৫টি ম্যাচই জিততে চান শ্রীরাম

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে ৫টি ম্যাচ পাচ্ছে বাংলাদেশ। সেই প্রথম আসরের পর এই ধাপে তাদের জয় নেই একটিও। টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসরে এখনও পর্যন্ত ৩৩ ম্যাচ খেলে জয় ধরা দিয়েছে স্রেফ ৭টি। এর মধ্যে মূল পর্বে একমাত্র জয় সেই ২০০৭ আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। বিশ্বকাপে যেটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ।
এবার তাই একটি ম্যাচ জিততে পারলেই বাংলাদেশ স্পর্শ করবে বিশ্বকাপে নিজেদের সেরা সাফল্যকে। দুটি জয় পেলে লেখা হবে সাফল্যের নতুন অধ্যায়। গত সোমবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেনও বলেছিলেন ঠিক এই কথাই। যেটিতে ফুটে ওঠে, বাংলাদেশ দলের ভাবনায়ও এমন কিছু আছে।
তবে এই সংস্করণে দলের যা অবস্থা, তাতে একটি জয়ের আশাও জোর দিয়ে করা কঠিন। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অনেক কষ্টে গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে মূল পর্বে যথারীতি সব ম্যাচে হেরে যায় দল। গত আসরের পর থেকে এই বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত ১৯ ম্যাচে জয় এসেছে স্রেফ ৪টিতে। এর মধ্যে দুটি জয় কদিন আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দলের বিপক্ষে। একটি করে জয় জিম্বাবুয়ে ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
এই পরিক্রমায় সিরিজ হারতে হয়েছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, একটি ম্যাচে হারতে হয়েছে দেশের মাঠে আফগানদের বিপক্ষে। আশার আলো মেলেনি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি পর্বেও। নিউ জিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে সব ম্যাচে হারার পর ব্রিজবেনে আফগানদের কাছে প্রস্তুতি ম্যাচে স্রেফ অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে দল।
সব মিলিয়ে দল আঁধারে ডুবে আছে বলেই সমালোচনা হওয়ার কথা বাইরে থেকে। মনোবলও থাকার কথা তলানিতে। শ্রীরাম যদিও শোনালেন অন্য গল্প! ব্রিজবেনে বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট দাবি করলেন, দারুণ চনমনে আছে তার দল।
“খুবই উৎফুল্ল আছে ছেলেরা। আমি যতটা দেখছি, ওরা খুবই ইতিবাচক আছে। দারুণ কিছু শিখতে পেরেছে সবাই। ফলাফল আমাদের পক্ষে আসেনি, কাজেই শিখতে পারার পক্ষে কোনো প্রমাণ এখনও নেই। তবে দলের আবহ দারুণ ও ড্রেসিং রুমের পরিবেশ ফুরফুরে। ছেলেরা প্রতিদিনই শিখছে।”
“নিজেদের মধ্যে যে আলোচনা ওরা করছে, তা অসাধারণ। এই আলোচনাগুলো তুলে ধরার ক্ষেত্রে সাকিবও দারুণ কাজ করছে। ছেলেরা টিম মিটিংয়ে অনেক কথা বলছে, এটা খুবই চমৎকার ব্যাপার। এমন নয় যে আমি বা কোচরাই স্রেফ কথা বলছে। ছেলেরা অনেক কথা বলছে। এটা খুবই ইতিবাচক।”
দলের সেই ইতিবাচক আবহ থেকেই স্বপ্নের দোলা লেগেছে শ্রীরামের মনে। পারফরম্যান্স পক্ষে না থাকলেও প্রক্রিয়ার ভেলায় তিনি এগিয়ে যেতে চান সামনে। প্রতিটি ম্যাচ জয়ের লক্ষ্য নিয়েই তিনি বিশ্বকাপের লড়াইয়ে নামতে চান। তবে চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়ে যেতে যান একটু একটু করে।
“(লক্ষ্য) সম্ভব হলে ৫টি ম্যাচই জেতা! সব দলই তো জয়ের জন্য মাঠে নামে। তবে আমাদের বাস্তবতা বুঝতে হবে। একটি করে ম্যাচ ধরে এগোতে হবে আমাদের। এখনও দুটি প্রতিপক্ষ আমরা জানি না, অপেক্ষা করছি জানার জন্য। তাই একটি একটি ম্যাচ করে এগোনো খুব গুরুত্বপূর্ণ। খুব বেশি দূর না ভেবে স্রেফ ওই ম্যাচ নিয়েই ভাবতে হবে।”
ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রেও শ্রীরামের চোখে গুরুত্বপূর্ণ ছোট ছোট কাজগুলি ঠিকঠাক করা। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে দাপট দেখিয়ে তিনি ছুঁতে চান জয়ের ঠিকানা।
“ম্যাচের মধ্যে ম্যাচ নিয়েও ভাবতে হবে… খেলাটাকে ভেঙে, যতটা সম্ভব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে ভাগ করে ওই অংশগুলো জয় করা নিয়ে ভাবতে হবে। ওই ছোট ছোট মুহূর্তগুলো ভাবা হবে গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয় না, পুরো ৫ ম্যাচ মাথায় রেখে আমাদের এগোনো উচিত। একটি করে ম্যাচ ধরে নেওয়া এবং সেই ম্যাচের নানা মুহূর্ত নিয়েই আমাদের মনোযোগ রাখতে হবে।”
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- অবশেষে ৫ বছর পর আরব আমিরাতের ভিসা নিয়ে সুখবর
- আরব আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা চালু
- বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলবেন সাকিব
- ৪০ বছর পর বিশাল বড় সুখবর পেলেন শিক্ষকরা
- মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের সঙ্গে শেখ হাসিনার গোপন বৈঠকে: যা জানা গেল
- যদি ৫ আগস্ট স্বৈরশাসক হাসিনা ধূলিস্যাৎ না হতো, তবে ৬ আগস্ট জাতীয় পত্রিকার শিরোনাম কেমন হতো
- ১ শর্তের বিনিময়ে আইপিএলে খেলতে পারেন মুস্তাফিজ
- চিরতরে হাসিনার হাসি বন্ধ করল জাতিসংঘ
- দুবাইয়ে দুর্ঘটনায় সংগীত শিল্পী মমতাজ নিহত, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- ইতালির ভিসা প্রক্রিয়া নিয়ে এলো সুখবর, আগামী মাস থেকে আবেদন শুরু
- ওবায়দুল কাদেরের মৃত্যু: আসল সত্যতা প্রকাশ
- ওবায়দুল কাদেরের মোবাইল ট্র্যাকিং: শেষ লোকেশন মোহাম্মদপুর
- ১০ কোটি টাকা ও এমপি পদের প্রলোভন দেখিয়ে এনসিপিতে নুরর দলের ২০ নেতা: যা জানা গেল
- কমে গেল ডলারের বিনিময় হার (০৫ মার্চ)
- অধিবেশন চলাকালে সার্বিয়ার পার্লামেন্টে গ্রেনেড হামলা