নেইমার-এমবাপেকে ধমকাতে মোটেই ভয় পান না পিএসজি কোচ

শুধু তাই নয়, তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ১৭ বার বল জড়িয়েছে তারা। হজম করেছে কেবল তিনটি। বোঝাই যাচ্ছে, এবার পিএসজিকে থামায় এমন সাধ্য কারো নেই। বিশেষ করে লিলেকে ৭-১ ম্যাচে বিধ্বস্ত করার পর।
প্যারিসের এই দলটির শক্তি এবং সামর্থ্য সম্পর্কে কারোরই সন্দেহ থাকার কথা নয়। অন্তত ফ্রান্সে তারাই সেরা। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। যতবড় শক্তিশালী দলই হোক না কেন, দলটির ড্রেসিং রুমে যে ইগো সমস্যা তৈরি হয়েছে, সেটার কারণে যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ভেঙে পড়ে কি না দলটি, সেটাই চিন্তার বিষয়।
পিএসজির কোচের দায়িত্ব নেয়ার পর ক্রিস্টোফে গ্যালটিয়েরের প্রথম দায়িত্বই ছিল, দলের মধ্যে সম্প্রতির বন্ধন তৈরি করা। মাঠের মধ্যে পেনাল্টি গ্রহণ করা নিয়ে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে এরই মধ্যে। এই একটি সমস্যা ছাড়া এরই মধ্যে গ্যালটিয়ের প্রত্যেকটি খেলোয়াড়ের জন্যই বলতে গেলে আলাদা আলাদ পৃষ্ঠা তৈরি করে দিয়েছেন। যাতে একে অপরের মধ্যে সমস্যা তৈরি না হয়।
সেন্ট এটিয়েনে ক্লাবে গ্যালটিয়েরের সতীর্থ ছিলেন এরিক ব্লান্ডেল। তিনি সাবেক সহকর্মী সম্পর্কে প্যারিসের এল ইকুইপে পত্রিকাকে বলেন, ‘পিএসজিতে তার (গ্যালটিয়ের) অভিষেক হওয়া দেখে আমি অবাক হইনি। বড় ক্লাবকে ম্যানেজ করার দক্ষতা রয়েছে তার। আমি নিশ্চিত, এই ক্লাবে ক্রিস্টোফে এখানে সফল হবেন। তিনি এমন এক ব্যক্তি, যার কঠোর চরিত্র রয়েছে। তার মধ্যে ক্যারিশমা রয়েছে। এমনকি কাউকে কোনো কিছু বলতে ভয় পান না তিনি। এমনকি কিলিয়াম এমবাপে এবং নেইমারের মত ফুটবলারদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে উচিৎ কথা বলতেও ভয় করেন না তিনি।’
ব্লান্ডেল আরো বলেন, ‘তিনি (গ্যালটিয়ের) জানেন কিভাবে তাদের মত ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তিনি তাদের ঘাড় ধরে, কিংবা কাঁধে হাত দিয়ে এমনভাবে কথা বলবেন, যাতে মনে হবে তিনি যেন সেই খেলোয়াড়েরই জীবন সম্পর্কে কথা বলছেন। কথা বলতে বলতে একটা সময় এসে যখন বুঝবেন যে সঠিক কথাটা বলার সময় হয়ে এসেছে, তখনই তিনি মূল কথার অবতারণা করবেন এবং সেই খেলোয়াড়ের কাছ থেকে ড্রেসিং রুম এবং মাঠে কি ধরনের আচরণ এবং পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করেন, সেটা বলবেন। বিষয়টা এমনভাবে বলবেন, যাতে করে সেই খেলোয়াড় তখন আর কোচের কথার বাইরে কিছু বলবে সে পরিস্থিতি আর থাকে না।’
পিএসজিতে সবচেয়ে বাজে সময়টা যাচ্ছে মাঠে কে পেনাল্টি নেবে- সে সিদ্ধান্ত নিয়ে। বিশেষ করে দুই সপ্তাহ আগে নেইমার এবং এমবাপে মিলে পেনাল্টি নেয়া নিয়ে যখন বিরোধে জড়িয়ে যান। গ্যালটিয়ের খুব দ্রুত এ বিষয়টাতে সমাধান আনার চেষ্টা করেন। তিনি দ্রুত মিটিং করেন স্পোর্টিং ডিরেক্টর লুইস ক্যাম্পোসের সঙ্গে।
এরপর মঁপিয়েরের ম্যাচের আগে, এমনকি লিলে ম্যাচের আগেও খেলোয়াড়দের ব্রিফিং করতে গিয়ে কোচ গ্যালটিয়ের জানিয়ে দেন, ‘এমবাপেই হচ্ছে নাম্বার ওয়ান পেনাল্টি টেকার। অবশ্যই দ্বিতীয় পেনাল্টি টেকার থাকবে আমার দলে। তিনি হলেন নেইমার।’
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশের বিশাল কর্মসূচি নিয়ে যা লিখেছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম
- ফেসবুক লাইভে এসে পুলিশের সাহায্য চাইলেন নগ্ন তরুণী
- টাকা নেওয়া যৌনকর্মী কি দাসীর মত হালাল হবে
- বাটা কোন দেশের কোম্পানি
- পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বড় ভূখন্ড পেল বাংলাদেশ, ভারতের কপাল পুড়ল
- শুধু হামজার কাছেই হারলো সিঙ্গাপুর
- ট্রান্সশিপমেন্ট কান্ডে মুখোমুখি দুই দেশ বাংলাদেশের পাল্টা চালে বিপদে ভারত
- স্বপ্নের দেশে জামাতে নামাজ আদায় নিষিদ্ধ হল
- ড. ইউনূসকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সেনাপ্রধান
- সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর নিয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি
- মহার্ঘ ভাতা নিয়ে যা জানালেন অর্থ উপদেষ্টা
- ছাদ ধসে ৬৬ জন নিহত ১৫৫ জন আহত
- ২৯ এপ্রিলের মধ্যে সৌদি ছাড়ার কঠোর নির্দেশ
- এক আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী বাবা-ছেলের লড়াই
- মা-মেয়ে এক সংসারে স্বামীকে নিয়ে থাকছেন একই ঘরে