ভিডিওসহ)
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- বাংলাদেশের ‘পাসপোর্ট’ ইস্যুতে কড়া জবাব দিল ইসরাইলি গণমাধ্যমে
- জীবনসঙ্গী কি পূর্বনির্ধারিত নাকি মানুষের কর্মফল
- ড. ইউনূসকে ৫ বছর ক্ষমতায় চেয়ে চিঠি
- ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে কেপে উঠল রাজধানী ইসলামাবাদ
- বাংলাদেশকে ১০ বছর মেয়াদি গোল্ডেন ভিসা দেবে যে দেশ
- কিভাবে বুঝবেন সন্তান পর্নোগ্ৰাফিতে আসক্ত