কম পুজি নিয়েই ডাচদের কাঁপিয়ে হারলো নামিবিয়া

মাত্র ১২২ রানের লক্ষ্যে নেমে সহজ জয়ের পথেই এগোচ্ছিল নেদারল্যান্ডস। ৬ ওভারে বিনা উইকেটে পঞ্চাশ করার পর ১০০-তে পৌঁছায় ১৬তম ওভারে। উইকেট নেই দুটি। জয় তখন সময়ের ব্যাপার। কিন্তু নামিবিয়া ছেড়ে কথা বলেনি। ৭ বলে মাত্র ২ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেয় তারা। তাদের বুক চিতিয়ে করা লড়াই শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। ৩ বল হাতে রেখে ডাচরা জিতে গেছে ৫ উইকেটে।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডের তিন ম্যাচের সবগুলো হারা ডাচরা এবার নামিবিয়াকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিলো। গত বছর ৬ উইকেটে তাদের কাছে হেরেছিল নেদারল্যান্ডস। এবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে জিতেছিল প্রথম ম্যাচে। তিন দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে আবারও বুকে কাঁপন ধরিয়ে জিতলো নামিবিয়ার বিপক্ষে।
টানা দুটি ম্যাচ জিতে সুপার টুয়েলভে এক পা দিয়ে রাখলো নেদারল্যান্ডস। ২০১৪ সালে সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নকআউট খেলেছিল তারা। চট্টগ্রামে ওইবার চমক দেখিয়েছিল সুপার টেনে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে।
জিলংয়ের সাইমন্ডস স্টেডিয়ামে দুইদিনে উইকেটের রূপ পাল্টেছিল। বদলে গিয়েছিল নামিবিয়ার রূপও। মন্থর উইকেটে ডাচ বোলারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে ৬ উইকেটে ১২১ রানের বেশি করতে পারেনি তারা। আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় জ্যান ফ্রাইলিংক আরেকটি চমৎকার ইনিংস খেলেন। কিন্তু বলের সঙ্গে তার রানের তফাৎ ছিল একেবারেই কম। ৪৮ বলে করেন ৪৩ রান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঝড় তোলা জেজে স্মিট মাত্র ৪ বল খেলে করেন ৫ রান। গত ম্যাচে বিস্ফোরক দুই ব্যাটসম্যান মলিন, তারই প্রতিচ্ছবি পুরো নামিবিয়া দল।
ছোট লক্ষ্য। ভেবেচিন্তে সময় পার করেনি নেদারল্যান্ডস। প্রথম ছয় ওভারেই কোনও উইকেট না হারিয়ে তোলে ৫১ রান। অবশ্য পরবর্তী দলীয় পঞ্চাশের দেখা পেতে একটু সময় লেগেছে তাদের। একশতে যাওয়ার আগে হারায় দুটি উইকেট। পার হওয়ার পর বাঁধে বিপত্তি। তবে বলা যায়, ম্যাক্স ও’ডাউড ও বিক্রমজিৎ সিংয়ের উদ্বোধনী জুটি জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিল। ৩১ বলে তিন চার ও ২ ছয়ে ৩৯ রান করে বিক্রমজিৎ আউট হন। ও’ডাউড ৩৫ রানে রান আউট হন সমান সংখ্যক বল খেলে।
আগের ম্যাচে ডেথ ওভারে ব্যাটিং দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো নামিবিয়া এবার ডেথ ওভারে বল হাতে দুর্দান্ত। ১৬তম ওভারে জোড়া আঘাতে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন স্মিট। চার মারার পরের বলে টম কুপার (৬) মাইকেল ফন লিঙ্গেনের ক্যাচ হন ডিপ মিডউইকেটে। দুই বল পর কলিন অ্যাকারম্যান (০) প্যাভিলিয়নে ফেরেন মিড অফে গেরহার্ড এরাসমাসকে সহজ ক্যাচ দিয়ে। পরের ওভারে বল হাতে নিয়ে ফ্রাইলিংক অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসকে (১) ফেরান। শর্ট কভারে লফটি-ইটনের ক্যাচ হন। ২ উইকেটে ১০১ রান করা দলটির স্কোর ৫ উইকেটে ১০২!
ফ্রাইলিংকের মেডেন উইকেট ওভারে চাপে পড়ে নেদারল্যান্ডস। ১৮ বলে ২০ রানের প্রয়োজন ছিল। ডেভিড ভিসার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সেটা দাঁড়ায় ১২ বলে ১৪ রান।
আবারও বল হাতে নেন স্মিট। এবার সতর্ক থেকে ৮ রান করেন টিম প্রিঙ্গেল ও বাস ডি লিড। শেষ ওভারে ৬ রান আটকানোর দায়িত্ব পান ডেভিড ভিসা, প্রথম বলেই মিড অফ দিয়ে চার মেরে চাপ কমান ডি লিড। পরের বল ডট, তৃতীয় বল লং অন দিয়ে পাঠিয়ে ২ রান তোলেন। তিন বল হাতে রেখে জিতে যায় ডাচরা।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- অবশেষে ৫ বছর পর আরব আমিরাতের ভিসা নিয়ে সুখবর
- আরব আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা চালু
- বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলবেন সাকিব
- ৪০ বছর পর বিশাল বড় সুখবর পেলেন শিক্ষকরা
- মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের সঙ্গে শেখ হাসিনার গোপন বৈঠকে: যা জানা গেল
- যদি ৫ আগস্ট স্বৈরশাসক হাসিনা ধূলিস্যাৎ না হতো, তবে ৬ আগস্ট জাতীয় পত্রিকার শিরোনাম কেমন হতো
- ১ শর্তের বিনিময়ে আইপিএলে খেলতে পারেন মুস্তাফিজ
- চিরতরে হাসিনার হাসি বন্ধ করল জাতিসংঘ
- দুবাইয়ে দুর্ঘটনায় সংগীত শিল্পী মমতাজ নিহত, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- ইতালির ভিসা প্রক্রিয়া নিয়ে এলো সুখবর, আগামী মাস থেকে আবেদন শুরু
- ওবায়দুল কাদেরের মৃত্যু: আসল সত্যতা প্রকাশ
- ওবায়দুল কাদেরের মোবাইল ট্র্যাকিং: শেষ লোকেশন মোহাম্মদপুর
- ১০ কোটি টাকা ও এমপি পদের প্রলোভন দেখিয়ে এনসিপিতে নুরর দলের ২০ নেতা: যা জানা গেল
- কমে গেল ডলারের বিনিময় হার (০৫ মার্চ)
- অধিবেশন চলাকালে সার্বিয়ার পার্লামেন্টে গ্রেনেড হামলা