| ঢাকা, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১

২৯ বছরে পা রাখলো ওয়ার্নের সেই অবিশ্বাস্য ডেলিভারি

খেলাধুলা ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২২ জুন ০৪ ১০:৫৯:২৯
২৯ বছরে পা রাখলো ওয়ার্নের সেই অবিশ্বাস্য ডেলিভারি

গত ১৯৯৩ সালেন ৪ জুন, অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি লেগ-স্পিনার ইংল্যান্ডের মাইক গ্যাটিংকে এমন একটা ডেলিভারিতে বোল্ড করেছেন যা এখন পর্যন্ত আইকনিক হয়ে আছে। তার সে ডেলিভারি এখন পর্যন্ত অবিশ্বাস্য একটা ডেলিভারি যা এখনও ধাঁধাঁয় ফেলে দেয় ক্রিকেট বিশ্বকে।

১৯৯৩ সালে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের মাইক গ্যাটিংকে বল অফ দ্য সেঞ্চুরি করার ২৯ বছর পূর্ণ হয়ে গেল। অথচ শেন ওয়ার্ন বিদায় বলে দিয়েছেন পৃথিবীকে। চলতি বছরের ৪ মার্চ থাইল্যান্ডের একটি দ্বীপে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

২৪ বছর বয়সী শেন ওয়ার্নের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার পর অ্যাশেজ সিরিজে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন। ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে মাইক গ্যাটিংকে করা ওই ডেলিভারিটা অস্ট্রেলিয়ানদের মতে, ‘অপ্রত্যাশিত’।

গ্যাটিংকে করা প্রথম যে বলটি করেছিলেন সেটি লেগ স্টাম্পের অনেক আউট সাইডে ছিল, যা পরে অফ স্টাম্পে আঘাত করে। বল এত বেশি বাঁক নিয়ে গ্যাটিংকে বোল্ড করে যা এক কথায় অবিশ্বাস্য ছিল। বিভ্রান্তিতে পড়ে যাওয়া গ্যাটিং বেশ কিছুক্ষণ নীরবে তাকিয়ে থাকেন পিচের দিকে।

ওই ম্যাচে শুধু গ্যাটিংকে নয়, সাজঘরে ফিরিয়েছিলেন গ্রাহাম গুচ, রবিন স্মিথ, অ্যান্ডি ক্যাডিককে। সেদিন তার বল মুগ্ধ করেছিল তৎকালীন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইক আথারটনকে।

অথচ ১৯৯২ সালে অভিষেক ম্যাচে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকে শেন ওয়ার্ন ১ উইকেট নেন ১৫০ রান দিয়ে। ১৯৯৩ অ্যাশেজের প্রথম টেস্টের আগে ওয়ার্ন ১১টি টেস্টে ৩০.৮০ গড়ে নেন ৩১ উইকেট। বলা যায় অভিষেকের এক বছর পর নিজেকে খুঁজে পান ওয়ার্ন। যা তাকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছে অনন্য উচ্চতায়। ২০০৭ সালে যখন ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন তখন তিনি ১৪৫ টেস্ট খেলে ২৫.৪১ গড়ে ৭০৮ উইকেট নিয়ে শেষ করেন।

আইসিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়ার্ন বলেছিলেন, ‘বল অব দ্য সেঞ্চুরি’ খ্যাত ডেলিভারিটি তার জীবন বদলে দিয়েছিল মাঠ এবং মাঠের বাইরে।

‘একজন লেগ-স্পিনার হিসাবে আপনি চাইবেন, সব সময় প্রতিটি বল নিখুঁত লেগ-ব্রেক করাতে। আমিও সেটাই চেষ্টা করতাম, করেছিও। তবে ওই বলটা সত্যিই অবিশ্বাস্য ছিল। বল অব দ্য সেঞ্চুরি খ্যাতি পাওয়া ডেলিভারিটা সত্যিই আমার পুরো জীবন বদলে দিয়েছে মাঠে এবং মাঠের বাইরে। এটি এমন একটি ডেলিভারি ছিল যা সব লেগ-স্পিনাররাই ওরকম বল করতে চায়। এর জন্য আমি গর্বিত, যা আমি করেছি, বিশেষ করে মাইক গ্যাটিং-এর মতো একজনকে, যিনি একজন অসাধারণ খেলোয়াড় ছিলেন।’

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

ক্রিকেট

মুশফিক-রিয়াদ এখনও কেন অবসর নেননি! দেশের জন্য কি বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার ; কার্তিক

মুশফিক-রিয়াদ এখনও কেন অবসর নেননি! দেশের জন্য কি বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার ; কার্তিক

নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্রিকেটবিশ্বে অভিজ্ঞতা অনেক সময় সাফল্যের চাবিকাঠি হলেও, কখনো কখনো তা বোঝা হয়ে দাঁড়াতে ...

কেন আমরা নাসির মোসাদ্দেক বা মিরাজকে অলরাউন্ডার বানাতে পারিনি! এই ব্যার্থতার দায় কাদের

কেন আমরা নাসির মোসাদ্দেক বা মিরাজকে অলরাউন্ডার বানাতে পারিনি! এই ব্যার্থতার দায় কাদের

বাংলাদেশের ক্রিকেটে অলরাউন্ডারের অভাব দীর্ঘদিন ধরে একটি বড় আলোচনা হয়ে উঠেছে। কিন্তু, প্রশ্ন হল— কেন ...

ফুটবল

এইমাত্র চরম লড়াইয়ে শেষ হল ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ফাইনাল ম্যাচ

এইমাত্র চরম লড়াইয়ে শেষ হল ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ফাইনাল ম্যাচ

চিলিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ব্রাজিলের যুবারা নিজেদের কাজ সঠিকভাবে শেষ করেছিল। আর্জেন্টিনাকে শিরোপা জিততে হলে ...

বিলাসিতা ত্যাগ করে নিজের গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করছেন সাদিও মানে

বিলাসিতা ত্যাগ করে নিজের গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করছেন সাদিও মানে

সাদিও মানে, যিনি লিভারপুলের সুপারস্টার ফুটবলার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন, বর্তমানে বায়ার্ন মিউনিখে খেলে চলেছেন। ...